পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৩ হাজার ৩৭২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার পণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৩ হাজার ১৬২ কোটি ২৮ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল। এ হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত মঙ্গলবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) রফতানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, পোশাক খাতের ওপর ভর করে দেশের সামগ্রিক পণ্য রফতানিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ২ হাজার ৮১২ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। ১০ মাস শেষে পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ৪৪ শতাংশ কম রফতানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পণ্য রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৩৭২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, পোশাক ছাড়াও পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্রকৌশল পণ্য, হিমায়িত খাদ্য ও প্লাস্টিক পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়নি। একক মাস হিসেবে শুধু মে মাসে ৩৩২ কোটি ২৪ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। গত বছরের মে মাসে রফতানি হয়েছিল ৩০৪ কোটি ডলারের পণ্য। সেই হিসেবে গত মে মাসে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছর ৩ হাজার ৭৫০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে তৈরি পোশাকে ৩ হাজার ১৬ কোটি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৩৮ কোটি, পাট ও পাটজাত পণ্যে ১০৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।