Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চাঁদাবাজির মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রনি কারাগারে

| প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম


চট্টগ্রাম ব্যুরো : উৎপীড়ন ও চাঁদাবাজির মামলায় মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। নগরীর বেসরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানের করা মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে গতকাল (সোমবার) চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম মোঃ ওসমান গনি এ আদেশ দেন। রনির আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, উচ্চ আদালত থেকে রনি এক মাসের জামিন নিয়েছিলেন। আইন অনুসারে ওই সময়ের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করতে হয়। জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশের পর তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন রনি। গত ৩১ মার্চ নগরীর চকবাজার বিজ্ঞান কলেজে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে রনি কলেজে হানা দিয়ে অধ্যক্ষ জাহেদ খানকে মারধর করেন। মারধরের এ ঘটনা কলেজের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল চকবাজার থানায় ছাত্রলীগ নেতা রনির বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করেন জাহেদ খান। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় তাকে মারধর করেছে রনি।
এর আগে ২০১৬ সালের ৭ মে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বোর্ড স্কুল কেন্দ্রে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও ১৫ রাউন্ড গুলি এবং একটি সিল ও নগদ ২৬ হাজার টাকাসহ রনিকে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারিক হাকিম তাকে দুই বছরের কারাদÐ দেন। সেসময় ৫২ দিন পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পান রনি। এছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে পুলিশ। ওই দুই মামলা ছাড়াও নগরীর এমএ আজিজ আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল নির্মাণবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা আছে।
এছাড়া নগরীর জিইসি মোড়ের একটি কোচিং সেন্টারের মালিক রাশেদ মিয়াও রনির বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করেন। রাশেদ মিয়াকে মারধরের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান চালায়। তবে অভিযোগ রয়েছে, রনি তার বাসায় থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাঁদাবাজি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ