Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রেমিট্যান্স বেড়েছে মে মাসে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কয়েক মাস ধরেই ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ছে। তবে ঈদকে ঘিরে চলতি বছরের অন্যান্য মাসের তুলনায় মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে তুলনামূলক বেশি। এই সময়ে প্রবাসীরা ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩২ কোটি ৭১ লাখ ডলার। সেই হিসেবে মে মাসে প্রায় ১৬ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। এছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি প্রায় ২১ কোটি ডলার। ২০১৭ সালের মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। যা গত ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
২০১৭ সালের এপ্রিলে রেমিটেন্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার। মার্চে এসেছিল ১২৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার বেশি। আর ফেব্রæয়ারিতে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন এক হাজার ৩৫৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়েও ৮১ কোটি ডলার বেশি।
গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আগের বছরের (২০১৫-১৬) চেয়ে ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ কম রেমিট্যান্স আসে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল মাত্র ৮৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। রেমিট্যান্স প্রবাহের মাস হিসেবে গত ৬ বছরের মধ্যে এটিই ছিল সর্বনিম্ন। শুধু সেপ্টেম্বরই নয়, বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের বাংলাদেশের জিডিপিতে ১২ শতাংশ অবদান রাখা এই রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে হুন্ডি প্রতিরোধ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়াসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এ কারণে ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে বাড়তে থাকে প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থের পরিমাণ। অক্টোবরে ১১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত সেপ্টেম্বরের চেয়ে ৩০ কোটি ৩০ লাখ ডলার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৫ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। আগস্টে এসেছে ১৪১ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে ৮৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার ও নভেম্বর মাসে ১২১ কোটি ৪৭ লাখ ডলার এসেছে।
গত মে মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দু’টি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১ কোটি ২২ লাখ ডলার এসেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার এসেছে।
বরাবরের মত এবারও বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বেশি এসছে। এই ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৮ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ডলার ও জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৬৭ ডলার এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীরা একহাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার সমপরিমাণ মূল্যের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল একহাজার ৪৯২ কোটি ৬২ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমেছে ২১৬ কোটি ১৭ কোটি ডলার বা ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেমিট্যান্স


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ