প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা সোমবার তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সম্মানে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ইফতারের আগে বিভিন্ন টেবিল ঘুরে আগত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
তিনি এ সময় আগত অতিথিদের মাহে রমজান এবং আসন্ন ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই অগ্রগ্রতির ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে যেন আমরা উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে পারি এবং ২০২১ সালের মধ্যে
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’
অন্যান্য ইফতার মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী কোন বক্তব্য না রাখলেও এদিন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
ইফতারের আগে দেশ-জাতি এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহ’র অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মোনাজাতে ’৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব এবং সেদিনের সকল শহীদবৃন্দ, জাতীয় চারনেতা, ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, দলের
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের
সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, বিএনএ চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা সহ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠন, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ, ১৪ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ, শেখ রাসেল শিশু কিশোর সংসদ নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।