পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন বাজেটে নতুন করে কোনো কর আরোপ হবে না জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটাই আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে জনগণের জন্য সুখবর বলে জানান তিনি।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। কর না বাড়লে রাজস্ব বাড়বে কীভাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের রাজস্ব আহরণকারী সংস্থা এনবিআরের লোকজনের মন মানসিকতায় পরিবর্তন হয়েছে। একইসঙ্গে আইনেও জটিলতা কমানো হয়েছে। তাই বেশি সংখ্যক মানুষ আয়কর দিচ্ছে। এ খাত থেকেই রাজস্ব বাড়বে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা হবে ১৫-১৫ লাখ। কিন্তু সেটা ইতোমধ্যে ৩৩ লাখ ছাড়িয়েছে। এটা আগামীর জন্য খুব আশা জাগানিয়া বিষয়। আরও ভালো দিক হচ্ছে যে, নতুন করদাতাদের অধিকাংশই ইয়াং পিপল।
মুহিত বলেন, ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল অনেকটা হয়রানি মনে করে, অনেকেই ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতো না। কিন্তু এখন এটা আর হয়রানি নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিনন্দন জানায়। কারণ তারা তাদের মন মানসিকতার অনেক পরিবর্তন করেছে। তাছাড়া হয়রানি কমানোর জন্য কিছু আইন-কানুনও পরিবর্তন করা হয়েছে।
‘আগের ২০-২৫ বছরের হিসাব-নিকাশ এখন এটা তিন বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে করে জনগণ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ট্যাক্স অফিসের সংখ্যা অনেক বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ২০০টি উপজেলা পর্যায়ে ট্যাক্স অফিস রয়েছে। আগামীতে প্রতিটি উপজেলায় ট্যাক্স অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা বাস্তবায়ন করতে হয়তো দু-তিন বছর সময় লাগবে।
তিনি বলেন, কোন লেবেল থেকে আয়কর নেয়া হবে সেটায় তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না। গতবারও কোনো পরিবর্তন করিনি। এটা করার কোনো মানেই হয় না। বিভিন্ন দেশে এ বিষয় ঘন ঘন পরিবর্তন করা হয় না।
ভ্যাটের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১২ ভ্যাট আইন অনুযায়ী আমাদের কমিন্টমেন্ট ছিল ভ্যাটের স্তর একটি করা। কিন্তু সেটা আমরা করতে পারিনি। তবে আমরা আগামী বাজেটে ভ্যাটের স্তর ৯টি থেকে কমিয়ে ৫টিতে নামিয়ে আনবো। তবে আমাদের মূল টার্গেট হচ্ছে তিন স্তরে নামিয়ে আনা। ভ্যাটের সর্বোচ্চ হারটা ১৫ শতাংশই থাকবে। নিচেরগুলো পরিবর্তন করা হবে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয় সব থেকে বেশি হয় ভ্যাটের মাধ্যমে। আগামী বছরে তাই থাকবে আর দ্বিতীয় অবস্থানে আয়করকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আকার এখনও বলা সম্ভব নয়। আরও দু-একদিন পর এটা চূড়ান্ত হবে। তবে এটা ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার আশপাশে থাকবে। আগামী বাজেটে কোন খাতকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, এনার্জি খাতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।
উল্লেখ্য ‘সমৃদ্ধ আগামীর অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৭ জুন দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।