পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদকে সামনে রেখে দখল হয়ে গেছে রাজধানীর ফুটপাত ও রাস্তা। পুলিশ ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের কঠোর হুঁশিয়ারির পরও ফুটপাথ হকারমুক্ত হয়নি। বরং বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ফুটপাতের চাঁদাবাজরা। ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় এবার ৩শ’ কোটি টাকা চাঁদাবাজির টার্গেট নিয়ে রাজধানীজুড়ে সক্রিয় কমপক্ষে ৭০টি গ্রæপ। সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজচক্রের হয়ে মাঠে তৎপর ৫ শতাধিক লাইনম্যান। এরা ক্ষমতাসীনদের মদদে পুলিশকে ম্যানেজ করে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে হকার বসিয়ে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছে। এতে করে ব্যস্ত এলাকাগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়ে মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ চাঁদাবাজিতে পিছিয়ে নেই মাঠপর্যায়ের কতিপয় পুলিশ-আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির নেতারাও। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশন ও বাংলাদেশ হকার্স লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম এ কাশেম বলেন, ফুটপাতের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হলে হকারদেরকে রাজস্বের আওতায় আনতে হবে, পুলিশ প্রশাসনকে আন্তরিক হতে হবে। শুধু মুখের হাঁকডাকে এ চাঁদাবাজি বন্ধ করা যাবে না। প্রয়োজনে ঈদের পর মাদকের মতো ফুটপাতের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানের দাবি জানান হকারদের সংগঠনের এই নেতা।
রমজানের শুরুতেই দখল হয়ে গেছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এলাকার ফুটপাত ও রাস্তা। চাঁদাবাজচক্র বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত, সরকারি খাস জমি ও মালিকানা জমিতে নতুন নতুন দোকান বসিয়ে মোটা অংকের চাঁদা তুলছে। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও এর কোনো সুফল পায়নি নগরবাসী। বরং ঈদকে সামনে রেখে দখলের প্রবণতা বেড়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে ফুটপাত দখলকারী গ্রæপ আছে কমপক্ষে ৭০টি। সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসীরাই এই গ্রæপের সদস্য। এদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৫ শতাধিক লাইনম্যান নামধারী চাঁদাবাজ। এরাই ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে হকারদের কাছে ভাড়া দিয়ে থাকে। ভাড়ার আড়ালে পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতার নামে আদায় করা হয় মোটা অংকের টাকা। ফুটপাতের হকাররা জানান, রমজান শুরু থেকেই সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজরা চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। কয়েকটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের নামেও চাঁদা চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চাঁদাবাজরা এলাকা ভেদে ২শ’ থেকে ৩শ’ দোকানের একটি অংশকে নাম দিয়েছে ‘ফুট’। চক্রাকারে ফুটের হকারদের কাছ থেকে দৈনিক ভিত্তিতে চাঁদার টাকা নিচ্ছে চাঁদাবাজ গ্রæপের নিয়োজিত লাইনম্যানরা। তাদের কাছ থেকে টাকা বুঝে নিচ্ছেন প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার মনোনীত সর্দার। লাইনম্যানের উত্তোলিত টাকার সিংহভাগই যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও মাস্তান বাহিনীর পকেটে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার সঙ্গে জড়িত বিদ্যুৎ বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেটেও যাচ্ছে লাইনম্যান ও সর্দারের উত্তোলিত টাকার একটি অংশ। রাজধানীর গুলিস্তান এলাকার কয়েকজন হকার জানান, লাইনম্যানদের দৈনিক ভিত্তিতে চাঁদা পরিশোধ করে দোকান চালাতে হয়। চাঁদার রেট কম হলেই উচ্ছেদসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়া হয়। ভেঙে দেয়া হয় দোকানপাট।
জানা গেছে, শুধু ফুটপাতের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছে এমন গডফাদার রয়েছে ৭০ জন। এর মধ্যে গুলিস্তানে ৪, মতিঝিলে ৩, সদরঘাটে ৩, নিউ মার্কেটে ৫, ফার্মগেটে ৩, মিরপুর-১ নম্বরে ২, মিরপুর-১০ নম্বরে ২, উত্তরায় ২, বাড্ডায় ২, কুড়িলে ২, কামরাঙ্গীরচরে ১৯, লালবাগ বেড়িবাঁধে ৭, বংশাল-কোতোয়ালীতে ৬ জন রয়েছে। অন্যরা রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এই ৭০জন গডফাদারের অধীনে ৭০টি চাঁদাবাজ গ্রæপের নিয়োজিত ৫ শতাধিক লাইনম্যান সারা বছরই ফুটপাতে চাঁদাবাজি করে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা নিউ মার্কেটের ৩ নং গেট সংলগ্ন নিউ সুপার মার্কেটের দোতলায় রয়েছে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ) বণিক সমিতির অফিস। এর সামনেই মার্কেটের আলোবাতাস প্রবেশে গ্রিলঘেরা খোলা জায়গা। কিন্তু সমিতির কতিপয় অসাধু নেতা মার্কেটের সবক’টি প্রবেশপথ, খোলা জায়গা ও সিঁড়িকোঠাসহ খালি জায়গায় দোকান বসিয়ে ভাড়া দিয়েছে। দেড়শতাধিক দোকান থেকে অফেরতযোগ্য এককালীন ঘোষণায় দোকানপ্রতি নগদ ২ লাখ টাকা আদায়সহ প্রতিমাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নিয়মিত ভাড়া তুলছে সমিতির দুই নেতা। মার্কেটের বিভিন্ন স্পটে গাড়িপার্কিং থেকেও ডিএসসিসি’র বিধি উপেক্ষা করে ওই দুই নেতা নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, মিরপুর রোডের ধানমন্ডি ও নিউ মার্কেট অংশে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কিছু ক্যাডার ফুটপাথসহ মার্কেটের ফাঁকা জায়গায় দোকান বসিয়ে নিয়মিত চাঁদা তোলে। হকাররা জানান, ঈদকে সামনে রেখে ছাত্রনামধারী এসব ক্যাডাররা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গুলিস্তান হকার্স, গাউছিয়া, নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত, খিলগাঁও তালতলা, মিরপুর শাহ আলী, ১ নম্বর, গুলশান-১ ও ২, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা সুপার, মুক্তবাংলা, উত্তরা ও পুরান ঢাকার ফুটপাত ব্যবসায়ীরাও একই রকম তথ্য জানান।
অন্যদিকে, কামরাঙ্গীরচর রসুলপুর ব্রিজ মার্কেটের দু’টি ব্যক্তিমালিকানা জমিতে অনুমোদন ছাড়াই জবর দখল করে ঈদ বাণিজ্য মেলার নামে প্রায় ৬০টি দোকান বসিয়ে ভাড়া দিয়েছে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয়দানকারী মাউচ্ছা দেলু, জাবেদুল ইসলাম জাবেদ ওরফে সমিতি জাবেদ, মফিজ, খোকন, কামাল, অহিদুল, বাবু, হানিফ, সিদ্দিক, বাদশা, মঞ্জু, ফিরোজ, সুমন, মাসুদ, মামুন, মুসা, শাকিল, মনির ও সিরাজ তালুকদার। ইতোমধ্যেই দোকান প্রতি ৫ লাখ টাকা করে আদায় করেছে মৌসুমী এসব চাঁদাবাজচক্র। লালবাগের নবাবগঞ্জ বেড়িবাঁধে মঙ্গলবার হলিডে মার্কেটের অন্তত ২ হাজার ফুট দোকান থেকে দোকানপ্রতি গড়ে আড়াইশ’ টাকা করে প্রতি সপ্তাহে ৫ লাখ টাকা চাঁদা তোলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয়দানকারী হাফেজ সুমন, জাকির, শাহীন ওরফে অটোশাহীন, বারেক, সেলিম, বিপ্লব ও মোখলেস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী কয়েকজন হকার জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামেও চাঁদা তোলা হচ্ছে। খিলগাঁওয়ের জিসান, মিরপুরের শাহাদাত ও লিটু, কারওয়ান বাজারের আশিক, কল্যাণপুরের বিকাশ-প্রকাশ, বাড্ডার মেহেদী, মগবাজারের রনি, আদাবরের নবী, মোহাম্মদপুরের কালা মনির, শাহ আলীর গাজী সুমন, পল্লবীর মোক্তার, কাফরুলের শাহীন সিকদার, যাত্রাবাড়ীতে ইটালি নাসির, জুরাইনের কচির নাম ব্যবহার করছে চাঁদাবাজ চক্র। বাড্ডা এলাকায় ডালিম, রবিন, ভাগ্নে ফারুক, আরিফ, মান্নান, রমজান, দুলাল, মানিক, শিপলু, রায়হান, রুবেল, রিয়াদ, রামপুরায় কালা পলাশ ও মুরাদ, গুলশান-বনানীতে টিপু, মহাখালীতে অপু, মিলন ও জামাই মুকুল, সাততলা বস্তিতে মনির ও লম্বু সেলিম, খিলগাঁওয়ে খালেদ ও মানিক, যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদে জাহাঙ্গীর, হাজারীবাগে বুলু, লিংকন, তপু, জনি, রফিক, বিল্লু ও মুন্না, কলাবাগানে নাজিম বাবু ও ইমন, মোহাম্মদপুরে গালকাটা মোশারফ, লম্বা মোশারফ, চিকা জসিম, আহম্মদ, সাজ্জাদ, মোহন, পাভেল, লোটন, চায়নিজ তানভীর, রবিন, আদিত, মীম, খলিল ও হাজী আক্কাস এবং শাহ আলীতে বল্টু রাসেল, মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বরে কালাচান ও কিলার বুলবুল চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছে।
জানা গেছে, ফুটপাত-রাস্তায় অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে গত বছরের ফেব্রæয়ারিতে মতিঝিল, পল্টন ও শাহবাগ থানায় ৭২ চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করেন ডিএসসিসি সহকারী সম্পত্তি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সামছুল আলম। মতিঝিল থানার মামলায় গত বছরের ১০ জুলাই দু’জনকে অব্যাহতি দিয়ে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ৪ আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলেও তারা সবাই এখন জামিনে রয়েছে। ওই মামলার প্রধান আসামি সাইফুল ইসলাম মোল্লা ফুটপাতে এখনো বহাল তবিয়তে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের পাশের মার্কেটে চাঁদা আদায় করছে তার সহযোগী শিবলু ও শাহজাহান মৃধা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বায়তুল মোকাররম জিপিও লিংক রোডে হলিডে মার্কেটে খোকন মজুমদার, আবুল হাসেম, মজিবর, পোটল, নসু, হারুন অর রশীদ ও তার সহযোগীরা, উত্তরগেট এলাকায় দুম্বা রহিম, সাজু চাঁদা তুলছে। শাপলা চত্বরে আরিফ চৌধুরী, পল্টনে দুলাল মিয়া ও তার সহযোগী, গুলিস্তান আহাদ পুলিশ বক্স ও রাস্তায় আমিন মিয়া, সাহিদ ও লম্বা হারুন, জুতাপট্টিতে সালেক, গোলাপশাহ মাজারের পূর্ব-দক্ষিণ অংশে ঘাউড়া বাবুল ও শাহীন টাকা তুলছে।
ওসমানী উদ্যানের পূর্ব ও উত্তর অংশে লম্বা শাজাহান, গুলিস্তান খদ্দর মার্কেটের পশ্চিমে কাদের ও উত্তরে হান্নান, পূর্বে সালাম, আক্তার ও জাহাঙ্গীর, গুলিস্তান হল মার্কেটের সামনের রাস্তায় লাইনম্যান সর্দার বাবুল, সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের উত্তর পাশের রাস্তায় জজ মিয়া, পূর্ব পাশের রাস্তায় সেলিম মিয়া, মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে মো. আলী, আবদুল গফুর ও বাবুল ভুঁইয়া, শাহবাগে ফজর আলী, আকাশ, কালাম ও নুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ীতে সোনামিয়া, তোরাব আলী, মান্নানের নেতৃত্বে চাঁদা তোলা হচ্ছে। জুরাইন-পোস্তগোলায় বিক্রমপুর প্লাজা থেকে সেতু মার্কেটের সামনের ফুটপাত থেকে চাঁদা তুলছে আলমগীর শরীফ ও মোশারফ হোসেন। এদের চাঁদার টাকার বড় অংশ যাচ্ছে স্থানীয় এমপির এক ঘনিষ্ঠজনের পকেটে। মিরপুরে-১-এ ছোট জুয়েল, আলী, বাদশা ও মিজান, মিরপর-১১ এ আবদুল ওয়াদুদ, শফিক ও হানিফ, গুলশানে হাকিম আলী, কুড়িলে আবদুর রহীম ও নুরুল আমিন, এয়ারপোর্টে আকতার, মনির, ইব্রাহিম, জামাল ও বাবুল, উত্তরায় টিপু, নাসির ও হামিদ চাঁদার টাকা তোলে।
গুলিস্তানের এক লাইনম্যান জানান, ফুটপাত থেকে এক হাজার টাকা তুললে তাকে দেয়া হয় ২শ’ টাকা। পুলিশ নেয় ৫শ’, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা পান ৩শ’ টাকা। প্রতিরাতে থানার ক্যাশিয়ার এসে ভাগের টাকা নিয়ে যায়। আর থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের টাকা পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম এ কাশেম জানান, রাজধানীতে ১ লাখ ১০ হাজারের মতো হকার রয়েছে। ফুটপাতের দোকানের পজেশন ও পরিধি বুঝে প্রতিদিন দোকান প্রতি ১শ’ থেকে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। রমজান শুরুর পর কয়েকদিনের মধ্যেই ধাপে ধাপে এ চাঁদার পরিমান দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ২০ রমজানের পর থেকে চাঁদরাত পর্যন্ত চাঁদাবাজির এমন অরাজকতা চলবে। চাহিদার টাকা বুঝে পেয়ে চাঁদাবাজরা নানা কৌশলে প্রতিদিনই তাদের মনমতো মৌসুমী হকারও বসাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই বাধে বিপত্তি। এভাবে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রগুলো কেবল রমজান মাসজুড়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতিয়ে নিবে কমপক্ষে ৩শ’ কোটি টাকা।
ফুটপাতের চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে ডিএমপির (মিডিয়া) উপ-কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের অব্যাহত অভিযানের কারণে ফুটপাতের চাঁদাবাজরা এখন অনেকটাই কোণঠাসা। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিকে এর আগেও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে কোথাও যেন চাঁদাবাজি না হয়, সে লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি ঠেকাতে রাজধানীজুড়ে টহল পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।