Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সপ্তাহজুড়ে ডিএসই’র মূলধন কমেছে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

টানা দরপতনে প্রতিনিয়ত দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি কমছে বাজার মূলধনের পরিমাণ। শেষ সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চারদিন দরপতন হয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। এ হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। এদিকে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস মূল্যসূচক কিছুটা বাড়লেও পরের চার কার্যদিবস টানা দরপতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচকের পাশাপাশি সবকটি সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮৫.৮১ পয়েন্টশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১৩.৬২ পয়েন্ট। তার আগের সপ্তাহে কমে ২৫৫.৩৮ পয়েন্ট। সপ্তাহের টানা পতনে ডিএসইএক্স কমেছে সাড়ে তিন’শ পয়েন্টের ওপরে।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ কমেছে ৩৯.৮৮ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১০.৫১ পয়েন্ট। তার আগের সপ্তাহে কমে ১০২. ৯৩ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ২১.৩৯ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এই সূচকটি কমে ১৭.৮৯ পয়েন্ট। তার আগের সপ্তাহে কমে ৪১ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১০২টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দাম।
মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসিইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৫৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৭১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৩৫৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৯২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮২ দশমিক ৮৮ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং দশমিক ৮৩ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ