Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সময় এসেছে রুখে দাঁড়াবার -মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিএনপির আর হারানোর কিছু নেই মন্তব্য করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন সময় এসেছে রুখে দাঁড়াবার, সময় এসেছে একেবারে প্রতিবাদ করার, প্রতিরোধ করবার। আজকে প্রতিটি বিবেকবান মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে এই ভয়াবহ পরিণতি থেকে দেশকে ও জাতিকে রক্ষা করা। গতকাল (শুক্রবার) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে নিয়ে রচিত মেহেরপুর বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণের লেখা গানের সিডি রণধ্বনি’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমার বুঝতে পারি না- এখনো আমাদের কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা আছে কীভাবে? হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে, সর্বোচ্চ আদালত থেকে এটাকে স্থগিত করে রেখে কৌশলে ছুটির পরে দেওয়া হবে, ছুটির পরে দেয়া হবে করে মাসের পর মাস বেগম জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রাখছে। আমি জানি না একথা বললে আদালত অবমাননা হবে কিনা। হলেও কিছু যায় আসে না। এখন তো আর আমাদের হারানোর কিছু নেই।
এই সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন অতীতের সকল স্বৈরশাসককে হার মানিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন কেবল মানুষের ভোটের অধিকার নয়, কথা বলার স্বাধীনতা নয়, জনগণের নাগরিক অধিকারও ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগের মতো দল এভাবে শাসন করছে। অথচ আওয়ামী লীগ একটি পুরোনো দল। তারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে একসময়। কিন্তু আজ তারাই গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় নয় শুধু, এক ব্যক্তির শাসন শুরু করেছে। এই অবস্থা থেকে আমাদেরকে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদেরকে দেশ রক্ষায় নামতে হবে। খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক। গায়ের জোরে তাঁকে আটক রাখার মানে হলো গণতন্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস করা, মানুষের অধিকার, মানুষের ভোটাধিকার নষ্ট করে এক ব্যক্তির শাসন নিশ্চিত করা। এ সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতার চেতনা হত্যা করেছে। এ দানবকে প্রতিহত করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে। একটি অর্থবহ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এতো খারাপ সময় বাংলাদেশের মানুষ দেখেনি মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সময়টা এতই খারাপ, আজকাল বাসায়ও জড়ো হয়ে কথা বলতে পারে না মানুষ। আমরা পাকিস্তানের আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, এরশাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কিন্তু তখন আজকের মতো এত ভয়াবহ সময় ছিল না।’ পাকিস্তান সময়ে যুদ্ধে ৯ মাস, তার আগে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠিও এই একেবারে উলঙ্গভাবে মানুষ হত্যা করেনি, মানুষের ওপর নির্যাতন করেনি, মানুষের ওপরে নির্মমতা চালায়নি। আজকে সব কিছু ছাড়িয়ে গেছে এই আওয়ামী লীগের সরকারের সময়ে, যারা নির্বাচিত নয়, যাদের প্রতি জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নাই। তিনি বলেন, আমরা বহুবার আলোচনা করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু সরকার আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। তারা বলে সংবিধান অনুযায়ী সব করবে। যে সংবিধান তারা কেটে-কুটে নিজেদের মতো করে নিয়েছে, সেই সংবিধানের দোহায় দিচ্ছে তারা।
মাসুদ অরুণের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আনজু।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রুখে দাঁড়াবার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ