পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, নারী ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত। এছাড়া গত দশ বছরে দারিদ্রতার হার ৪০% থেকে কমে এখন ২৩%। রাজনীতিসহ অন্যান্য পেশায় নারীদের সম্পৃক্ততা আজ দৃশ্যমান।
গতকাল প্যারিসে ফ্রান্সের ন্যাশনাল এসেম্বলি’র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাডাম ক্যারোল ব্যুরো বোননার্ড এর সাথে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার সংসদ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা সংসদীয় চর্চা ও রীতিনীতি, নারীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। স্পীকার কলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু রাষ্ট্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই ফ্রান্সের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সূচনা। এ বন্ধুত্ব ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক,সামাজিক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সুদৃঢ়। নারী ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত। এছাড়া গত দশ বছরে দারিদ্রতার হার ৪০% থেকে কমে এখন ২৩%। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এ উন্নয়ন ধারায় ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। নারী ক্ষমতায়নে সফল পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। উভয় দেশের পার্লামেন্টের সফর বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করে স্পীকার বলেন, এ ধরনের সফর উভয় দেশের জন্য শিক্ষনীয়। এ সময় তিনি ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ফ্রান্স বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রæপের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল অবনোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। স্পীকার বলেন, বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গাদের অধিকার সংরক্ষণ করে শান্তিপূর্ণভাবে স্থায়ী প্রত্যাবাসন। রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করতে মিয়ানমারকেও আšন্তরকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। ড. মং জারনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় প্রদান করে বাংলাদেশ এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা, রাখাইন স্টেট প্রভৃতি বিষয়ে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেন। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিনি সমন্বিতভাবে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে একত্রিত করে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। রোহিঙ্গা, রাখাইন স্টেট সম্পর্কে ঐতিহাসিক পটভূমি ব্যাখ্যা করায় স্পীকার মং জারনিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।এসময় উপস্থিত ছিলেন সাগুফতা ইয়াসমিন এমপি ও ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।