পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন ২৪ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিল করতে বলেছে আদালত। এর ফলে ঈদের আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন আর মুক্তি পাচ্ছেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতির দেওয়া স্থগিতাদেশ ২৪ জুন পর্যন্ত বহাল রেখেছে। উচ্চ আদালতে ছুটির আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কার্যদিবস। ছুটি শেষে ২৪ জুন আদালত খুলবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর হবে ১৬ জুন। জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদন্ডের রায়ের পর চার মাস ধরে পুরানো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের নির্জন করাগারে বন্দি খালেদা জিয়া।
এর আগে উচ্চ আদালতে ওই মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পেলে দলের নেতাকর্মীরা ঈদের আগে তার মুক্তির আশা করে ছিলেন। তবে কুমিল্লার নাশকতার দুটিসহ কয়েকটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোয় তার মুক্তির পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। সেই পথ খুলতে মামলাগুলোতে হাই কোর্টে জামিন চেয়েছিলেন খালেদার আইনজীবীরা। গত ২৮মে হাই কোর্ট কুমিল্লার মামলা দুটিতে খালেদাকে জামিন দিলে ঈদের আগে দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তিতে আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে গিয়ে পরদিনই হাই কোর্টের আদেশের উপর চেম্বার বিচারপতির স্থগিতাদেশ আনেন। চেম্বার বিচারপতি জামিনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করে দিয়ে তা নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন নিয়মিত আপিল বেঞ্চ চেম্বার বিচারপতির দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রাখায় বেগম খালেদার মুক্তির পথ ২৪ জুন পর্যন্ত রুদ্ধ হলো।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, সরকারই ‘ষড়যন্ত্র’ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি আটকে রেখেছেন। তবে তা প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিষয়টি পুরোপুরি আদালতের বিষয় এবং তার উপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ কুমিল্লার হত্যা এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছিলেন। হত্যা মামলাটি অবরোধের মধ্যে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় একটি নৈশকোচে পেট্রোল বোমা হামলায় আট যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা হয়। চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান পরদিন খালেদাকে হুকুমের আসামি করে মামলা করেন। কুমিল্লার বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলাটিও নাশকতা নিয়ে। অবরোধের মধ্যে ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামে একটি কভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিনই চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তাতে খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। কুমিল্লার এ দুটি মামলায়ই বিএনপি চেয়ারপার্সনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই দুটির সঙ্গে নড়াইলের একটিসহ তিনটি মামলায় জামিন চেয়ে গত ২০ মে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন খালেদা। নড়াইলের আদালতে খালেদার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি দায়ের করা হয় শহীদদের সংখ্যা নিয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করার অভিযোগে। নড়াইল জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ফারুকী ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর এ মামলা দায়ের করেন। এদিকে জাতির মানহানি করা এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালে করা দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে আদেশ হওয়ার কথা। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. সহিদুল করিমের বেঞ্চে রয়েছে আবেদন দুটি। দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের দন্ডাদেশ পাওয়া খালেদা ওই মামলাটি বাদে মোট পাঁচটি মামলায় হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন।
কুমিল্লার মামলা দুটিতে জামিন দিলেও নড়াইলের মামলাটিতে বিচারিক আদালতে গিয়ে তাকে জামিন চাইতে বলেছিল বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।