পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাঁশখালীর সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্যোক্তা ও নির্মাণকারী দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ মো: সাইফুল আলম মাসুদ বলেছেন, দেশের প্রচলিত পরিবেশ আইনসহ অন্যান্য নীতিমালা অনুসরণ, স্থানীয় এলাকাবাসীর স্বার্থ সংরক্ষণ, পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করেই বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হলে সমগ্র বিশ্বের কাছে বাঁশখালী উপজেলা বিশেষ পরিচিতি পাবে। এ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বাঁশখালী অর্থাৎ সমগ্র চট্টগ্রামকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থেকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য একটি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে। প্রকল্পের জন্য জমি কেনা শেষে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের আগে গত সোমবার পাল্টাপাল্টি সমাবেশে পুলিশের সাথে ত্রিমুখী সংঘর্ষে চার এলাকাবাসী নিহত হওয়ার ঘটনায় সমবেদনা জানিয়ে তিনি নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা এবং তাদের পোষ্যদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, একই সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার খরচ ও তাদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বাঁশখালীর কয়েক শ’ মান্যগণ্য ব্যক্তি, ভূমি মালিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে গত শুক্রবার নগরীতে মতবিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন। সভায় মো: সাইফুল আলম মাসুদ জানান, পৃথিবীর কোথায় কোথায় এ ধরনের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু আছে এবং সেসবের কারণে পরিবেশের যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি সে সম্পর্কে একটি ভিডিওচিত্র তৈরি করা হবে দক্ষ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। এরপর সেটি বাঁশখালীর স্থানীয় জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য দেখানো হবে। তাছাড়া পরিবেশের ওপর আদৌ ক্ষতিকর কি না তা সরেজমিন যাচাই করার জন্য ভারত ও চীনের নামী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে একটি প্রতিনিধিদলকে শিগগিরই পাঠানো হবে।
সভায় এলাকাবাসী সংঘর্ষের বিভিন্ন কারণ তুলে ধরে বক্তব্য দেন। প্রকল্প এলাকার জমির মালিক রুবেল চৌধুরী বলেন, যারা বিরোধিতা করছেন তারা বলে বেড়াচ্ছেন যারা জমি বিক্রি করেছেন তারাই সব সুবিধা ভোগ করছেন। আর যারা আন্দোলন করছেন তারা কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না। সুবিধা পাওয়ার জন্যই আন্দোলন করছেন তারা। আর এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গ-ামারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী। জমির আরেকজন মালিক আসিফ চৌধুরী বলেন, যারা এ প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন ও মানুষ খুন করছেন তাদের ছাড় দেয়া হলে এলাকার পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হবে। তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তিনি। গ-ামারা ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিদোয়ানুল হক বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যদি বাঁশখালীর ৮০ ভাগ উপকার হয় এবং ২০ ভাগ ক্ষতি হয় তাও বাঁশখালীবাসী প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহায়তা করবে এস আলম গ্রুপকে।
প্রকল্পের জন্য জমি কেনাসহ স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সমন্বয়কারী নাছির উদ্দিন উপস্থিত সবার কাছে জানতে চান কী উদ্দেশ্যে এলাকাবাসী জমির বায়না ও রেজিস্ট্রি দিয়েছিলেন। তখন উপস্থিত কয়েক শ’ এলাকাবাসী সমস্বরে জবাব দেন, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্যই তারা জমি বিক্রি করেছেন।
উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এস আলম গ্রুপের পরিচালক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হাজি নওশা মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও গ-ামারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুদ্দৌলা চৌধুরী, জমির মালিক ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আবছার চৌধুরী, গ-ামারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার শামসুল আলমসহ গ-ামারা ইউনিয়নের ৯ ইউপি মেম্বার ও ভূমির মালিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।