পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতিতে পৌঁছতে চলছে নিরন্তর জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার পর তনুর বাবা, মা, স্বজন, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে সেনা কর্মকর্তার ছেলে, সেনা সদস্য, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্মকর্তা পর্যন্ত এযাবত প্রায় অর্ধশত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। গতকাল শনিবার কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) মনিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডির তদন্ত সহায়ক দল। তনু হত্যার রহস্য উদঘাটনে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রাখবেন বলে সূত্রে জানা গেছে। তবে তনু হত্যার বিশদিনেও ঘাতকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে না পারায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন নাগরিক সমাজের লোকজন।
দেশব্যাপী আলোচিত তনু হত্যাকা-ের ১২দিনের মাথায় ৩১ মার্চ পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি থেকে তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। ১ এপ্রিল ঘটনাস্থল কুমিল্লা সেনানিবাস অভ্যন্তরে পাওয়ার হাউজ এলাকার যে ঝোপ-জঙ্গলে তনুর লাশ পাওয়া গিয়েছিল সেইস্থান দিয়েই তদন্ত শুরু করে সিআইডি। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার ৯দিনে সিআইডির তদন্ত সহায়ক দল তনুর পরিবার, বন্ধু-বান্ধবী, কলেজ থিয়েটারের সদস্য, সেনা কর্মকর্তার ছেলে, সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ঢাকা ও কুমিল্লা সিআইডির একটি সমন্বিত দল কুমিল্লা সেনানিবাসের পাঁচ সদস্যকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পরদিন শুক্রবার তনুর বড় ভাই নাজমুল হোসেন, চাচাতো বোন লাইজু জাহান, তনুর বান্ধবী মনিষা এবং তনুর বাবার কর্মস্থল ক্যান্টমেন্ট বোর্ডের কর্মচারি ইসমাইল হোসেনকে কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়াও সিআইডির তদন্ত দল তনুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লহ্মণপুরের রাব্বী ও কুমিল্লা সেনানিবাসের ১৯নং গেটের পাহারার দায়িত্বে থাকা মুরাদকে শুক্রবার রাতে পালাক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
সিআইডির তদন্ত দল এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত ব্যক্তিকে তনু হত্যা মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। গতকাল শনিবারও কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক (সিও) মনিরুল ইসলামকে। ঢাকা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ও তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান আবদুল কাহহার আকন্দ, কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করীম খান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিম জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত ছিলেন। নিহত তনুর বাবা ইয়ার হোসেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে চাকরি করেন বিধায় নির্বাহী কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। জানা গেছে, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম সিআইডির কাছে লিখিত বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি কী লিখেছেন তা জানা যায়নি। সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিম সুপার নাজমুল করীম খান বলেন, ‘আমরা বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাবাদ অব্যাহত রেখেছি। তদন্তের প্রয়োজনে আরো অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। আমরা মামলাটি নিয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতির পথে পৌঁছতে চাইছি। রহস্য উদঘাটনে আমরা আশাবাদী। এদিকে আজ রোববার সিআইডির ডিআইজি মাহবুব মহসিন কুমিল্লায় আসবেন বলে জানা গেছে। তিনি সেনানিবাসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তনুর পরিবারের সাথে কথা বলবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।