পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ায় আবদুল্লাহ (১২) নামে মাদ্রাসার এক ছাত্রকে অপহরণের পর ছেড়ে দিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। গতকাল (শনিবার) সকালে কোনাপাড়া জালালাবাদ সড়কস্থ আনোয়ারুর রাহমানিয়া মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবু, জুয়েল ও মুক্তা মিলে তাকে অপহরণ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এই তিনজনের অবিভাবককে চাপ প্রয়োগ করায় প্রাণে বেঁচে যায় আবদুল্লাহ। তারা আবদুল্লাহর নাকে-মুখে বিষাক্ত কেমিক্যাল মাখিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে যায়। আহত আবদুল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার অনেক পর তার সম্বিত ফেরে। তার বাবা মো: রফিকুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবের পেস্টিং বিভাগের কর্মচারী। তিনি জানান, গত ২২ মার্চ এই তিনজন মিলে তার ছেলেকে অপহরণ করে। তারা আবদুল্লাহকে নির্জন স্থানে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে তার হাত ভেঙে দেয়। এ ব্যাপারে ডেমরা থানায় একটি জিডি (নং- ৯৬৩/২২/০৩/১৬ ইং) করা হয়। ওই জিডিতে সন্দেহভাজন হিসেবে মুক্তার নাম উল্লেখ ছিল। জিডি করার পর বাবু ও জুয়েল পালিয়ে যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ ওই জিডির তদন্ত সঠিকভাবে করলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটত না। গত শুক্রবার বাবু ও জুয়েল ফিরে আসার পর আবদুল্লাহকে আবার অপহরণের হুমকি দেয়।
রফিক জানান, তার স্ত্রীর সাথে মুক্তার কথা কাটাকাটির ঘটনার পর মুক্তা ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী বাবু ও জুয়েলকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। গতকাল উদ্ধার হওয়ার পর আবদুল্লাহর সম্বিত ছিল না। কথা বলতে পারছিল না। হাসপাতালে চিকিৎসার পর সে সাদা কাগজে লিখে জানায়, অপহরণের আগে তার মুখে চাপ দেয়। এরপর নাকের সামনে কিছু একটা চেপে ধরার পর সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আবদুল্লাহর বাবা রফিক বলেন, যেহেতু চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আগের দিন অপহরণের হুমকি দিয়েছিল তাই গতকাল আবদুল্লাহর মাদ্রাসা থেকে ফোন আসার সাথে সাথে আমরা বাবু ও জুয়েলের অবিভাবকদের চাপ দেই ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। তারা ফোন করার পর আমার ছেলেকে প্রাণে মারার সাহস করেনি। তা না হলে হয়তো কোনো অঘটন ঘটে যেত। তিনি বলেন, আমি পুলিশকে সব ঘটনাই বলেছি। পুলিশ অপহরণকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। জানতে চাইলে ডেমরা থানার ওসির দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সেলিম বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু শুনিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।