Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৮, ৫:৪৬ পিএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের আইন উচ্চ আদালতে বাতিলের আদেশ মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের জন্য তোলা হলেও তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরশাদ সরকারের আমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে আইন করা হয়। এরপর উচ্চ আদালতের রায়ে ওই আইন বাতিল হয়ে যায়। আইনটি বাতিলের অনুমোদন দিতে দীর্ঘদিন পর সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া তোলা হয়। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা যায়।
 
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের সচিব বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে সামরিক শাসনামলে মন্ত্রিসভার যে সিদ্ধান্ত ছিল, তা বাতিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তুললেও তা ফেরত দেয়া হয়েছে।
 
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিউল বলেন, মন্ত্রিসভা বলেছে, এটা পুরানো ইস্যু, পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। আরো অনেক ইস্যু আছে, সবগুলো আনতে হবে। একটা নিয়ে আলাপ করা ঠিক হবে না। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নিয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভায় কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা বাতিল করতে হলেও মন্ত্রিসভায় আনতে হয়। সামরিক শাসনামলে প্রণীত আইনগুলোর মধ্যে যেগুলোর প্রয়োজন আছে তা যুগোপযোগী করে নতুন করে বাংলায় রূপান্তরে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। তবে সামরিক শাসনামলে প্রণিত যেসব আইন প্রয়োজন নেই আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলো বাতিল হয়ে যাবে।
 
মন্ত্রিসভা বৈঠকের সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে জানতে চান এখন কেন এটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হলো? তখন শিক্ষামন্ত্রী জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলা হয়েছিলো সামরিক শাসনামলের যেসব আইন আদালতে বাতিল হয়েছে সেগুলো মন্ত্রিসভায় অনুমোদন নিতে হবে। সে কারণেই এটি তোলা হয়। এ সময় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বৈঠকে বলেছেন, আদালত এটা বাতিল করেছে। উচ্চ আদালতে বাতিলের পর এটি বাতিল হয়ে গেছে। এর আর মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের প্রায়োজন নেই।
 
সূত্র জানায়, আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে চান এর আগে আদালতে কোনো আইন বাতিলের পর তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন নেওয়া হয়েছে- এরকম কোনো রেফারেন্স আছে কিনা। তখন আইনমন্ত্রী জানান, আদালতে বাতিলের পর আর মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের প্রায়োজন নেই। আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর খসড়াটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
 
এদিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত ২৫ ও ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কলকাতা সফর নিয়ে কথা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রসঙ্গটি তোলেন। সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার অথবা বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্ররাজনীতি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ