পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে ‘ফিতরা’ বলা হয় এমন পরিমাণ অর্থ বা সম্পদকে যারা জাকাত গ্রহণ করতে পারে এমন গরীব ব্যক্তিকে রমজান মাস পরিসমাপ্তির পর বিশেষ পদ্ধতিতে প্রদান করা হয়। ‘ফিতরা’ বুঝাতে হাদীস শরীফে ‘সদকাতুল ফিতর’ এবং ‘যাকাতুল ফিতর’ উভয় শব্দই ব্যবহৃত হয়েছে। উভয় শব্দের অর্থ ও মর্ম একই অর্থাৎ রোজা খোলার জাকাত বা সদকাহ। হিজরতের দ্বিতীয় সালে ঈদুল ফিতর-এর দুই দিন পূর্বে মুসলিম সমাজে এই ফিতরা সর্ব প্রথম বাধ্যতামূলকভাবে ধার্য করা হয় ও এর প্রচলন শুরু হয়।
বস্তুুত : ফিতরা আদায় করার কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামী শরীয়তে পূর্ণ ঐক্যমত্য বা ইজমা রয়েছে। এতে কারোর ও কোনো দ্বিমত নাই। ইমাম শাফেয়ী (রহ:) ও ইমাম মালেক (রহ:) এর মাযহাব অনুসারে সদকায়ে ফিতির আদায় করা সুন্নাত, সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। ওয়াজিব বা ফরজ নয়। তাদের মতে হাদীসের শব্দ ফরজ করে দিয়েছেন কথাটির অর্থ হলো, নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন কিংবা ধার্য করে দিয়েছেন। ইমাম আবু হানীফা (রহ:)-এর মাযহাবে ইহা ফরজ নয় এবং ফরজ বলতে যা বুঝায় তাও নয়। বরং ওয়াজিব। হাদীসের শব্দ ফরজ করে দিয়েছেন অর্থ ওয়াজিব করে দিয়েছেন। হানাফী মাযহাবে ‘ফরজ’ এবং ‘ওয়াজিব’ শব্দ দ্বয়ের মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে।
সদকায়ে ফিতির মুসলমান মাত্রেরই আদায় করা কর্তব্য। পুরুষদের ব্যাপারটি অত্যন্ত স্পষ্ট। আর মেয়েলোক বিবাহিতা হলে স্বামীই তার সদকায়ে ফিতির আদায় করবে। আর অবিবাহিতা হলে তার নিজের সামর্থ্য থাকলে সে নিজেই তা আদায় করবে। অন্যথায় তার এবং অন্যান্য নাবালেগদের, বালেগ পোষ্য ছেলেদের সদকায়ে ফিতির আদায় করবে তাদের পিতা। পিতার অবর্তমানে তাদের অলী বা অভিভাবক সদকায়ে ফিতির আদায় করবে। এ ব্যাপারে ঐক্যমত্য এই যে, যে সকল ব্যক্তির পক্ষে জাকাত গ্রহণ করা যায়েজ ও হালাল, তারা স্বেচ্ছামূলকভাবে নিজেদের সদকায়ে ফিতির আদায় করলে অধিক পুণ্যের অধিকারী হবে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : ফকীর গরীবের পক্ষে ও ফিতরা দেওয়া বিধেয়। সে যা দিকে আল্লাহ পাক তাকে তার দেওয়া পরিমাণের বেশী ফিরিয়ে দিবেন।
সদকায়ে ফিতির এর পরিমাণ সম্পর্কে বহু হাদীস বর্ণিত আছে। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে এই যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) এক ভাষনে বলেছেন : ‘তোমরা প্রত্যেক স্বাধীন, ক্রীতদাস বা গৃহভূত্য ছোট কিংবা বড়-এর তরফ হতে অর্ধ সা’ গম কিংবা এক সা’ যব কিংবা এক সা’ খেজুর ফিতরা বাবত আদায় করবে।’ সা একটা বিশেষ পরিমাণের ওজন। এক সা’ হিযাযী ওজনে প্রায় পৌনে তিন সের এবং ইরাকী ওজনে প্রায় চার সের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।