পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ২০ দলীয় জোট মেয়র পদপ্রর্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসানস উদ্দিন সরকার বলেছেন, ‘আমি দীর্ঘ দিন ধরে যে যুদ্ধের কথা বলে আসছিলাম দেরিতে হলেও এখন সেই যুদ্ধ শুরু হয়েছে। তবে এমন সময় যুদ্ধ শুরু হলো; যখন ঘরে আগুন লেগে গেছে।’
হাসান উদ্দিন সরকার গতকাল শনিবার টঙ্গীতে নিজ বাস ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন। তিনি দুপুর পর্যন্ত নিজ বাসভবনেই নির্বাচনী কলাকৌশল নিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে আলোচনা করেন। বিকেলে গাজীপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ধানের শীষের নির্বাচন মনিটরিং সেলের সদস্যদের সাথে বৈঠক করেন। পরে গাজীপুরের চাপুলিয়ায় স্থানীয় বিএনপির ইফতার মাহফিলে ও গাজীপুর প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিলে শরিক হন।
শনিবার সকালে নিজ বাস ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে হাসান সরকার সরাসরি ক্রস ফায়ারের সমালোচনা করে বলেন, সবার মতামতের ভিত্তেতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এলাকা ভিত্তিক মসজিদের ঈমাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, পেশাজীবী মানুষকে সাথে নিতে হবে। সবাই জানেন তাদের এলাকায় কারা মাদক ব্যবসা ও অপরাধের সাথে জড়িত। সবার মতামতের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ীসহ সকল অপরাধীদের স্তরে স্তরে শ্রেণী বিন্যাস করতে হবে। এমন অনেকে আছে যারা পরিবর্তন বা সংশোধন হতে পারে, আবার কিছু আছে সংশোধনের সুযোগ পাই নাই; তাদেরকে সংশোধনের রাস্তায় দিতে হবে। আরেক শ্রেণী আছে যারা নিজেদেরকে ক্লিন দেখায়; যেন কিছুই বুঝে না; এরাই এ অবৈধ কাজগুলো করায়, এরাই হলো আসল অপরাধী। সমাজের একশ্রেণীর শক্তিশালী মানুষ এদেরকে সাহায্য করে।
হাসান সরকার বলেন, আমি আগে থেকেই বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তৃতায় বলে আসছিলাম, মাদক দিয়ে এদেশের যুব শক্তিটাকে ধ্বংস করে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একটা জাতির উত্থান-পতন ও সভ্যতার দিকে দাবিত করার প্রথম শক্তি হলো যুব সমাজ। সেই যুবশক্তিকে পরিকল্পিতভাবে ইয়াবা-ফেনসিডিলের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা পরিকল্পিতভাবে তাদের লক্ষ্যে পৌছে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন তো আগুন লেগে গেছে ঘরে। এখন এমন কোন পরিবার নেই, এমন কোন এলাকা নেই যেখানে মাদকের আগ্রাসন নাই। তল্লাশি করতে আরো গভীরে গেলে অবাক হতে হবে। তখন বলবে, হায় ! এ কি ভুল করা হল। এই তরুণ সমাজ এভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কেন। এদেশে যারা বিশেষ বিশেষ জায়গায় অবস্থান করছেন; তারা তো জাতির অনেক দামী মানুষ ছিলেন। তাদের তো অনেক আগে থেকেই বলা হচ্ছিল; তারা তো তখন কর্ণপাত করেন নাই।
তিনি বলেন, আপনার সন্তান যদি ভাল না থাকে তাহলে উন্নয়ন দিয়ে কি করবেন। আমি মনে করি, একটা বিরাট রাস্তার চেয়ে; একটা বিশাল সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন এলাকার চেয়ে; অনুন্নত মাদকমুক্ত একটি এলাকা অনেক ভাল।
খুলনার পরিস্থিতি গাজীপুরে হবে না উল্লেখ করে হাসান সরকার নিজের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভোটাররা নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে সিল মেরে আসবে; এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করুক; ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচন দিক; আল্লাহ্র ওপর ভরসা করে বলতে পারি আমি বিজয়ী হবো। কিন্তু সরকারের এমন সৎ সাহস নাই কেন ? ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচন দিতে তাদের এতো ভয় কিসের।
হাসান সরকার বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে মেধার কোন মূল্য নাই। অন্য চিন্তার মানুষ হলে তার কোন চাকরি নাই। আমি এতো লোককে চাকরি দিয়েছি, বাংলাদেশের কোন অঞ্চল বুঝি নাই; দল বুঝি নাই। আমি যতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছি সবগুলোতে যোগ্য লোক নিয়োগ দিয়েছি। কিন্তু গত ১০ বছরে এই সরকারের আমলে বিভিন্নস্থানে যোগ্য লোককে বসিয়েছে তারা এমন দাবী কি করতে পারবেন ? আমার প্রতিষ্ঠিত দেশের সেরা টপ টেনের একটি প্রতিষ্ঠান টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ গত ১০ বছরে একবারও টপটেন তো দূরের কথা এখন জেলায়ও শ্রেষ্ঠ হতে পরে না কেন ? তিনি বলেন, একটি বলিষ্ঠ জাতি বিনির্মাণ করতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় মেধাবীদের স্থান করে দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।