পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী সংসদ নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ সরকার ও প্রমাণিত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন এবং সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আবদল্লাহপুরে পলওয়েল কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর বিকল্পধারা আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য ও উপেক্ষা করে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন অজুহাতে আটক রাখা পাকিস্তানী এবং ব্রিটিশ আমলের ঔপনিবেশিক মানসিকতা অর্থ্যাৎ বিরোধী দলনে’র স্মৃতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে সরকারকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতেই হবে, যদি তারা আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন এবং সেটাই হবে অভিপ্রেত গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। ঢাকা মহানগর উত্তর বিকল্পধারার সভাপতি মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখে, জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কারযকরি সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় নেতা, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক প্রমুখ।
বি. চৌধুরী বলেন, আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সব বাঁধা দূর করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমতল ক্ষেত্র ভূমি। এই জায়গায় যদি বিভিন্ন ধরনের বাঁধা থাকে তা হলে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে না। এর জন্য প্রথম প্রয়োজন নির্বাচনকালীন সময়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ একটি সরকার এবং প্রমাণিত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে যাতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যগণ তাদের পদমর্যাদার সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে না পারেন।তিনি বলেন, যেহেতু বর্তমান সরকার নিজেদের গণতন্ত্রের প্রতি দৃঢ়বিশ্বাসী বলে বার বার ঘোষণা করছেন, সেহেতু প্রধান দায়িত্ব বর্তমান সরকারের উপরই বর্তায়। হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে আটক রাখলে নির্বাচনে সমতল ক্ষেত্র ভূমি কখনো তৈরি হবে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, মাদক এবং অন্যান্য অজুহাতে কারা নিহত হচ্ছেন আমরা তা জানি না। তাদের নাম, পরিচয় জানি না। দাবি উঠেছে এরা রাজনৈতিক কর্মী। যদি বিভিন্ন অজুহাতে রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা এবং জেলে আটক রাখা হয় এবং একটি বিশেষ গোষ্ঠীর কর্মীদের হাতে ময়দান ছেড়ে দেওয়া হয়, তা হলে সেটা নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র ভূমি হলো না, হবে না। বি. চৌধুরী বলেন, যদি দেশের মানুষ সত্যিকারের বিপদের আশংকাকে উপলব্ধি করতে পারেন এবং দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার খাতিরে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে পারেন শুধুমাত্র তা হলেই এই আশংকাজনক ভবিষ্যতের সম্ভাব্য চিত্র বদলে যেতে পারে। জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব বলেন, আমরা মাদকের বিরোধী কিন্তু বিনাবিচারে হত্যা সমর্থন করি না। খুলনার নিরবাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। কিন্তু গাজীপুরে এমন কিছু করার চেষ্টা করলে যুদ্ধ বেধে যাবে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মাদকের নামে বিনাবিচারে ৫৪ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যারা হত্যা করেছে তাদেরও বিচার করা হবে। তিনি রোজার পর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যুক্তফ্রন্টের সাথে বিএনপিকে রাজপথের আন্দোলনে নামার আহহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।