পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নানা প্রতিকূলতার মাঝেও ইসলামের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে আগরতলার গেদু মিয়া মসজিদ। অনিন্দ্য সুন্দর ও নকশাকৃত মসজিদটি স্থানীয় মুসলমানদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় গেদু মিয়া নামের এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠা করেন তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই সুন্দর মসজিদটি। তার নাম অনুসারেই মসজিদটি পরিচিতি পায়। জানা যায়, ঢাকার দক্ষ মিস্ত্রি দিয়ে নির্মাণ কাজ করা হয় মসজিদটির। মসজিদটি নির্মাণ করতে সময় লাগে তিন বছর। সুন্দর মসজিদ নির্মাণে খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। এক সময় এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে দূর দুরান্ত থেকে লোকজন আসতো। কিন্তু এখন আর তেমন মুসল্লি হয়না। ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এখানে মুসলামানদের সংখ্যা অনেক কম। দেশভাগের আগে প্রচুর মুসলিমের বসতি ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এখানকার মুসলমানরা অন্যান্য স্থানে চলে যায়। বর্তমানে এ এলাকার মুসলিম এক পরিবারই এখানে আছেন। তারাই এই মসজিদের দেখাশোনা করেন। এই পরিবারেরই একজন, ইমাম আবুল ফজল খুদরি। তিনিই দীর্ঘদিন ধরে এই মসজিদে ইমামতি করছেন। নিয়মিত পড়িয়েছেন ৫ওয়াক্ত নামাজ। তার বয়স এখন ৯০ বছরের মতো। বর্তমানে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তিনিও এখন আর ইমামতি করতে পারছেন না। মসজিদ ও সংলগ্ন ঈদগাহ মিলিয়ে স্থানীয় মুসলমানদের দানের সাড়ে ৩ বিঘা জায়গা। মসজিদ সংলগ্ন একটি পুকুর। পুকুর ক্রয় কারা হয়েছিল মুসল্লিদের অজু-গোসলের সুবিধার্থে। মসজিদের ভেতরে ৩টি ও বারান্দায় ২টি কাতার হয়। প্রতি ঈদে ২টি বড় জামাত হয়। তখন মাঠ ভরে যায় মুসল্লিতে। মসজিদের সামনে রয়েছে গেদু মিয়া ও তার স্ত্রীর কবর। এসব কথা জানালেন ইমাম আবুল ফজল খুদরির ছেলে মোহাম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, আমি অন্ধ মানুষ তবুও এই মসজিদের বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের পরিবারের লোকজন অনেক বছর যাবৎ এ মসজিদের কাজ করছেন। আমার বাবা অসুস্থ হওয়ার পর অনেক কাজ আমরা করতে পারিনা। ওয়াক্তের সময় আজান হয় কিন্তু জামাত হয় না। বেশিরভাগ সময় একাই নামাজ আদায় করতে হয়। অনেক সময় মুসল্লিদের নিজেদের আজান দিয়েও নামাজ আদায় করতে হয়। ঈদের জামাতে অনেক লোকজন আসেন। মসজিদও মসজিদের বাইরের মাঠ ভরে যায়। রোজার সময় ইফতারি হয় নিজেদের মতো। তারাবি নামাজে কয়েকজন লোক হয়।
আগরতলার এক মুসল্লি নজরুল ইসলাম বলেন, শিবনগরের গেদু মিয়ার মসজিদ অনেক সুন্দর এবং পুরাতন মসজিদ। তিনি মাঝে মাঝে এখানে নামাজ আদায় করতে আসেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নামাজের ব্যবস্থা থাকলেও তেমন মুসল্লি হয় না। আশে পাশে মুসলিম বাড়ি কম থাকার কারণে মুসল্লি কম হয় বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, তবে এখানে নামাজ আদায় করতে আসেন এলাকার বাইরের মানুষ। দিল্লি, আসাম, শিলং, কলকাতা ও ঢাকা থেকেও লোক আসেন মসজিদটি দেখতে। আর মসজিদটি দেখতে আসা অনেকেই এখানে নামাজ আদায় করেন। শুক্রবার জুমার নামাজে অনেক মসল্লি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।