Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৮, ২:১৩ পিএম

পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শুক্রবার সকালে দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত এই ভবনের ফলক উন্মোচন করেন।
 
এসময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ছাড়াও বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিশ্বভারতীর ৪৯তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেন সম্মানিত অতিথি হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে মোদী এবং অতিথি হিসেবে মমতাও ছিলেন সমাবর্তন মঞ্চে।

বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত এই ভবনে রয়েছে ৪৫০ আসনের প্রেক্ষাগৃহ, যা বিশ্বভারতীতে থাকা প্রেক্ষাগৃহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়।

এ ভবনে নির্মিত হয়েছে আধুনিক থিয়েটার, প্রদর্শনী কক্ষ, বিশাল লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরিতে রয়েছে সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক সম্পর্কিত গ্রন্থ।

এ ছাড়া ভবনের প্রবেশদ্বারের দুই প্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুর‌্যাল স্থাপন করা হয়েছে।

বিকালে শেখ হাসিনা কলকাতা ফিরে এসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন।

সন্ধ্যায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতা চেম্বার নেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

শনিবার প্রধানমন্ত্রী আসানসোলে যাবেন। সেখানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। পরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেবেন।

আসানসোল থেকে কলকতা ফিরে শনিবার বিকালে নেতাজী যাদুঘর পরিদর্শন করে রাতেই ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৬ মে, ২০১৮, ১:৫৫ এএম says : 0
    পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন দুই দেশের সম্পর্কের এক মাইল ফলক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই অনুষ্ঠানে দুইদেশের প্রধানমন্ত্রী এই মাইল ফলক উদ্বোধন করলেন যেটা ইতিহাসের পাতায় বন্ধুত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এটাই সত্য। আমরা আশা করব এই সম্পর্ক আরো উন্নত হবে যখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা এপারের জনগণকে দিবেন। আল্লাহ্‌ আমাদের সহায়ক কাজেই আমরা বিশ্বাস করি আজ অথবা কাল এই পানির ন্যায্য হিস্যা আমরা পাবই এটাই মহা সত্য তাই না?? আল্লাহ্‌ মানুষ সৃষ্টি করেছেন মানুষেরই জন্য এটাই মহা সত্য। আমি এই কথাটা সাধক প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এবং জন দরদী পশ্চিমবঙ্গের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে স্মরণ করাতে চাই এই লিখার মাধ্যমে। আল্লাহ্‌ আমাদের ভাল কাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য ক্ষমতা দান করুন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ