পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাঁশখালীর গন্ডমারায় প্রতিবাদী জনগণের উপর গুলি চালিয়ে নির্মম হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)। তিনি বলেন, প্রতিবাদ করতে পারা জনগণের অধিকার, কিন্তু গুলি চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ চলানো সরকারি অসভ্যতার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছুই নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, অব্যাহত নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদ, রাজনৈতিক সহিংসতা খুন-গুম-হত্যা বন্ধ, সন্ত্রাস দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল (শুক্রবার) বাদ জুমা ঐতিহাসিক আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেইট চত্বরে ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাঁশখালীতে আহত-নিহত পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, স্থানীয় এমপির ঘোষিত ১০ লাখ টাকা কিছুই নয়। বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করে পরিবেশ এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হিসেবে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিকর কিনা তা যাচাই না করে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নগর সভাপতি জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় এলেই নাস্তিক্যবাদীদের আস্ফালন বেড়ে যায়। নাস্তিক্যবাদীরা সব ধর্মেরই দুশমন। জাতিকে ধর্মহীন করে পশুতে পরিণত করতে চায়। ধর্মবিমুখতার পথে হেঁটে জাতি কী পেয়েছে প্রশ্ন রেখে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, অধার্মিক এবং ধর্মবিমুখ মানুষদের ক্ষমতায়নের ফলে সরকারে এবং প্রশাসনে দুর্নীতি, চুরি এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুটপাট চলছে। প্রশাসনে আল্লাহভীরু এবং সরকার ব্যবস্থা ধর্মপরায়ন হলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হতো না, কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত হতো দেশ। দেশে যত খুন-খারাবি, হত্যা-ধর্ষণ সবই মানুষের ধর্মীয় অনুশাসনের বিরোধিতা এবং নীতি-নৈতিকতাহীনতার ফল।
সুরক্ষিত সেনানিবাস এবং পবিত্র মসজিদেও মানুষের নিরাপত্তা নেই উল্লেখ করে পীর সাহেব বলেন, এ ধরনের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়, কিন্তু আইনের শাসনের অভাবে দেশে এ ধরনের ঘটনা পুনঃপুন ঘটতে থাকে। এতে প্রমাণিত হয় সরকার এবং দেশের বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
সরকার দুর্নীতিবাজ এবং সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত আখ্যায়িত করে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইউপি নির্বাচনের নামে যা চলছে তা নির্বাচন নয়, সন্ত্রাসী-দুর্নীতিবাজদের পুনর্বাসন চলছে। সরকার জনগণকে ভয় পায়, তাই কেন্দ্র দখল এবং ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে দলীয় ক্যাডারদের ক্ষমতায়ন করছে। সুষ্ঠু ভোট হলে জনগণ এদের প্রত্যাখ্যান করতো।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ-আইয়িম্মা পরিষদ নেতা মুফাসসিরে কুরআন হাবিবুর রহমান মেসবাহ, আবুল কাশেম মাতব্বর, নুরুল ইসলাম বিএসসি, অধ্যাপক মাওলানা রফীকুল আলম, হাফেজ মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, মুহাম্মদ আল-ইকবাল, ইউনুস মোল্লা, ডা. রেজাউল করীম, ফোরকান সিকদার, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।