পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সদস্য সোহাগী জাহান তনু হত্যাক-ের ১৮দিন পার হলেও হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি। তদন্ত সংস্থা ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)-র তদন্ত দল তনুর পরিবারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেও ঘটনার ক্লু উদঘাটন করতে পারছেন না। গতকাল শুক্রবার আবারও সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর্বে আসতে হয়েছে নিহত তনুর ভাই-বোন, বান্ধবীসহ ক্যান্টবোর্ডের কর্মচারীকে। তার আগে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সেনানিবাসের পাঁচ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডির তদন্ত সহায়ক দল। সোহাগী জাহান তনু হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে সিআইডির তদন্ত সহায়ক দল বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনো ঢাকায় বৈঠক, কখনো কুমিল্লায়। কখনো সিআইডির কুমিল্লা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, কখনো ঘটনাস্থল সেনানিবাসে। যাকেই জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন মনে করছেন সিআইডি কর্মকর্তারা তাকেই তা করছেন। সিআইডির ধারণা, তনু ও ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদে কিছু একটা তো বেরিয়ে আসবে এ হত্যাকা- নিয়ে। তাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাওয়া যায় কিনা। ইতিপূর্বে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যদিয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনারও রহস্য উদঘাটিত হয়েছে এমন নজিরও রয়েছে। সিআইডি মামলাটির তদন্তভার হাতে নেয়ার পর তনুর পরিবারসহ স্বজনদেরও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। গতকাল শুক্রবার তনুর বড় ভাই নাজমুল হোসেন, চাচাতো বোন লাইজু জাহান, তনুর বান্ধবী মনিষা এবং তনুর বাবার কর্মস্থল ক্যান্টমেন্ট বোর্ডের কর্মচারি আছমাইল হোসেনসহ পাঁচজনকে কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সকাল সাড়ে আটটায় তাদেরকে কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। ঢাকা থেকে আসা সিআইডির একটি দল সকাল ১১টা পর্যন্ত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে সিআইডির এ দলটি কুমিল্লা সেনানিবাসে যায়।
এদিকে ঢাকা ও কুমিল্লা সিআইডির একটি সমন্বিত দল কুমিল্লা সেনানিবাসের পাঁচ সদস্যকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এনময় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ও তনু হত্যা মামলা তদন্ত সহায়ক কমিটির প্রধান আবদুল কাহহার আকন্দসহ সিআইডির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিআইডি কুমিল্লা-নোয়াখালি অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ও তদন্ত সহায়ক কমিটির সদস্য ড. নাজমুল করীম খান জানান, তনু হত্যার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে লাশ উদ্ধারের সময় পর্যন্ত ওই রাস্তায় করা কখন কিভাবে দায়িত্ব পালন করেছে সেই বিষয়ে ধারণা নেয়ার জন্যই সেনা সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে আরো অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
চাঞ্চল্যকর তনু মামলাটি পুলিশ ও ডিবির হাতবদল হয়ে তদন্ত করছে সিআইডি। সিআইডি ঢাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে তদন্ত সহায়ক কমিটি। সিআইডির উচ্চ পর্যায়ের এ কমিটি কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় তনুর লাশ উদ্ধারের স্থানসহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন এবং তনুর মা, বাবা, ভাই-বোন, ডাক্তার, নার্সকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গতকাল পর্যন্ত সিআইডির এদলটি সেনাসদস্য ও তনুর বান্ধবীসহ অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষন করে এবং দ্বিতীয় ময়না তদন্তের রিপোর্টে কি পাওয়া যায় তা ধরে মামলাটি দৃশ্যমান অগ্রগতির পথে এগুবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।