পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাঁশখালীর গ-ামারায় প্রতিবাদী গ্রামবাসীর ওপর পুলিশের গুলিতে নিহত চারজনের শোকসভায় হাজারো মানুষের ঢল নামে। গতকাল (শুক্রবার) স্থানীয় হাদিরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই শোকসভা থেকে চারজন গ্রামবাসীকে হত্যার প্রতিবাদ, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলে সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। ‘বসতভিটা ও কবরস্থান রক্ষা কমিটি’ ব্যানারে আয়োজিত শোকসভা থেকে রোববার কাফনের কাপড় পরে উপজেলা প্রশাসন ঘেরাও করার কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।
শোক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলছি, বল এখনো মিডফিল্ডে আছে। এটি একটি নির্দলীয় জনগণের আন্দোলন। এই বল যদি কোনো সরকারবিরোধী পক্ষ নিয়ে সরকারের জালে ঢুকিয়ে দেয়, তাহলে পরিস্থিতি কী হবে তা আপনি ভেবে দেখুন।’
তিনি আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ভেবে দেখুন গ-ামারায় যদি আর একটি লাশও পড়ে, তখন আপনার সরকারের কী অবস্থা হবে।’ বসতভিটা ও কবরস্থান রক্ষা কমিটির এ নেতা সোমবারের সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘গ-ামারায় যতগুলো লাইসেন্স করা অস্ত্র আছে, সেই অস্ত্রগুলো যদি ওই দিনের জনসভায় নিয়ে আসতাম। তবে কোনো পুলিশ এখান থেকে ফিরে যেতে পারত না। গ-ামারার মানুষ শান্তিপ্রিয় হলেও তাদের বুকের পাটা অনেক বড়। সেটা পুলিশ জানে না। তিনি বলেন, ‘অনেক হয়েছে আর নয়। সোমবারের হামলায় গ্রামবাসী মার খেয়েছে, এবার আর তা হবে না, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে প্রস্তুত থাকুন। এবার হবে প্রতিরোধ। সরকার মহাশয়কে বলেছি, আগামী শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নিন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ আন্দোলন চালানোর জন্য একটি শক্তিশালী কমিটির প্রয়োজন। আমরা আপনাদের সাথে আছি, থাকব। এদিকে দুপুরে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
পরে হাদিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি শাহ আলম প্রমুখ। এ সময় আনু মুহাম্মদ বাঁশখালী হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।