Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাছের ব্যাংক হালদার মরণদশা

ব্যাপক দূষণ ভরাট গতিপথে বাধা : ১৫ কিলোমিটার নদী শুকিয়ে যাচ্ছে : অসময়ে ডিম ছাড়ছে মা মাছেরা

প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শফিউল আলম : নদীর নাম হালদা। অন্য যেকোনো নদ-নদীর তুলনায় হালদার রয়েছে অনন্য ও আলাদা বৈশিষ্ট্য। বিশ্বের তাবৎ নদী গবেষকদের কাছে ব্যতিক্রমী এ নদীটি চেনা-জানা। হালদা হচ্ছে এশিয়ার একমাত্র জোয়ার-ভাটানির্ভর নদী যেখান থেকে সরাসরি রুই, কাতলা, মৃগেল (কার্প) জাতীয় মিঠাপানির মাছের ডিম সংগ্রহ করা হয়। মৌসুমের প্রথম দু-তিন দফায় তুমুল বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের যুৎসই সময়েই রুই, কাতলা, মৃগেল জাতীয় মা মাছেরা দল বেঁধে হালদা নদীর বুকে ডুবভাসি করে করে ডিম ছাড়ে। সেই ডিম থেকে ফোটানো রেণু পোনা-বীজ জেলেদের হাতবদল হয়ে সমগ্র দেশে মাছচাষি ও খামারিদের কাছে পৌঁছে যায়। হালদার ডিম বা রেণু-পোনার মৃত্যুহার খুবই কম এবং তা দ্রুত বর্ধনশীল। এমনিভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে হালদা নদীর প্রত্যক্ষ অবদান বার্ষিক অন্তত ৮ শ’ কোটি টাকার। আর ফল-ফসল, কৃষি খামারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নদীটির অবদান কয়েক হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ। কর্মসংস্থান নিশ্চিত করছে অন্তত এক লাখ মানুষের।   
সম্পদ, অর্থনৈতিক অবদানসহ বেশ কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণে হালদা নদী বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মিঠাপানির ‘জাতীয় মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র’ হিসেবে ঐতিহ্যের দাবিদার। বিশেষজ্ঞরা হালদা নদীকে বলে থাকেন ‘মাছের ব্যাংক’। এই ‘ব্যাংক’ মাছ তথা দেশের জনগণের জন্য অপরিহার্য আমিষের সবচেয়ে বড় জোগানদার। রুই-কাতলা ছাড়াও ৫০টিরও বেশি প্রজাতির অর্থকরী মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হচ্ছে হালদা। নদী বিশেষজ্ঞরা একে আল্লাহর অপার দান হিসেবে দেখেন। কিন্তু প্রধানত মানুষের সৃষ্ট বিভিন্নমুখী অপরিণামদর্শী কর্মকা-ের অনিবার্য পরিণতিতে হালদা নদীটি তার আপন বৈশিষ্ট্যগুলো হারাতে বসেছে। এতে করে ‘মাছের ব্যাংক’ হালদার এখন মরণদশা চলছে। যদিও হালদার চাপা কান্না কেউই দেখে না। বিরামহীনভাবে ব্যাপক দূষণ, ভরাট, বেদখল, নদীর গতিপথে হরেক বাধার মধ্য দিয়ে মানুষই হালদার টুঁটি চেপে ধরছে। তাছাড়া লবণাক্ততার বিস্তার এবং আবহাওয়া-জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তনের ধারায় বিপন্ন অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য বিচরণক্ষেত্রটি। এর নেতিবাচক প্রভাবে অকালে বা অসময়ে বিক্ষিপ্তভাবে ডিম ছাড়ছে মা মাছেরা। ডিম ছাড়ার হারও কমে আসছে। মাছের জন্য বিষিয়ে উঠছে পরিবেশ।  
দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন-সমিতি, বিশেষজ্ঞম-লী, পরিবেশবাদী, চাটগাঁবাসীর উদ্যোগে হালদা নদীর প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্রটির সুরক্ষায় সভা-সেমিনার, কর্মশালা, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ইত্যাদি আয়োজন সত্ত্বেও হালদার ধ্বংসকরণ প্রক্রিয়া এখনও থেমে নেই।
এ অবস্থায় গত ৭ এপ্রিল বজ্রবৃষ্টি, প্রবল জোয়ার বা কোনোরকম আগাম আলামত ছাড়াই হালদার বুকে রুই, কাতলা, মৃগেল জাতীয় মা মাছেরা বিক্ষিপ্তভাবে ‘নমুনা ডিম’ ছেড়েছে। মা মাছের আনাগোনা টের পেয়ে স্থানীয় অভিজ্ঞ মৎস্যজীবীরা নদীতে জাল ফেলে ডিমের অস্তিত্ব পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হালদায় জোয়ারের সাথে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করার কারণে এ পরিবেশ সহ্য করতে না পেরে মাছের ডিম নিঃসরণ হতে পারে। তবে আগামী পূর্ণিমা তিথিতে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত হলে তখন আরো বেশি হারে মা মাছের দল ডিম ছাড়তে পারে।
বিশিষ্ট নদী গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো: মনজুরুল কিবরিয়া গতকাল (শুক্রবার) হালদা নদী এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, হালদা নদী বাংলাদেশের রুইজাতীয় মাছের একমাত্র বিশুদ্ধ প্রাকৃতিক ‘জিন ব্যাংক’। জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্ব বহনকারী হালদা নদী বিভিন্ন উপায়ে বর্তমানে দূষণের শিকার। এর মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার হরেক বর্জ্য, ট্যানারি বর্জ্য, উজানে তামাক চাষের বর্জ্য, কীটনাশকের ব্যবহার ইত্যাদি কারণে হালদা নদীটির ৯৮ কিলোমিটার গতিপথে মারাত্মক দূষণ ঘটছে। এতে করে হালদা নদীর মিঠাপানির প্রাকৃতিক প্রজনন তথা মাছের স্বাভাবিক উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হচ্ছে। নদীর গতিপথে রাবার ড্যাম ও বাঁক সৃষ্টি করায় নদীর প্রবাহ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে করে নদীর গতিপথে প্রায় ১৫ কিলোমিটার নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক কিবরিয়া আরো বলেন, সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে এবং হালদা তীরবর্তী জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে হালদাকে অবিলম্বে সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় হালদার বিপর্যয় রোধ করা যাবে না।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক হালদা গবেষক-সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী ইনকিলাবকে বলেন, পৃথিবীর অনন্য প্রাকৃতিক জোয়ার-ভাটানির্ভর মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীকে সুরক্ষার লক্ষ্যে হালদায় লবণের আগ্রাসন রোধ, বাঁক কাটা বন্ধ, বিভিন্নমুখী দূষণ রোধ, রাবার ড্যাম অপসারণ, নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ঠিক রাখা, মা মাছ শিকার বন্ধ করা ইত্যাদি পদক্ষেপ দ্রুত নেয়া হলে হালদায় প্রজনন উপযোগী পরিবেশ ঠিকে থাকবে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে হালদার গতিপথে ১১টি বাঁক ও দু’টি রাবার ড্যাম নির্মিত হয়েছে, যা বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।    
হালদা নদী থেকে আহরিত নিষিক্ত ডিম হতে বিশেষ পদ্ধতিতে ফোটানো রুই, কাতলা, মৃগেলজাতীয় মিঠাপানির মাছের রেণুপোনা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় সরবরাহ করা হয়। এই রেণুপোনার মৃত্যুহার কম। তাই চাহিদাও বেশি। এ নদীর সাথে কৃষিজ উৎপাদনসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকা- যোগ করলে একক নদী হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে হালদার অবদান তাৎপর্যবহ। তাছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরী ও শহরতলীসহ নদীটির আশপাশ এলাকার প্রায় ৭০ লাখ অধিবাসীর জন্য সুপেয় পানির প্রধান উৎস হালদা। চট্টগ্রাম ওয়াসা মোহরা পানি শোধনাগারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৪ কোটি গ্যালন পানি উত্তোলন করে নগরবাসীর জন্য পানির চাহিদা পূরণ করছে।
এদিকে রুই, কাতলাজাতীয় মা মাছ ধরা ‘কঠোরভাবে’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও রাউজান, হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ মৎস্য শিকারিরা রাতের আঁধারে প্রতিনিয়ত জাল দিয়ে মা মাছ শিকার করছে। হালদা নদী থেকে অবৈধ ও বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলনের ফলে মা-মাছের নিরাপদ চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। রাউজানের পশ্চিম নোয়াজিশপুর থেকে নগরীর মোহরা এলাকা পর্যন্ত ড্রেজার দিয়ে ও পাওয়ার পাম্প বসিয়ে নদীর দুই পাড়ে ডেলিভারি পাইপে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। হালদা জোয়ার-ভাটার নদী। সমুদ্র থেকে এর দূরত্ব ১০-১২ কিলোমিটার হওয়ায় জোয়ার-ভাটার প্রভাব রয়েছে এই নদীতে। লবণাক্ততা হালদার বর্তমান সময়ের প্রধান সমস্যা। লবণাক্ততা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হালদা ও এর শাখা নদীগুলোতে রাবার ড্যাম, বাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণ। বঙ্গোপসাগর মোহনা থেকে অনতিদূরে হওয়ায় হালদা নদীর ওপর জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে।   
একটি নদী জীবিত নাকি মৃত তা নির্ভর করে নদীর প্রবাহের ওপর। অর্থাৎ পানির প্রবাহ হচ্ছে নদীর প্রাণ। প্রবাহের মাধ্যমেই নদীর গভীরতা, জীববৈচিত্র্য, তৎসংলগ্ন এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর, পানির গুণাগুণ নিয়ন্ত্রিত হয়। বাঁধ বা ড্যাম তৈরির মাধ্যমে এক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। নদীর প্রবাহের ওপর নির্ভর করে একটি নদীর সার্বিক বস্তুতান্ত্রিক পরিবেশ। হালদা নদীর উজানে নির্মিত রাবার ড্যামের মাধ্যমে আপাতদৃষ্টিতে ড্যামের উজান অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হলেও হালদার পানিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে নদীর পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। ড্যামের ভাটিতে অবস্থিত নদীর অংশবিশেষের পানির গুণগত মান পরিবর্তিত হচ্ছে। উজানে রাবার ড্যাম নির্মাণের ফলে ভাটিতে গত কয়েক বছর যাবত মারাত্মক পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এমনকি অনেক জায়গায় পানির প্রবাহ প্রায় শূন্য হয়ে গেছে। ফটিকছড়িতে রাবার ড্যামের ভাটি এলাকায় ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। ফসল আবাদ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত।
উজানে হালদার অবস্থান পাহাড়ি এলাকায়। এখানে জুম চাষ, পাহাড়ের বৃক্ষ নিধন, জমি চাষ ইত্যাদি কারণে বর্ষা মৌসুমে প্রচুর পলি-বালি-মাটি পাহাড়ি ঢলের সাথে হালদার ভাটির দিকে নেমে আসে। কিন্তু হালদার দুই পাশের শাখা খাল ও ছড়াগুলোতে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ তৈরি, রাবার ড্যাম এবং স্লুইস গেট নির্মাণের কারণে উজানের পানির চাপ ও স্রোতের গতি কমে গেছে। ফলে উজান থেকে আসা পলিমাটি নদীতে তলানি হিসেবে জমা হয়ে প্রতিনিয়ত নদী ভরাট হচ্ছে। প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রের গভীরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে।  
রাবার ড্যামের বিরূপ প্রভাবে পানির স্বল্পতা ও পানির গুণাগুণ পরিবর্তনের ফলে নদীতে জীববৈচিত্র্যের পরিমাণও কমে যাচ্ছে। নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণে মাছ ও অন্যান্য জলজ জীববৈচিত্র্যের খাদ্যের উৎস সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এককালে ৭৬ প্রজাতির মাছ হালদায় পাওয়া যেত। অনেক মাছের প্রজাতি ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে। হালদা অনেক ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণীর আদর্শ আবাসস্থল ছিল। এর মধ্যে শুশুক, হুস্তুম মাছ বা গাঙ্গেয় ডলফিন নামে পরিচিত। শুশুক বা ডলফিন আইইউসিএন-এর রেড লিস্ট অনুযায়ী বিপন্ন তালিকার স্তন্যপায়ী প্রাণী। পানির প্রবাহের কারণে হালদার পরিবেশ বিপর্যয়, দূষণ এবং খাদ্যাভাবের ফলে হালদা থেকেও আশঙ্কাজনকভাবে এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ হ্রাস পেলে দূষণ ও দখলের মাত্রাও বেড়ে যায়। হালদার উজানে ফটিকছড়ি, নারায়ণহাট ও নাজিরহাটের মতো বেশ কিছু বড় বড় বাজার ও বাণিজ্যিক স্থান রয়েছে। প্রতিদিন এসব স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য নিক্ষিপ্ত হয়। হালদা অববাহিকার জনবহুল এলাকার বর্জ্য, কৃষি বর্জ্য, বাজারের বর্জ্য, পোল্ট্রি ফার্ম বর্জ্য ইত্যাদি হালদা নদীতে ফেলা হয়। এতে করে পানির প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় মারাত্মক অবস্থার শিকার হালদা নদী। একই সাথে চাষাবাদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর নির্মাণের মধ্যমে হালদা নদীর চওড়া ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। হালদা নদী রক্ষা কমিটি এ নদীটিকে ‘প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন’ এলাকা ঘোষণা, বাংলাদেশের অদ্বিতীয় নদী হিসেবে ‘জাতীয় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ঐতিহ্য’ হিসেবে সংরক্ষণের ঘোষণা, হালদার মা-মাছের সংখ্যা নিরূপণের জন্য শুমারি পরিচালনা করার তাগিদ দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাছের ব্যাংক হালদার মরণদশা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ