পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে দেয়ার শ্রুতিমধুর স্লোগান দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকার কার্যত গোটা জাতির ওপর নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুতত্ত্বের আদর্শ চাপিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঈমান-আক্বিদাভিত্তিক বৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।
গতকাল (শুক্রবার) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের নেতারা আরো অভিযোগ করেন, বর্তমানে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে ইসলামী ভাবধারার লেখা বাদ দিয়ে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের গরুকে মায়ের সম্মান, পাঁঠাবলির নিয়ম, হিন্দুদের তীর্থস্থানের ভ্রমণ কাহিনী এবং হিন্দু রীতিনীতি ও দেব-দেবীর নামে প্রার্থনা করার বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে।
তারা বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে চলমান উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ইসলামী আক্বিদা-বিশ্বাস এবং দাড়ি-টুপি ও পীর-মাশায়েখবিরোধী কাল্পনিক কাহিনীর প্রশ্ন জুড়ে দিয়ে লাখ লাখ মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীকে ইসলামবিমুখ ও হিন্দুত্ববাদের মহানুভবতা প্রকাশ পায়, এমন উত্তর লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুল-কলেজের বর্তমান ইসলামবিরোধী শিক্ষাকে আইনি ভিত্তিদান এবং কওমি মাদ্রাসাসমূহকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে সরকার প্রস্তাবিত শিক্ষাআইন-২০১৬ নামে একটি বিতর্কিত খসড়া আইন প্রকাশ করে তড়িঘড়ি পাস করার উদ্যোগ নিয়েছে।
তারা শিক্ষা নিয়ে সরকারের এসব কর্মকা-কে বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও নৈতিক আদর্শের বিরোধী উল্লেখ করে অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেছেন, অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বিবৃতিতে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বিদ্যমান ইসলামবিরোধী শিক্ষাব্যবস্থা বাতিল ও জাতীয় আকাক্সক্ষার প্রতি সঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষানীতি ও আইন প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, আপনি বহুবার বলেছেন যে, কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন পাস করা হবে না এবং মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ চালাবেন। সুতরাং এ বিষয়ে আপনার বিশাল দায়িত্ব রয়েছে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, হেফাজতে ইসলামের আমীর শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী, নায়েবে আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা তফাজ্জল হক হবিগঞ্জী, মাওলানা আব্দুল মালেক হালিম, মাওলানা হাফেজ শামসুল আলম, মাওলানা মুফতি মুজাফফর আহমদ, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনাইদ বাবুনগরী, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা সলিমুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ আনাস মাদানী, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মুঈনুদ্দীন রুহী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।