পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাটকে এক সময় বলা হতো সোনালী আঁশ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাট রফতানী করে বাংলাদেশ বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করতো। পরবর্তীতে চিংড়ি রফতানী করে ফুলেফেপে উঠে দেশের অর্থনীতি। কিন্তু বিশ্ববাজারে চা চিংড়ি’র চাহিদা আগের অবস্থায় নেই। এখন প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পাশাপাশি তৈরি পোশাক, ঔষুধ, চামড়া রফতানী করে দেশের রিজার্ভের পারদ সচল রয়েছে।
চা রফতানী হচ্ছে সীমিত পরিসরে। কিন্তু এই চা রফতানী করে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা সম্ভব। প্রয়োজন পরিকল্পনা এবং কার্যকর পদক্ষেপ। আগে শুধু পাহাড়ি এলাকায় চা উৎপাদন হলেও এখন পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও নিলফামারীর সমতলেও চা উৎপাদন হচ্ছে। বলা যায় দেশে চা উৎপাদনে বিপ্লব ঘটে গেছে। চায়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ১৫ লাখ মানুষ। অথচ অর্ধ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা যায় চা উৎপাদনে। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চা রফতানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এর মধ্যে প্রথম ২ মাসে আয় হয়েছিল ৩ লাখ ২০ হাজার ডলার। শুধু কী বৈদেশিক মুদ্রা! চা বাগান পর্যকটদের জন্য হতে পারে নয়নাভিরাম স্পট। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) চা রফতানিতে রেকর্ড পরিমাণ আয় হয়েছে। অর্থবছর শেষ হওয়ার ১০ মাস আগেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৮ লাখ ডলার বেশি আয় হয়েছে। দুই মাসে চা রফতানি করে আয় হয়েছে ৮৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৮৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। দুই মাসে চা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। চলতি অর্থবছরে চা রফতানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ লাখ ডলার। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, কুয়েত, ওমান, সুদান, পাকিস্তান, ইরান, আফগানিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চা’য়ের বাজার রয়েছে। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে চা’র উৎপাদন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভালো মানের চায়ের রফতানিও বাড়ছে।
গত অর্থবছরে চাহিদার তুলনায় প্রায় ১০ মিলিয়ন কেজি বেশি চা উৎপাদন বেশি হয়েছে। ওই অতিরিক্ত চা এখন বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালে দেশের ১৬২টি বাগানে চা উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে আট কোটি কেজি। এসময় চায়ের চাহিদা ছিল ৮ কোটি ১৬ লাখ কেজি। এই হিসাবে চাহিদার চেয়ে চা উৎপাদন বেশি হয়েছে ৩৪ লাখ কেজি। যদিও এই সময়ে একইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ চা আমদানি হয়েছে। চা বোর্ডের তথ্য মতে, বাংলাদেশ থেকে চা রফতানিতে শীর্ষে রয়েছে ১৯৯০ সাল। ওই বছরে চা রফতানি হয় ২ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার কেজি। তবে গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ চা রফতানি হয় ২০০২ সালে। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে পণ্যটি রফতানি হয় ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার কেজি। এরপর ২০০৩ সালে রফতানি কিছুটা কমে নেমে আসে ১ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার কেজিতে। ২০০৪ সালে আবার চা রফতানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার কেজি। পরে ২০০৯ সাল থেকে চা রফতানির পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমে যায়। ওই বছর রফতানিয়ে হয়েছিল মাত্র ৩১ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা। পরের বছর তা নেমে আসে মাত্র ৯ লাখ ১০ হাজার কেজিতে। ২০১১ সালে ১৪ লাখ ৭০ হাজার কেজি ও ২০১২ সালে ১৫ লাখ কেজি চা রফতানি হলেও ২০১৩ সালে চা রফতানি হয় মাত্র ৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি।
২০ মে ছিল চা শ্রমিক দিবস। ১৯২১ সালের এই দিনে হাজার হাজার চা শ্রমিককে দমিয়ে রাখার উদ্দেশে অসংখ্য শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে বৃটিশ শাসকেরা।
শ্রমিকদের ওপর অব্যাহত নির্যাতনের প্রতিবাদে তৎকালীন চা শ্রমিক নেতা পÐিত গঙ্গাচরণ দীক্ষিত ও পÐিত দেওসরন ‘মুল্লুকে চল’ (দেশে চল) আন্দোলনের ডাক দেন। ১৯২১ সালের ২০ মে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা শ্রমিক সিলেট থেকে হেঁটে চাঁদপুর মেঘনা স্টিমার ঘাটে পৌঁছান। কিন্তু চা শ্রমিকদের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। দীর্ঘ ৯৭ বছরে জাতীয়ভাবে দিবসটি স্বীকৃতি পায়নি। যেখানে ক্ষেতমজুর ও কলকারখানার শ্রমিকরা প্রতিদিন ৩শ থেকে ৬শ টাকা আয় করে; তখন দুঃখজনক হলেও সত্য এখনো চা শ্রমিকদের মুজুরি রয়ে গেল ৮৫ টাকাতেই। শ্রমিকদের সময়োপোযোগী পারিশ্রমিক দিয়ে নতুন নতুন পরিকল্পনা করে চা উৎপাদনের দিকে নজর দিলে শুধু চা রফতানী করে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে এই উপমহাদেশের মানুষ চা পান করতেন না। নবাব সিরাজ উদ দৌল্লা’র পরাজয় এবং ইংরেজরা বাংলা-বিহার উড়িষ্যা দখলের পর চা পানের প্রচলন শুরু হয়। তখন নীল চাষের মতোই জোর করেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উপমহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় চা চাষ শুরু করে। ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালিনীছড়া চা বাগানে চাষ শুরু করে। ওই সময় বৃহত্তর সিলেটে চা বাগান তৈরির জন্য ভারতের আসাম, উড়িষ্যা, বিহার, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিক নিয়ে আসে তারা। বাংলাদেশের চা পৃথিবীব্যাপি ‘সিলেট টি’ নামে ছিল খ্যাত। কিন্তু এখন অভ্যন্তরীণ চাহিদা তুঙ্গে, সেকারনে রপ্তানী নামক্ওায়াস্তে। এতে পিছে পড়া নয়, বরং অভ্যন্তরীন চাহিদা মেটানোই মূখ্য সফলতা। ১৯৭০ সালে চায়ের উৎপাদন ৩০ মিলিয়ন কেজি, সেখানে অভ্যন্তরীন চাহিদা ছিল ১ থেকে দেড় মিলিয়ন কেজি। ২০১৬ সালে উৎপাদন হয়েছে ৮৫.০৫ মিলিয়ন কেজি, অভ্যন্তরীন চাহিদা ছিল ৮১.৬৪ মিলিয়ন কেজি ২০১৭ সালে উৎপাদন ৭৮.৯৫ কেজি, অভ্যন্তরীন চাহিদা ৮৫.৯৩ কেজি। দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ চা পান করছে বর্তমানে। চা পান করছেন পৃথিবীর ৭শ’ কোটি মানুষ প্রতিদিন অন্তত তিনশ কোটি কাপ।
২০১৭ সালের চা বোর্ড পরিসংখ্যান আলোকে জানা যায়, দেশের মানুষ ৪,২৯৬ কোটি কাপ চা পান করে। গড়ে বছরে একজন মানুষ চা পান করে ২৬৬ কাপ। চায়ের প্রায় সোয়া ২ হাজার কোটি টাকার বাজারও। গত ১০ বছরের উৎপাদন ও চাহিদার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই সময়ের ব্যবধানে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে দুই কোটি কেজি। অর্থাৎ বছরে গড়ে উৎপাদন বাড়ছে সাড়ে ৩ শতাংশ হারে। একই সময়ে চায়ের চাহিদা বেড়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ কেজি। বছরে চাহিদা বাড়ছে সাড়ে ৬ শতাংশ হারে।
চায়ের সাথে জড়িয়ে রয়েছে ১৫ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা। চা শুধু চা তে সীমাবদ্ধ নয়, চা বাগান বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকেও বিকশিত করেছে বহুলাংশে। প্রতিবছর দেশী-বিদেশী পর্যটকরা সিলেট সহ পাহাড়ি অঞ্চলে এবং চা চাষ যোগ্য এলাকাতে ভ্রমণ করতে আসেন, যা দেশীয় অর্থনীতিতে রাখছে বাড়তি অবদান। তাই এই চা-তে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। চা ব্যবসা বনেদি ও অভিজাত, একই সাথে এ অর্থনীতির টেকসই বুনিয়াদ। আপন শক্তিতে এগিয়ে যেতে পারি এ চা নিয়েই। বহি:দেশীয় আগ্রাসী কোন হস্তক্ষেপ নয়, একান্ত নিজস্ব উদ্যোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করলে আমাদের অর্থনীতির মেরুদন্ড অনেকাংশে হয়ে যাবে শক্তিশালী। দেশে ১৬৪ টি চা বাগানের ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে চা আবাদ হয়ে হচ্ছে। বৃহদায়তন চা চাষের বদলে ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ এখন জনপ্রিয়। এতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল পঞ্চগড়, ঠাকুরগ্ওা, নীলফামারীতে চা চাষে ঘটছে বিপ্লব। ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে সেখানকার মানুষের জীবনমানে।
চলতি বছরের ১৮ ফ্রেবুয়ারী বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী ২০১৮’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চায়ের বহুমুখী ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানের বিভিন্ন প্রজাতির মত খরা সহিষ্ণু বা অল্পবৃষ্টি সহিষ্ণু চা উৎপাদনের দিকেও সংশ্লিষ্টদের নজর দেয়ার আহŸান জানিয়েছেন। চা কৃষি ভিত্তিক শ্রমঘন প্রতিষ্টিত একটি শিল্প। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয়, আমদানি বিকল্প দ্রব্য উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টিতে গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসকরণের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে এর গুরুত্ব বহুদিনের এবং সুদূর প্রসারী।
বাংলাদেশ চা এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশন সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন মিন্টু বলেন, বৃটিশ আমলের সংখ্যা অনুযায়ী এখন্ও বাগানগুলোতে চা শ্রমিকদের সংখ্যা। সিলেটের প্রবীন ট্রি-প্লান্টার ্ও চা গবেষক মো: শাহজাহান আখন্দ বলেন, চা তে সম্ভাবনা অশেষ। কিন্তু আমরা সে মতে অনেকটা এগুতে পারছি না। প্রযুক্তিতে ভারত নির্ভর। অথচ অল্প মূল্যে সেই প্রযুক্ত আমরাই তৈরী করতে পারতাম। এছাড়া চা শিল্পে আষ্টেপৃৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে একটি অশুভ চক্র। যারা প্রতিভাধর চা গবেষকদের মূল্যায়ন করে না। চা শ্রমিকদের কর্ম সংস্কৃত্ওি কর্ম আচরন নিয়ে গবেষণা করেছেন ড. রজত কান্তি ভট্রাচার্য। তার মতে, চা শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে পাইলট কোন প্রকল্প্ও নেই। যাতে কাজের প্রতি তাদের অভ্যন্তরীন প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়। শ্রমিকদের কর্ম প্রতিযোগিতায় মূল্যয়ান হলে তারা সেরা শ্রম দ্ওেয়ায় মনোযোগি হত।
সম্ভাবনার মধ্যে নানাবিধ সীমাবদ্ধতা তারর্পও বহুবিধ ব্যবহার ও রকেমফের জাত-স্বাধ চা তে। সাতকড়া চা, রোজ টি, আলগ্রে টি, পাইনাপেল টি, জিনজার টি, জিরা টি, মিন্ট টি, লেমন টি, তুলসী টি, গ্রীন টি, অর্থডক্স টি, মসলা টি ও জেসমিন টি আমাদের অনন্য সংস্করণ। চা শিল্প বিকাশে একটি ভিশন ্ও মিশন নিয়ে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ চা বোর্ড। দেশের অভ্যন্তরীন চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানীর জন্য চা অধিক উৎপাদন একই সাথে চা বাগানের চা চাষ যোগ্য জমি চিন্থিত করণ পূর্বক এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করা, ক্ষুদ্র চা চাষে উ’ৎসাহে প্রদান, চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি ্ও মানোন্নয়ন চায়ের অভ্যন্তরীন চাহিদা পূরণ ও চা রপ্তানী হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করতে চায় বাংলাদেশ চা বোর্ড। চা সংসদের সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র টি-প্লান্টার জি এম শিবলি জানান, এবার প‚র্বের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে সারাদেশে প্রায় ৮৬ মিলিয়ন এর উপর চা উৎপাদন হতে পারে। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী, ধারাবাহিকভাব খরা, উচ্চ তাপমাত্রা, অতিবৃষ্টি এখন লক্ষনীয়। বিশিষ্ট চা গবেষক এম আর খান চা বাগানের মালিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেরীতে হল্ওে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, চা বাগানগুলোর জন্য সু:সংবাদ, কিন্তু অতিবৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সর্বনাশ্ও হতে পারে। হবিগঞ্জ পারকূলি চা এস্টেট বাগানের ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, অনুকূল-প্রতিকূল আবহ্ওায়ার মধ্য্ওে উৎপদন নিয়ে প্রতিযোগিতায় রয়েছি আমরা। চা-শিল্পের উপর গবেষণাকারী আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ফোরাম ফর দ্য ফিউচার’ এর প্রকাশিত ব্রিটিশ ব্রডকাষ্টিং কর্পোরেশ (বিবিসি)কর্তৃক প্রচারিত চা শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ক্রমবর্ধমান নগরায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন সহ নানাবিধ কারণে আজ চা শিল্পের অস্তিত্ব মারাত্মক হুমকীর মুখে। ‘ফোরাম ফর দ্য ফিউচার’ এর গবেষণায় দেখা যায়, চা শিল্পের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় হুমকি জলবায়ু পরিবর্তন। যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে অন্য কারণগুলো। বাংলাদেশ চা সংসদদের এক সূত্র মতে ‘‘চা এমন একটি পণ্য, যার উৎপাদন রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয় । গত দু’বছর চায়ের উৎপাদন যে ব্যাপকভাবে বেড়েছে, তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ১০ বছর আগে। একটি চারা চা গাছ থেকে চা পেতে সময় লাগে ১০ বছর। বাংলাদেশ চা বোর্ড উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) মুনির আহমদ, জলবায়ুর বৈরীতা সর্বত্র। এরর্পও ২০১৬ ্ও ২০১৭ সালে আমাদের চা উৎপাদনে ইতিহাসের রেকর্ড অর্জন আমাদের। সরকার চা শিল্পের উন্নয়ন অগ্রগতিতে অতি আন্তরিক। তাই সকল সীমাবদ্ধতার মধ্য্ওে চা নিয়ে আমাদের মহা-পরিকল্পনা। কারন চা-তে এগিয়ে যেতে চাই বহুদুর আমরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।