পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশে উৎপাদিত পণ্যের বাজারে প্রচলিত ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স (ভ্যাট) পদ্ধতির পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নির্দেশনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইতোমধ্যে ভ্যাট পদ্ধতির সংশোধন নিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছে। এনবি আরের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন পণ্যে বাজার মূল্যের চেয়ে কম রেটে শুল্ক আদায় করে থাকে। যেহেতু অধিকাংশই ভোক্তাপণ্য তাই এসব ক্ষেত্রে ভ্যাট কমানোর চিন্তা করছে এই সরকারি সংস্থাটি। বাজারে প্রচলিত প্রায় ১০০টি পণ্যের ওপর উৎপাদন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই শুল্কমূল্য নির্ধারণ করে থাকে এনবিআর। এই পণ্যগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো বিস্কুট, কেক, প্যাকেটজাত মসলা, আচার, সস, ফলের জুস, নিউজপ্রিন্ট, কাগজ, ইট, গস্নাস, এমএস রড, ট্রান্সফরমার, কয়েল এবং জিপি শিট।
এনবিআর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চারটি পণ্যে বাণিজ্য সময় থেকে ভ্যাট নির্ধারণ করবে। সেগুলো হলো-অপরিশোধিত তেল, জিপি শিট, সিআই শিট এবং এমএস পণ্য। সরকারের এই সিদ্ধান্তের আলোকে কোনো পণ্যে প্রকৃত বাজার মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট রেট আরোপ করা হবে। এনবিআর বলছেন, অর্থমন্ত্রী ইতোমধ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে পণ্যগুলোর শুল্কমূল্য ও বাজারমূল্যের একটি তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৮-১৯ বাজেটকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এনবিআরকে দেয়া ওই নির্দেশনায় লিখেছেন, কয়েকটি পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা জরুরি। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ওইসব পণ্যের শুল্কের কাটছাঁট করতে হবে। সুতরাং আমার ওইসব পণ্যের শুল্কমূল্য ও বাজারমূল্যের একটি তালিকা প্রয়োজন। এনবিআর কর্তৃপক্ষ বলছে, অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সংস্থাটির ভ্যাট উইং ইতোমধ্যেই পণ্যগুলোর তালিকা তৈরি শুরু করে দিয়েছে। রাজম্ব বোর্ড সর্বশেষ ছয় বছর আগে পণ্যের শুল্কমূল্য নির্ধারণ করেছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।