Inqilab Logo

শনিবার, ২২ জুন ২০২৪, ০৮ আষাঢ় ১৪৩১, ১৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খালেদা জিয়ার ইফতারে বরাদ্দ ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৮, ১১:০৯ এএম | আপডেট : ৪:২৭ পিএম, ১৮ মে, ২০১৮

কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারসহ দেশের মোট ৬৮টি কারাগারে আটক মুসলমান বন্দীদের জন্য কারা কর্তৃপক্ষ সাহরি এবং ইফতার দেয়ার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এবার সরকারিভাবে সাধারণ একজন বন্দীর জন্য ইফতারে ২৭ টাকা ২০ পয়সা এবং প্রথম শ্রেণীর একজন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীর জন্য ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

পুরনো ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডে-কেয়ার সেন্টারে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে আটক আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে আদালতের আদেশে তাকে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তাই ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী হিসেবে সরকারিভাবে তার জন্যও একই টাকা ইফতারের বরাদ্দ রয়েছে। তবে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীর ক্ষেত্রে দৈনন্দিন খাবারের মেনুতে পরিবর্তন হবে কি-না সেটি বন্দীর চাহিদার ওপর নির্ধারণ হয়ে থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কারা অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা জানান, কারাগারে আটক বন্দীরা যাতে প্রতিবারের মতো এবারো সুন্দর ও সুস্থভাবে রোজা পালন করতে পারেন, সেজন্য আমরা আগেভাগেই কারাগারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। বন্দীদের কাছে যাতে যথাসময়ে সাহরি ও ইফতার সুষ্ঠুভাবে পরিবেশন করা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি সর্তকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওই সূত্রটি জানিয়েছে, সাধারণ বন্দীদের যে পরিমাণ ইফতার দেয়া হবে তার চেয়ে সব আইটেমে পরিমাণে একটু করে বেশি বরাদ্দ দেয়া হবে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীদের। এ জন্য ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীর ইফতারে প্রতিজনের জন্য ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ হওয়ার সরকারি আদেশ পেয়েছি। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীর মধ্যে পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক একমাত্র ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী বেগম খালেদা জিয়া। তার ইফতার ও সাহরি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওই সূত্রগুলো এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তারা শুধু এটুকুই বলছেন, ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীদের খাবার একটু উন্নতমানের হয়ে থাকে। তবে ইফতার ও সাহরির মেনু প্রতিদিন কিন্তু একরকম হয় না। বন্দীর চাহিদা অনুয়ায়ী একই টাকার মধ্যে দেয়ার নিয়ম রয়েছে।

পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার ইফতার ও সাহরি কারাগারের অভ্যন্তরে চৌকার মধ্যে প্রতিদিন তৈরি করা হবে। এরপর সেটি কারা ডাক্তার ও কারা কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে দেখবেন। এরপরই সেটি তাকে সরবরাহ করা হবে। বর্তমানে তিনি হাঁটুর সমস্যা ও অন্যান্য অসুস্থতার জন্য দোতলার ডে-কেয়ার সেন্টারে অবস্থান করছেন। তার দেখভালের জন্য তার নিজস্ব গৃহপরিচারিকা ফাতেমা ছাড়াও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুুটি জেলার শিরিন সুলতানার নেতৃত্বে ১০ সদস্যর মহিলা কারারক্ষী সার্বক্ষণিক পালা করে ডিউটি করছেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি অনেক আগেই কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর হলেও ওই কারাগারের জেলার মাহাবুব আলম এবং সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির পালা করে ডিউটি করছেন। এ ছাড়াও ভেতরে বাইরে সার্বক্ষণিক অস্ত্রধারী কারারক্ষী ছাড়াও পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ডিউটি করছেন রাত দিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ