দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
প্রসিদ্ধ খৃস্টান আলেম ঝঃ. অঁমঁংঃরহব-এর বই ঙহ ঞযব ঞৎরহরঃু-তে এই আকিদার ব্যাখ্যায় হজরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি সাহেব তার একটি বক্তব্য নকল করেছেন। তা হলোÑ‘খৃস্টান আলেমদের ক্যাথলকের সেসব নতুন-পুরাতন এহেদ তথা প্রতিশ্রæতি পড়ার সুযোগ হয় আমার। তাদের আলেমকুল আমার আগে ত্রিত্ববাদের ওপর লিখেছেন। যেগুলির আলোকে পিতাপুত্র, পবিত্র আত্মা মিলে খোদার একত্ববাদ তৈরি করে, এমন ধারণার শিক্ষা দেয়; যা নিজের বাস্তবতার দৃষ্টিকোণ থেকে এক এবং অভিন্ন ভাগ ফলাফল। এ কারণে সে তিন খোদা নয়, বরং কেবল এক খোদা। যদিও পিতা পুত্রকে জন্ম দিয়েছে। কারণ যে পিতা, সে পুত্র নয়। এমনিভাবে পুত্র পিতার সূত্রে জন্মগ্রহণ করেছে। তাই যে পুত্র, সে পিতা নয়। আর রুহুল কুদস তথা পবিত্র আত্মা পিতাপুত্রের কোনোজনই নয়। বরং তাদের আত্মা। যা তাদের দুজনের সঙ্গেই সমভাবে ত্রিত্ববাদে এক হবার ক্ষেত্রে তার অংশিদার।’ (বাইবেল সে কোরআন তক : মোকাদ্দিমা/ ১/ ৪৫)।
বাড়াবাড়ি করে খৃস্টানরা নিজেদের নেতৃবর্গ এবং উলামা-মাশায়েখকেও আল্লাহর স্থানে রেখে তাদেরকে বৈধ-অবৈধ সাব্যস্ত করার অধিকার দিয়েছিলো। যার বর্ণনা পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিস শরিফে উল্লিখিত হয়েছে। এরশাদ হচ্ছেÑ‘তারা আল্লাহকে ছেড়ে নিজেদের উলামা-মাশায়েখকে খোদা স্থির করেছিলো। এমনিভাবে মাসিহ ইবনে মারইয়ামকেও। অথচ তাদেরকে আদেশ করা হয়েছিলো, যেনো তারা এক আল্লাহর ইবাদত করে। যিনি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই। তিনি তার সঙ্গে অন্য কিছু অংশিদার হওয়া থেকে পবিত্র।’ (সুরা তওবা : ৩১)।
এই আয়াতে খৃস্টান উলামা-মাশায়েখ ও হজরত ঈসা (আ.)-কে খোদা বানানোর অর্থ হলো, তারা এদেরকে বৈধ-অবৈধ করার ইচ্ছে-অনুমতির অধিকার রাখে বলে মনে করতো। এ কারণেই আয়াতে তাদেরকে নিন্দা ও ভর্ৎসনা করা হয়েছে। হজরত মাওলানা আবদুল মাজিদ দরিয়াবাদি (রহ.) আয়াতটির ব্যাখ্যায় বলেনÑ‘তারা তাদেরকে আলাদাভাবে এমন ইচ্ছেস্বাধীন হিসেবে মানতো, যেনো তারাই রব, তারাই উপাস্য। তারা যা খুশি নিষেধ করতে পারে, যা ইচ্ছে বৈধ করতে পারে। এমনকি শরিয়তের সমস্ত কার্যকলাপেও তাদের ইচ্ছে সমভাবে প্রযোজ্য বলে মনে করতো।’ তিনি আরও বলেনÑ‘খৃস্টানরা মনে করে, খৃস্টদল ক্যাথলকের গুরু রোমজনক পোপ আজ অবধি হজরত ঈসা (আ.)-এর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে সমস্ত বিষয়ে ইচ্ছেধীন হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাখে। এদিকে খৃস্টানদের আরেকটি স¤প্রদায় প্রটেস্ট্যান্টও কার্যত খৃস্টধর্মের সমস্ত ইচ্ছেক্ষমতা তাদের গুরু ক্ল্যাসাকে দিয়ে রেখেছে। ইহুদিসম্প্রদায়ও শরিয়তের বিধিবিধান সম্বলিত গ্রন্থ তাওরাতকেও নিজেদের মনগড়া সবকিছুর মাধ্যমে বদলে ফেলেছে।’ (তাফসিরে মাজিদি : ২/৩৪৭)।
হাদিসেও রাসুল (সা.)-ও বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। একবার তাঁর দরবারে হজরত আদি ইবনে হাতেম (রা.) এলেন। যিনি প্রথমে খৃস্টান ছিলেন। তার মুখে সোনার কিছু ঝুলছিলো। রাসুল (সা.) বললেনÑ‘ওটা ফেলে দাও।’ এরপর তিনি উল্লিখিত আয়াতটি পাঠ করতে লাগলেন। তখন হজরত আদি (রা.) বললেনÑ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! এই খৃস্টানসম্প্রদায় তো খৃস্টান উলামা-মাশায়েখেরও ইবাদত করতো না।’ রাসুল (সা.) বললেনÑ‘জী। তবে তাদের জন্য আল্লাহতায়ালা যেসব বস্তু অবৈধ করেছিলেন, সেসবকে তাদের উলামায়ে কেরাম বৈধ এবং যেসব জিনিসকে বৈধ করেছিলেন, সেগুলিকে অবৈধ করে দিতো। তারাও হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম মনে করতো। এমন উল্টোটি করাই ছিলো তাদের মনগড়া ইবাদতবন্দেগি।’ (সুনানে বায়হাকি : ২০৮৪৭, সুনানে তিরমিজি : ৩৩৭৮)।
হজরত হুজায়ফা (রা.)-এর কাছে কেউ একজন জিজ্ঞেস করলেনÑ‘এই খৃস্টানসম্প্রদায় কী নিজেদের উলামা-মাশায়েখের জন্য নামাজ পড়তো?’ তিনি বললেনÑ‘মোটেও না। অথচ তারা এই খৃস্টানদের জন্য আল্লাহর অবৈধ করা বস্তুকে বৈধ এবং বৈধ করা বস্তুকে অবৈধ স্থির করে দিতো। আর খৃস্টানরাও তাদের করা বৈধ-অবৈধকে সাদরে গ্রহণ করতো। এভাবেই সেই আলেমরা ধীরে ধীরে তাদের খোদা সাব্যস্ত হয়ে যায়।’ (সুনানে বায়হাকি : ২০৮৪৮, শোআবুল ইমান : ১২/২২)।
এমনিভাবে তারা ধর্মে নতুন নতুন কিছু উদ্ভাবন করেও বাড়াবাড়ির দ্বার উন্মোচন করেছিলো। যার অনুমতি না আল্লাহ দিয়েছিলেন, না তার কোনো নবী-রাসুল। বরং নিজেদের মনমতো তারা সেসব কার্যকর করে নিয়েছিলো। উল্টো সেসবকে মহাপ্রতিদান হিসেবে সাব্যস্তও করেছিলো। এরপর সেই উদ্ভাবিত বিষয়াদিতেও বাড়াবাড়ি করে করে একসময় সীমালঙ্ঘনের শেষ সীমায় পৌঁছেছিলো। এ কারণেই তাদের সেসব বাড়াবাড়ির গল্পকাহিনি শুনে শুনে কিংবা পড়ে পড়ে বড় অবাক লাগে। আফসোস হয়। মুফাক্কিরে ইসলাম হজরত মাওলানা আবুল হাসান আলি নদবি (রহ.) তার ‘ইনসানি দুনিয়া পর মুসলমানুঁ কে উরুজ ও জাওয়াল’গ্রন্থে এ বিষয়ে বিশদ পর্যালোচনা করেছেন। এই আলোচনায় খানিকটা তুলে ধরার কোশেশ থাকছে। তিনি ‘তারিখে আখলাকে ইউরোপ’ তথা ইউরোপীয় জীবনেতিহাসসূত্রে লেখেনÑ‘সেন্ট জুর্মের সময়ে এস্তারে আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার খৃস্টান পাদ্রী একত্রিত হতো। চতুর্থ শতাব্দে একহাজার পাদ্রীর অধীনে পাঁচহাজার পাদ্রী ছিলো। সেন্ট সারাপিনের অধীনে দশহাজার পাদ্রী ছিলো। চতুর্থ শতাব্দ শেষ হবার পর তো এমনটা হয়েছিলোÑমিশরের যতোটা শহরের আবাস ছিলো, আনুমানিক ততো পরিমাণে দুনিয়াবিমুখ ও পাদ্রী ছিলো। কেবল দু-চার বছর নয়, বরং টানা দুশো বছর অবধি দৈহিক চারিত্রিকতার শেষ সীমা ধরা হতো। পরবর্তীরা এর দারুণ উপমা তুলে ধরেছেন। সেন্ট মেকায়রেজ এস্কেন্দারি সম্বন্ধে প্রসিদ্ধি রয়েছে, সে ছ’মাস অবধি সমভাবে একই বিছানায় শুয়ে থাকতো, যেনো তার দেহটা বিষাক্ত মাছি কাটতে পারে। সে সর্বদা মণখানেক লোহার ওজনের কিছু কাঁধে বহন করতে পারতো। তার মুরিদ সেন্ট ইউসেস আনুমানিক দু’মণ লোহার পরিমাণ জিনিস নিয়ে আসতে পারতো। তিন বছর অবধি সে একটি শুকনো কূপের ভেতর বসবাস করেছিলো। প্রসিদ্ধ খৃস্টান পাদ্রী ইউহনার সম্বন্ধে বর্ণিত আছে, সে একনাগাড়ে তিন বছর অবধি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ইবাদতবন্দেগি করতো। কিছু পাদ্রী তো কোনোধরনের পোশাকপরিচ্ছদ পরতো না। ইজ্জতআব্রæ ঢাকার কাজ শরীরের লোমের মাধ্যমে নিতো। চার পা-বিশিষ্ট প্রাণির মতো হাত-পায়ের লোম চালাতো। সাধারণত তাদের নির্দিষ্ট কোনো আবাসস্থল হতো না। বরং হিং¯্র প্রাণির গর্ত, শুকনো কূপ কিংবা কবরস্থানে বসবাস করতো। দুনিয়াবিমুখদের একদল তো কেবল ঘাস খেয়ে জীবনযাপন করতো। দৈহিক পবিত্রতা আত্মার পরিশুদ্ধিতার বিপরীত বিষয় বলে মনে করা হতো। যে দুনিয়াত্যাগী দুনিয়াবিমুখ কাজকর্মে যতো অধিক উন্নতি করে ফেলতো, সেই পরিমাণ সে মর্যাদার অধিকারী বলে গণ্য হতো। সেন্ট এথেনেস খুব গর্বভরে বলেÑসেন্ট এন্টুনি বায় কুবর্সনি জীবনে কখনও নিজের পা ধুয়ে অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়নি। সেন্ট ইবরাহিম পাঁচবছরের মাসিহ জীবনে নিজের চেহারা কিংবা পায়ে জলের ছিটেফোঁটা পর্যন্ত গড়াতে দেয়নি। নারীদের ছায়া দেখলেই তারা ছুটে পালাতো। তাদের ছায়া পড়লে কিংবা চলতি পথে অনাকাঙ্খিতভাবে তাদের মুখোমুখি হলে এসব দুনিয়াত্যাগী মনে করতো, তাদের সারাজীবনের দুনিয়াত্যাগ ও পরহেজগারির অর্জন ধুলোয় মিশে গেছে। নিজেদের মা-বোন, স্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলাটাকেও তারা বড় ধরনের গোনাহ হিসেবে মনে করতো।’ (ইনসানি দুনিয়া পর মুসলমানুঁ কে উরুজ ওয়া জাওয়াল কা আসর : ২১১-২১৩)।
উল্লিখিত কাহিনি দ্বারা প্রচলিত খৃস্টধর্মের বর্তমান ও অতীত ইতিহাস স্পষ্ট হয়। এমনকি তাদের মান্যবর ব্যক্তিবর্গের ধর্মে স্বভাবগত বাড়াবাড়িগুলির অনুমান ও ধারণা পরিষ্কার পাওয়া যায়।
ধর্ম নিয়ে মুশরিক ও কাফেরদের বাড়াবাড়ি: নবীযুগে আরবের মুশরিক-কাফেররাও ধর্ম নিয়ে বেশ বাড়াবাড়ি করতো। আল্লাহর দীনের মাঝে পরিবর্তন সাধন করতো। তাদেরকেও আকিদা-বিশ্বাসগত ও ভালোবাসায় ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িতে বাধ্য করেছিলো। ফলে তারা মূর্তিপূজোয় লিপ্ত হতো। সৃষ্টিজীবকে আল্লাহর সমতূল্য মনে করতে লাগলো। আল্লাহর গুণাবলি ও বৈশিষ্ট্যে সৃষ্টিজীবের জন্য স্থির করতে আরম্ভ করলো। শেষমেষ এ ধরনের শিরক ও কুফুরির বৈধতা ও শুদ্ধতার পক্ষে মনগড়া দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন করতে লাগলো। এরশাদ হচ্ছেÑ‘যারা আল্লাহতায়ালাকে ছেড়ে অন্যদেরকে নিজেদের খোদা হিসেবে সাব্যস্ত করে, তারা বলেÑআমরা এরই (আমাদের শরিককৃত মূর্তিগুলির) ইবাদত-উপাসনা করি, যেনো এরা আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করে আমাদেরকে আল্লাহর প্রিয় বানিয়ে দেয়।’ (সুরা যুমার : ৩)।
আয়াতের ব্যাখ্যায় প্রসিদ্ধ মুফাসসিরে কোরআন ইমাম হজরত আল্লামা কুরতুবি (রহ.) হজরত কাতাদা (রহ.)-সূত্রে বলেনÑযখন ঐ মুশরিকদের বলা হয়Ñ‘তোমাদের রব ও সৃষ্টিকর্তা কে? আসমান-জমিন সৃষ্টিকারী কে? আসমান থেকে কে বৃষ্টিবর্ষণ করেন?’ তখন বলেÑ‘আল্লাহ।’ এরপর যখন জিজ্ঞেস করা হয়Ñ‘তাহলে মূর্তিপূজো করো কেনো?’ তখন বলেÑ‘এরা আমাদেরকে আল্লাহর কাছাকাছি করে দেয় এবং আমাদের জন্য তার কাছে সুপারিশ করে।’ (তাফসিরে কুরতুবি : ১৫/২৩৩)।
মুফাসসিরে কোরআন হজরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ শফি (রহ.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনÑ‘সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও সমস্ত কাজে ক্ষমতাধর একমাত্র আল্লাহতায়ালা। এটা আরবের মুশরিকদের স্বাভাবিক অবস্থা ছিলো। সেকালের সাধারণ মুশরিকরাও এই আকিদাবিশ্বাস রাখতো। কিন্তু শয়তান তাদেরকে উল্টোটা বোঝালো। এরপর তারা নিজেদের মনমতো ফেরেশতার আকৃতিতে মূর্তি বানিয়ে পূজো করতো। অথচ তারা জানতো এগুলি তাদেরই হাতে তৈরি। এদের কোনো জ্ঞান, বিদ্যা-বুদ্ধি, শক্তি-ক্ষমতা নেই। তাদের বিশ্বাস ছিলো, মূর্তিগুলিকে সম্মানপ্রদর্শনের ফলে সেসব ফেরেশতা আমাদের ওপর খুশি হয়ে যাবে, যাদের আকৃতিতে এদের তৈরি করা হয়েছে। ফেরেশতা আল্লাহর অতি কাছের। তারা আল্লাহর বাদশাহিকে পার্থিব রাজত্বের সঙ্গে তুলনা করে মনে করতো, যেমনিভাবে রাজদরবারের অতি কাছের যদি কেউ খুশি হয়ে যায়, তাহলে সে বাদশাহর কাছে কারোর সুপারিশ করে তাকেও বাদশাহর অতি কাছের করতে পারে, ঠিক তেমনিভাবে ফেরেশতারাও পার্থিব রাজদরবারের মতো যার ইচ্ছে তার পক্ষে সুপারিশ করতে পারে। অথচ তাদের এসব ধ্যানধারণা কেবল শয়তানের কুপ্রবৃত্তি ও ভ্রান্ত ছিলো।’ (মাআরিফুল কোরআন : ৭/৫৩৭)।
হজরত মাওলানা আবদুল মাজিদ দরিয়াবাদি (রহ.) লেখেনÑ‘এই সংক্ষিপ্ত আলোচনায় শিরকের সমস্ত ভ্রান্ত ধ্যানধারণা চলে এসেছে। হজরত আম্বিয়ায়ে কেরাম (আ.)-এর শিক্ষাদীক্ষা, দাওয়াত-তাবলিগের প্রভাব দুনিয়ায় বেশ পড়েছে। আজ কোনো বড় থেকে বড় মুশরিকগোষ্ঠী সচরাচর দুই বা ততোধিক খোদার প্রবক্তা নেই। বরং প্রত্যেকেই নিজেদেরকে মুশরিক বলতে লজ্জা পায়। নিজেদের শিরকের একটুআধটু ব্যাখ্যা করতে বাধ্য হয়ে গেছে। তাহলে এখন মুশরিকরা কী বলে? মহান খোদা আমাদেরও একজনই। তবে কথা হলো, পৃথিবীর প্রতিটা ক্ষেত্রে জীবনব্যবস্থা ও দায়িত্বভার ভিন্ন ভিন্ন দেবদেবতার কিংবা কোনো ছোট খোদার হাতে। আমরা তো কেবল এই দেবদেবতাকে বড় খোদা অবধি পৌঁছুবার মাধ্যম হিসেবে তৈরি করেছি।’ (তাফসিরে মাজিদি : সুরা যুমার/৩)।
অন্য আয়াতে মুশরিকদের ব্যাপারে এরশাদ হচ্ছেÑ‘আল্লাহতায়ালাকে ছেড়ে তারা এমনসব বস্তুর উপাসনা করে, যা তাদেরকে না কোনো ক্ষতি করতে পারে, আর না-ই বা তাদের কোনো উপকারে আসে। অথচ তারা দাবি করে, এই মূর্তিগুলি আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করবে। [হে রাসুল!] আপনি তাদের জিজ্ঞেস করুন, আসমান ও জমিন সম্বন্ধে তোমরা কী আল্লাহকে এমন কোনো কথা বলেছো, যে বিষয়ে তিনি অবগত নন? তোমরা তার সঙ্গে যেসব বস্তুকে শরিক করো, তা থেকে আল্লাহতায়ালা পুতপবিত্র ও উঁচু মর্যাদার অধিকারী।’ (সুরা ইউনুস : ১৮)। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।