পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720128572](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তার উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। অন্যথায় বৃহত্তর গণ আন্দোলনেরর মধ্য দিয়ে তাকে মুক্ত করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। আজ বুধবার দুপুরে এক সভায় তিনি বলেন, ১৯৯০ এর ২৪ মার্চ যখন স্বৈরাচার এরশাদ গণতান্ত্রিক সরকারকে বন্দুকের নলের ডগায় হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে স্বৈর শাসন কায়েম করে তখন আজকের প্রধানমন্ত্রী তিনি তখন দেশে মার্শালের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন আই এম নট আন হ্যাপি। তার মানে তিনি গণতন্ত্র চান নি। তিনি স্বৈর শাসন চেয়েছিলেন। ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির ৩য় তলার স্বাধীনতা হলে এক যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া যখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাশাপাশি শেখ হাসিনাও বাধ্য হয়েছিলেন, সেই গণতান্ত্রিক অন্দোলনে অংশ নিতে। তিনি এসেছিলেন কিন্তু বার বার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে বার বার বেইমানি করেছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম লাল দিঘীর ময়দান থেকে আজকের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যারা এরশাদের অধিনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেইমান। শেখ হাসিনা মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঢাকা এসে রাতের অন্ধকারে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বইয়ের ভাষায় এরশাদের সঙ্গে লং ড্রাইভে গিয়ে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে নির্বাচনে গিয়েছিলেন এবং সেদিন তিনি গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়াকেও দেশি বিদেশি সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন এরশাদের অধিনে আপনি কি নির্বাচনে যাবেন? তখন তিনি বলেছিলেন, আমার ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে। তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে আমি বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে যাব না।
গতকাল খুলনায় অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, খুসিক নির্বাচন একটি প্রহসনেরর নির্বাচন। এক দলীয় শাসনের নির্বাচন। এ নির্বাচন হয়েছে ৭৩ সালের নির্বাচনের মত। নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এ নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হত তাহলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয় লাভ করত। তাই এ নির্বাচন আমরা প্রত্যাক্ষাণ করি। নতুন করে আবার নির্বাচন দিতে হবে এবং সেই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে আমান বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনো নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তার জ্বলন্ত প্রমাণ খুলনার নির্বাচন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে যুব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, সাইফুদ্দিন মনি, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান আসাদ, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপির মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।