পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রীসেতু নির্মাণে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে চীন। এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি২ সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন এবং চীন সরকারের পক্ষে চীনা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মা মিংকুয়াং।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটি বরিশাল-ঝালকাঠি-ভা-ারিয়া-পিরোজপুর-বাগেরহাট-খুলনা সড়কের চারখালী ফেরিঘাটে অবস্থিত কঁচা নদীর ওপর নির্মিত হবে। সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ১ হাজার ৪০০ মিটার। সেতুটি নির্মাণ করবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সেতুটি নির্মিত হলে বরিশাল বিভাগের সাথে পিরোজপুর, বরগুনা, খুলনা অঞ্চলের যোগাযোগ সহজ হবে। এ ছাড়া এ সেতু মংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরের সাথে বরিশালের যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে, যা এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বর্তমানে বরিশালে ও খুলনার মধ্যে কঁচা নদীতে ফেরির মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে যাতে নদী পারাপারে প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগে। সেতুটি তৈরি হলে স্বল্প সময়ের মধ্যে নদী পার হওয়া যাবে।
মেজবাহ উদ্দিন বলেন, চীন সরকারের অনুদানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন এ পর্যন্ত ৭টি সেতু নির্মিত হয়েছে। সর্বশেষ মাদারীপুর জেলার মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী (কাজীরটেক সেতু) নির্মিত হয়েছে যা ইতোমধ্যে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক পরিমল সূত্রধর বলেন, এ সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৬০৫ কোটি টাকা। চীনের ৪০০ কোটি টাকা অনুদানের পর বাকি অর্থায়ন সরকারি তহবিল থেকে করা হবে। তিনি বলেন, নির্মাণ শুরুর পর ৩ বছরে এই সেতু নির্মাণ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। তবে সেতুটির কাজ কবে নাগাদ শুরু হতে পারে তা এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।