Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইরাকি সেনাবাহিনীর মসুল পুনর্দখল অভিযান স্থগিত : আরো সৈন্য চাই

প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নিয়ন্ত্রণে থাকা ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী মসুল পুনর্দখলে ইরাকি সরকারী বাহিনীর অভিযানের প্রথম পর্যায় সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়েছে। আরো ইরাকি সৈন্য এসে পৌঁছানোর পর এ অভিযান আবার শুরু হবে। মসুল পুনর্দখল অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার বুধবার এ কথা জানান। খবর আল জাজিরা।
মসুল পুনর্দখলের অভিযান শুরুর পর তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। ইরাকি বাহিনী এ পর্যন্ত আইএসের কাছ থেকে মাখমুর এলাকার তিনটি গ্রাম শুধু পুনর্দখল করেছে। মসুলের উপর ভবিষ্যত আক্রমণ শুরুর জন্য এ গ্রামগুলো ব্যবহার করা হবে। ইরাকি বাহিনীর এ পর্যন্ত অর্জিত সাফল্যের প্রেক্ষিতে তাদের সামর্থ্য নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র সমূহ আল জাজিরাকে জানায়, ফাল্লুজার পূর্বে আল-মামেল গ্রামে ইরাকি সামরিক ছাউনিতে আএসের হামলায় ৮ ইরাকি সৈন্য নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে মসুল অভিযান স্থগিত করার এ ঘোষণা এল।
মাখমুর অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর জেনারেল নাজম আবদুল্লাহ আল জুব্বুরি বলেন, ইরাকি বাহিনী বিভিন্ন এলাকা দখল করার পর সেগুলোর কর্তৃত্ব ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় পুলিশ ইউনিট ও অতিরিক্ত স্থানীয় গোত্রীয় যোদ্ধাদের এসে পৌঁছনোর অপেক্ষা করছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তাহলে তার সৈন্যরা ভারমুক্ত হয়ে অভিযান চালাতে পারবে। তিনি বলেন, আমরা দখলকৃত এলাকা ধরে রাখতে আমাদের সকল ইউনিট ব্যবহার করতে পারি না। সর্বশেষ অভিযানের প্রাথমিক লক্ষ্যস্থল ছিল দজলা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত আইএসের ঘাঁটি কায়ারা। তবে ইরাকি বাহিনী পূর্বদিকের পর্বতশীর্ষের গ্রাম নাসর পুনর্দখল করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিবৃতিতে জুবুরি বলেন, আইএস যোদ্ধারা নাসরের নিচে সুড়ঙ্গের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। তারা আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের এবং বিস্ফোরক ভর্তি যানবাহন প্রস্তুত রেখেছে। তার মধ্যে রয়েছে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার যোগ্য ক্লোরিন যা আইএস উত্তর ইরাকে ব্যবহার করেছিল।
ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইরত আন্তর্জাতিক জোটের অপারেশনস অফিসার মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর জন-পল ডিপ্রিও সপ্তাহান্তে বাগদাদে সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চ ভূমিতে কৌশলগত অবস্থানের কারণে আইএস নাসর না হারানোর ব্যাপারে দৃঢ়সংকল্প। তিনি বলেন, সেখানকার জটিল ভূ-প্রকৃতির কারণে বিপুল সংখ্যক সৈন্যের সমাবেশ ঘটানো সম্বব নয়। তাছাড়া আইএস ঐ এলাকার সাথে অধিকতর পরিচিত। ইরাকি সৈন্যরা এ এলাকার নয়, তাই তারা এলাকার সাথে পরিচিত হচ্ছে।  
উল্লেখ্য, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী মসুল অভিযানের জন্য হাজার হাজার ইরাকি সৈন্য ও পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
ডিপ্রিও বলেন, এ লড়াই হচ্ছে চ্যালেঞ্জের একটি দিক। বহু যুদ্ধ হতে যাচ্ছে, তবে ব্যাপক পরিমাণ লজিস্টিক অবকাঠামো অনুসরণ ও প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শিয়া মিলিশিয়া ও পেশমের্গা যোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু মসুল পুনর্দখলে শুধু সেনাবাহিনী ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে সুন্নী প্রধান নগরীতে জাতিগত ও গোষ্ঠিগত সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে সমস্যা না হয়।
মাখমুর অভিযান নিয়ে ডিপ্রিও বলেন, এটি এক কঠিন লড়াই। এ লড়াই আগামীর বৃহত্তর লড়াইয়ের নমুনা অভিযান। মসুল পুনরায় কব্জা করার আগে আমাদের অনেক কাজ করার আছে।    
২৬ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিআইএ) পরিচালক মেরিন লেঃ জেঃ ভিনসেন্ট স্টুয়ার্ট মার্কিন সিনেট সশস্ত্র বাহিনী কমিটিকে বলেন, ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী সম্ভবত ২০১৬ সালে মসুল দখল করতে সক্ষম হবে না।
ধারণা করা হয় যে মসুলের অভ্যন্তরে আইএসের ৭ হাজার জানবাজ সদস্য আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরাকি সেনাবাহিনীর মসুল পুনর্দখল অভিযান স্থগিত : আরো সৈন্য চাই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ