পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আগামী বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আরহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সীমিত বাজেট নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের সাফল্য তৃতীয় বিশ্বের যে কোন দেশের জন্য উদাহরণ। তবে জনগণের দোড় গোড়ায় আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে এ খাতে আরও বেশি বাজেট বরাদ্দ করতে হবে যাতে আমরা বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে পারি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী গতকাল বৃহষ্পতিবার বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। ‘সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করুণ : ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখুন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃহষ্পতিবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস। স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মন্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি এন পারানিথারান, বিএমএ সভাপতি প্রফেসর ডা. মাহমুদ হাসান, মহাসচিব প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ধনী জনগোষ্ঠীর জন্য দেশে-বিদেশে অনেক উন্নত হাসপাতাল আছে। গরীব জনগণের জন্য একমাত্র আশ্রয় সরকারি হাসপাতাল। তাই তৃণমূলের গবীর মানুষদের সঠিক ভাবে সেবা দিতে এবং স্বাস্থ্য সেবাকে সম্প্রসারিত করতে হলে আমাদের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বিভিন্ন শর্ত আরোপের ফলে স্বাস্থ্য খাতে সহযোগী সংস্থাদের অর্থ ছাড়ে গতি কমে যাচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব কাজ পরিচালিত হচ্ছে। যন্ত্রপাতিসহ যে কোনো কেনাকাটায় পৃথক কমিটি করা হয়েছে। কোন যন্ত্রপাতি কেনার প্রয়োজন হলে এই কমিটির অনুমোদন লাগে। জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য পৃথক কমিটি আছে। কারো একক সিদ্ধান্তে কোনো কাজ হয় না। তারপরও দাতা সংস্থারা নানা অজুহাতে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না। অর্থ কাটছাঁট করছে। ‘কারো কাছে মাথা নত না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ দেশিয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছেন’ এই উদাহারণ তুলে ধরে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বন্ধুর পরামর্শ নিবে, কিন্তু কোনো শর্ত মেনে কাজ করবে না।
সন্তানদের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার কম খাওয়াতে পিতা-মাতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘ফাস্ট ফুড’ এর সংস্কৃতি থেকে আগামী প্রজন্মকে মুক্ত করতে হবে। এর কারনে ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। তাই পিতা-মাতার উচিত স্বাস্থ্য সম্পর্কে সন্তানকে সচেতন করে তুলে ফাস্টফুড ও তামাক থেকে তাদেরকে দূরে রাখা এবং শারীরিক ব্যায়াম ও পরিশ্রমে তাদেরকে উৎসাহিত করে তোলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।