পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর রূপনগরে গতকাল দুর্বৃত্তদের ছুঁড়ে মারা এসিডে এক স্ত্রী সন্তানসহ ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই গৃহবধূর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। দগ্ধরা হলেন, মাহফুজা আক্তার সুবর্ণা (২৮), কন্যা রীমা আক্তার (১০), সুবর্ণার বড় বোন নিলুফা আক্তার (৩২) এবং সুবর্ণার স্বামী সুরুজ আহমেদ। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও মেডিকেল সূত্র জানায়, সুবর্ণা গার্মেন্টস কর্মী। তার স্বামী সুরুজ মিয়া মিল্ক ভিটা ফ্যাক্টরীতে কর্মরত। দ্বিতীয় বিয়ে করে সুরুজ মিয়া অন্যত্র বসবাস করেন। তবে মাঝে মধ্যে প্রথম স্ত্রী সুবর্ণা ও সন্তানের কাছে এলেও সাংসারিক খরচ দেয় না। গত বুধবার রাতে সুরুজ মিয়া প্রথম স্ত্রীর বাসায় ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে দরজায় কড়ার শব্দ পেয়ে সুরুজ দরজা খুলে দেন। এসময় এ সময় সুরুজের পরিচিত দুই ব্যক্তি ঘরে ঢুকে একটি মিষ্টির বাক্স এগিয়ে দেন। এসময় মিষ্টি পরিবেশন করার নামে বাক্সের ভিতর থেকে একটি কাঁচের বোতল বের করে তাদের একজন ব্যক্তি। এরপর ঐ ব্যক্তি বোতল থেকে তরল জাতীয় পদার্থ ছুঁড়ে মারেন সুবর্ণার গায়ে। তার চিৎকার শুনে সুবর্ণার বড় বোন ও সন্তান এগিয়ে এলে তাদেরকে এসিড ছুঁড়ে মারে। এসিডে সুরুজ মিয়ার শরীরও সামান্য ঝলসে যায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুবর্ণার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া মেয়ে রীমার ৭ এবং নিলুফার শরীরের ৮ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। ঘটনার পরপর পুলিশ গৃহবধূর স্বামী সুরুজ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে, রূপনগর থানার ওসি শহীদ আলম বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরেই গৃহবধূর ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। আহত মাহফুজা আক্তার সুবর্ণা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তিকে দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করিয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুরুজ মিয়াকে আটক করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।