পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাসান সোহেল : রমজান শুরুর আগেই রাজধানীর বাজারে রোজার আঁচ লেগেছে। সব পণ্যের দাম প্রায় উর্ধ্বমুখী। মাছ, মাংস, ডিম, তেল, ছোলা, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের পাশাপাশি শশা, বেগুন, পেঁপে, টমেটো ইত্যাদি নিত্যপণ্যের দাম ক্রমেই বাড়ছে। একই ধরনের সবজির দাম একেক বাজারে একেক রকম রাখা হচ্ছে। আসছে রোজায় নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদের কথা বললেও ইঙ্গিত মিলছে দাম বাড়ার। রমজান মাস আসলেই পণ্যের দাম নিয়ে শংঙ্কায় থাকেন ক্রেতারা। তাই বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন। অথচ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এক সপ্তাহ আগেও বলেছেনÑএবার রমজানে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। চিনি, খেজুর, ডালসহ ভোগ্যপণ্য যা যা চাহিদা, তার চেয়ে বেশি মজুদ রয়েছে। এমনকি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রোজার মাসে কেউ পণ্যের দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাস্তবতা হলো কে শুনে কার কথা! কথাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে বাণিজ্যমন্ত্রীর এ হুশিয়ারি। অন্যান্য বছরের মতো এবারো রোজার আগে সিন্ডিকেটের কবলে নিত্যপণ্যের বাজার। ভোগ্য পণ্যের মূল্যের পারদ উপরে ওঠায় দিশেহারা সাধারণ মানুষ। রোজাদারদের কথা বিবেচনা করে বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশের ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে রাখেন। অথচ দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের চিত্র পুরোই উল্টো। রমজান আসার আগেই হু হু করে বাড়তে থাকে সব ধরনের পণ্যের দাম। প্রতি বছর রমজানের শুরুতে এমনকি সারা মাসজুড়েই বাড়তি দামে প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে বাধ্য হন রোজাদাররা। তাই, রমজানের আগেই বেশি পরিমাণ পণ্য কিনে রাখার প্রবণতা থাকে ভোক্তাদের মধ্যে। এদিকে, আসছে রমজানে অনৈতিকভাবে দাম বাড়ানোর চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তাই অন্যান্য বছর যাই হোক আসন্ন রমজানে অন্তত প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নাগালে থাকবে এমন আশা করেছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু রমজান আসতে না আসেতই হু হু করে বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম।
প্রতি বছর রমজানের আগে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের চেয়ে ভোক্তারাই বেশি দায়ী। এমনটি মনে করেন বিক্রেতা ও বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, রমজানে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পণ্য কেনায় বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়। যার সুযোগ নেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। তাই বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেনাকাটায় ভোক্তাদের আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ তাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতাদের মধ্যে এ সময়ে এক ধরনের আগে কেনার প্রবণতা থাকে। বেশিরভাগ ভোক্তার এমন প্রবণতাই দাম বাড়ার জন্য দায়ী। ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান বলছেন, রমজানে পণ্য কেনার ব্যাপারে ক্রেতাদের আরও সহনশীল হওয়া জরুরি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, মৌলভীবাজার, রায়সাহেব বাজার ও টাউন হল বাজার গতকাল ঘুরে প্রত্যেকাট পণ্যের দাম বৃদ্ধির তৎপরতা দেখা গেছে ব্যবসাযীদের মধ্যে।
বাজার ভেদে সাদা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। আর গত সপ্তাহে ১৫০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া লাল কক মুরগির দাম বেড়ে হয়েছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা। দেশী মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। অথচ ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সর্বশেষ হিসাব মতে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকায়। দেশী মুরগি ৩৫০টাকায়। এছাড়া গরুর গোশত বর্তমানে ৫০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ টিসিবি’র হিসেবে গত বছর এই দিনে গরুর গোশতের দাম ছিল ৪২০টাকা। খাসীর গোশতও একইভাবে বেড়েছে। বর্তমানে খাসির গোশত ৭৫০ থেকে ৮০০টাকা রাখা হচ্ছে। অথচ গত বছর এই সময়ে ছিল ৬০০টাকা।
গোশতের দাম বাড়ার বিষয়ে রামপুরারর ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, বাজারে এখন সব সবজির দাম চড়া। আর রোজা শুরু হচ্ছে। রোজার শুরুতে গোশতের চাহিদা একটু বেশিই থাকে। তাই এখন মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। একইভাবে গরু ও খাসীর গোশতেও প্রভাব পড়েছে জানান মোবারক। এছাড়া আগের চেয়ে বেড়েছে ডিমের দামও। গতকাল দেশী মুরগীর ডিম প্রতি হালী ৫০টাকা, হাঁস ৫০ টাকা ও পোল্ট্রি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মাছের মধ্যে বড় রুই-কাতল গতকাল বাজারে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ গত সপ্তাহেও দাম ছিল কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২৮০ টাকা। এদিন বাজারে শিং মাছ বড় কেজি প্রতি ৬০০ টাকা, ছোট ৫০০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, পাংঙ্গাস কেজি ১২০ থেকে ১৫০, বড় তেলাপিয়া কেজি ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে ইলিশের মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। কিছুদিন আগেও কেজি প্রতি ৭০০টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৮০০টাকার উপরে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গার দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা হয়েছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ধুন্দল। এদিকে গত দুই সপ্তাহ ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া পেঁপে ও বেগুনের দাম এখনও চড়াই আছে। বাজার ও মান ভেদে বেগুনও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বরবটি ও ঢেঁড়স আগের সপ্তাহের মতো ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা, ধুন্দল, বেগুন, কাকরল ও পেঁপেই নয় বাজারে এখন সব সবজির দামই চড়া। সিংহভাগ সবজির কেজি ৫০ টাকার ওপরে। ৫০ টাকা কেজির নিচে শুধু করলা ও পটল মিলছে। তবে বিভিন্ন শাকের দাম আগের মতোই আছে। আলুর দাম কিছুটা বেড়ে ২০ থেকে ২৫টাকায় দাড়িয়েছে। আর কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
এদিকে পেঁয়াজের দাম আগের মতো বাড়তিতেই রয়েছে। গতকাল বাজারে দেশী পিঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, আমদানি করাটা বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। রসুন আগের মতো ১০০ টাকায় বিক্রি কররেও বেড়েছে আদার দাম। আদা গতকাল মানভেদে ১১০ থেকে ১২০টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অথচ টিসিবি’র তথ্য মতে, কয়েকদিন আগেও আদা প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৯০টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া রমজান উপলক্ষ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সয়াবিন, সুপার পাম ও পাম তেলের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ ব্যবস্থা সমস্যা হওয়ায় এসব পণ্যের দাম উর্ধ্বমুখি। মৌলভীবাজারের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সয়াবিন, সুপার পাম ও পাম তেলের দাম মণপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে গত কিছুদিন আগে বাড়া চিনির এখনও বাড়তিতেই আছে। বর্তমানে ৬০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি চিনির দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ২৪০ টাকা বা কেজিপ্রতি ৫ টাকা। তবে বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আনোয়ার হাবীব বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে গ্রামগঞ্জের পরিবেশক সবাই মিলে ভীড় করছে। মিলও চাহিদা সরবরাহ করছে, কোনো সংকটও নেই। তবে একত্রে সরবরাহ করতে গিয়ে বাজারে রেডি চিনির সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকট অগামি কয়েকদিনের মধ্যে কেটে যাবে বলে জানান তিনি। রাজধানীর কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটে গতকাল প্রতিকেজি সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। ইরানি খেজুরের কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, বাজারে সবচেয়ে ভলো খেজুর সৌদি আরবের। মানভেদে ৫০০-৯০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খেজুর বিক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, বর্তমানে দাম স্বাভাবিক আছে। তবে রমজানে চাহিদা বেশি থাকে। দাম বাড়বে কিনা তা সে সময়ের চাহিদা ও মজুদের ওপর নির্ভর করবে। এদিকে কিচেন মার্কেটে গতকাল প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকায়। মাসখানেক আগে ৬০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতো। রমজানে ছোলার চাহিদা বেড়ে যায়। এ কারণে দাম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটে গতকাল প্রতিকেজি সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। ইরানি খেজুরের কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, বাজারে সবচেয়ে ভলো খেজুর সউদি আরবের। মানভেদে ৫০০-৯০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খেজুর বিক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, বর্তমানে দাম স্বাভাবিক আছে। তবে রমজানে চাহিদা বেশি থাকে। দাম বাড়বে কিনা তা সে সময়ের চাহিদা ও মজুদের ওপর নির্ভর করবে। কিচেন মার্কেটে গতকাল প্রতিকেজি ভালো মানের ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। অথচ মাসখানেক আগে ৬০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতো।
সবজি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে টমেটো, লাউ, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, করলা, পটল, ধেড়স, বরবটির সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। তবুও সব সবজির দাম চড়া। সবজির এ চড়া দামের ক্ষেত্রেও রোজাই কারণ হিসেবে জানিয়েছেন তারা।
রায়সাহেব বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, রোজার সময় সবজির দাম বাড়বে এটা নতুন কিছু না। প্রতিবারই রোজা আসলে সব সবজির দাম বাড়ে। এবার তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই ব্যবসায়ী বলেন, সাধারণত বাজারে সব সবজির দাম এক সঙ্গে বাড়ে না। প্রথমে একটা সবজির দাম বাড়ে, তারপর একটার পর একটা সবজির দাম বাড়ে।
যদিও আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চালু থাকলেও চাহিদার তুলনায় এখানে পণ্য মিলছে খুবই সীমিত পরিসরে। সরকারি এ সংস্থাটি ট্রাকে করে পাঁচটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে। তারপরও কিছুটা কম দামে পন্য মেলায় টিসিবির পণ্য বিক্রির ট্রাকের সামনে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে।
এদিকে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বেশি বিপাকে পড়েছেন গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। দৈনন্দিন খরচ মেটাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তারা। অল্পতেই তুষ্ট হওয়া এসব মানুষের মুখের হাসি হারিয়ে যাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কোন ক‚লকিনারা পাচ্ছেন না। সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ক্রমেই উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অর্থ সংকট সব হিসাব-নিকাশ ওলটপালট করে দিচ্ছে। হতাশ বেসরকারি কর্মজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করলেও বেতন বাড়েনি বেসরকারি কর্মজীবী মানুষের। অথচ দিন দিন সব পণ্যর দাম বেড়েই চলছে হু হু করে। বাজারদরে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতির কারণে এর লাগাম টেনে ধরা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো চরম দুরবস্থায় দিনাতিপাত করছে। নিম্ন আয়ের কয়েকজন বলেছেনÑ বেতন বাড়লে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। অথচ আমাদের আয় বাড়ে না। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে সংকটে মধ্যে থাকতে হয়। আব্দুল আলিম নামে এক বেসরকারি কর্মচারী বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। সরকারের উচিত আমাদের মতো যারা ব্যক্তি মালিকানাধীন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে তাদেরও সমানুপাতিক হারে বেতন বৃদ্ধির নির্দেশ দেয়া। তিনি আরো জানান, ব্যক্তি মালিকানাধীন এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে মানুষ মাসিক মাত্র ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে। বর্তমান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি থাকায় আমাদের মত নি¤œ আয়ের মানুষগুলো চরম দুর্ভোগের মধ্যে থাকতে হয়।
বরিশালের উজিরপুরের দিনমজুর জহিরুল, মিজান, ছিদ্দিক জানান, জিনিসের দাম বাড়লেও আমাদের মজুরি সেই হারে বাড়েনি। কোনোমতে দিন এনে দিন খাই অবস্থা। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতো আমাদেরও বেতন ও পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করা দরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সী সফিউল হক ইনকিলাবকে বলেন, রোজার প্রথম দিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা কিছুটা দাম বাড়িয়ে থাকে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিদপ্তর ও সিটি কর্পোরেশনের বাজার তদারকি চলছে। ৫/৭ রোজার মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ব্যবসায়ীরাও আশ্বাস দিয়েছেন দাম বাড়বে না বলে। গরিবের শত্রæ গরিবই উল্লেখ করে মুন্সী সফিউল হক বলেন, খুচরা বিক্রেতারা সুযোগ পেলেই সদ্ব্যবহার করে। রমজানের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে তারাই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কাঁচা বাজার নিয়ন্ত্রণহীণ এ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। চাহিদা ও সরবরাহের উপর নির্ভর করে। চিনির দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন, চিনি শিল্প কর্পোরেশনই ৬০ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি করছে তাই বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।