পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, রেলপথ মন্ত্রণালয় শিগগিরি আড়াইশ’ কোচ আমদানি করছে। বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে ৮০টি ইঞ্জিন। এসব আসার পরে রেলসেবা আরও বাড়বে। শিগগিরি চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলরুট চালু করা হবে। এ রুটে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে সৈয়দপুরে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানার বিভিন্ন উপ-কারখানা (শপ) পরিদর্শন ও ক্যারেজ শপের নতুন সংযোজন এয়ার ব্রেক মেশিন রুমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতীয় ঋণে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আরও একটি রেলকোচ কারখানা নির্মাণ করা হবে শিগগিরি। কারখানায় লোকবল সংকটের কথা স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, একটি মহল নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। কেউ কেউ এ সংক্রান্ত মামলা করায় আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিচ্ছে। এর মধ্যেও সাম্প্রতিক সময়ে রেলওয়েতে আট হাজার কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ বিএনপি সরকারের আমলে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক (সোনালি করমর্দন) নামে ১৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রেল থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়। ওই সময় এক ইঞ্চি রেলপথ বাড়ানো হয়নি এবং রেল খাতকে অবহেলিত করে রাখা হয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, জনগণ নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণের জন্য রেলকে বেছে নিয়েছে। দিন দিন এ পথে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নতুন নতুন রেলপথ স্থাপন করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর-ঈশ্বরদী-পাবনা হয়ে ঢালারচর, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার, খুলনা থেকে মংলা রেলপথ স্থাপনে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে নতুন আরও একটি বঙ্গবন্ধু রেলসেতু এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীতে নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব হচ্ছে সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, দেশে নতুন নতুন রেলপথ স্থাপন করা হচ্ছে। অতীতে রেলখাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল মাত্র ৫শ’ কোটি টাকা। আমাদের সরকার তা বাড়িয়ে ১৬ হাজার ১৩৫ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে। আগামী বাজেটে এ বরাদ্দ আরও বাড়বে।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, আগামী ঈদুল ফিতরে ঘরমুখী যাত্রীদের সেবা বাড়াতে নব্বইটি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। গত ঈদে কারখানায় ৮৫টি কোচ মেরামত করা হয়। এবং পিপির আওতায় সৈয়দপুরে রেলওয়ের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তৈরি করা হবে।
কারখানা পরিদর্শন শেষে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।
এর আগে কারখানা সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত¡াবধায়ক মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সামসুজ্জোহা, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মজিবর রহমান, পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক বেলাল হোসেন সরকার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।