পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : ঢোল বাজছে সর্বত্র! ক্যানভাসারেরা নেমে পড়েছেন টিভির টকশো, প্রিন্ট মিডিয়ার প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখতে, মাঠে-ঘাটে উন্নয়ন-অগ্রগতির শোপান শোনাতে। লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। দেশের মানুষের গড় আয়ু, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বেড়েছে। রাজধানীতে চোখধাঁধানো এতগুলো ওভারব্রিজ হওয়ার পরও উন্নতি ও অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে তা বোঝা যায় মতিঝিল থেকে এয়ারপোর্টের দিকে রওনা দিলেই; আমরা কি এগিয়ে গেছি না পিছিয়ে পড়েছি। ১০ বছর আগে যে পথ অতিক্রম করতে ৪০ মিনিট লাগত এখন সেই পথ পাড়ি দিতে লাগে ২ ঘণ্টা। এগিয়ে গেলাম না পিছিয়ে পড়লাম? নাকি পানামা পেপারসে ২৫ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়াই সাফল্য?
‘কথায় বলে গাছে বেল পাকিলে তাকে কাকের কী’ বাংলা সিনেমার এই চটুল গানের ভেতরেই যেন দেশের বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ অতিক্রম, মাথাপিছু আয় ১৪৬৬ ডলার (১৩৭২৮০ টাকা)। গাছে বেল পাকলে যেমন কাকের খুশি হওয়ার কিছু নেই; তেমনি এই প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ে ক্ষমতাসীনরা উল্লাস-নৃত্য করলেও দেশের সাধারণ মানুষের কোনো লাভ নেই। পথশিশু, বস্তিবাসী, ভিক্ষুক, গ্রামের ক্ষেতমজুর, কৃষক, কারখানার শ্রমিক, কোটি কোটি বেকারের কথা থাক; সরকারি চাকুরে যারা সাড়ে ৮ হাজার (কম-বেশি) বেতন পান তাদের পরিবারের ৪ সদস্য হলে মাথাপিছু আয় কত হয়? মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার চোর, উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রকল্প করে ৩-৪ গুণ ব্যয় বৃদ্ধি, কমিশন বাণিজ্য, রাষ্ট্রের সম্পদ লুটেরাদের আয়-রোজগারের সঙ্গে সর্বনি¤œ বেতনভুক্ত সরকারি কর্মচারীর বেতনের অনুপাত করে গড় আয়ের এ হিসেব কি বাস্তবতার সঙ্গে যায়? মাথাপিছু এই আয়ে যে রেল আইনের ধারে ও ঢাকার বস্তিতে ঘুমায়, দিনভর জমিতে কাজ করে রাতে গ্রামের টিনের ঘর-ছনের ঘরে ঘুমায়, তার পাতে কি সবজির সঙ্গে মাছের টুকরা জুটবে?
হাট-বাজারে মলম-সালসা-শ্রীপুরের বড়ি বিক্রির সময় হাটুরেদের আকৃষ্ট করতে ক্যানভাসাররা যেমন গান-বাজনা, সাপ-বাঁদরের খেলা দেখানোসহ নানা ভেল্কিবাজি করেন, পুলিশি ঠেঙ্গানির মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’ দেখাতে ক্ষমতাসীনরা যেন সে কৌশল বেছে নিয়েছেন। বলা হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে জিডিপির (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৫ এবং মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪৬৬ ডলার। মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের বোঝা কত সেটা নিয়ে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। সরকারের এই সাফল্যে জনগণ কতটুকু উপকৃত হবে? অথচ সরকারের এই সাফল্যে বগল বাজাতে শুরু করেছে স্তাবকরা। অথচ দেশের বিরাজমান মানবিক-অর্থনৈতিক অগ্রগতি স্বপ্রকাশিত। মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বোঝার জন্য জাতিসংঘ, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, আইডিবি, এডিবির সমীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে না, আমেরিকা ও ব্রিটেনের প্রভাবশালী সংস্থার জরিপের ওপর নির্ভর করতে হয় না। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ও রূপসা থেকে পাথুরিয়ায় বিস্তৃত কায়েকটি গ্রাম ঘুরে এলেই বোঝা যায় আমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে। মানুষ উন্নতি করছে না দারিদ্র্য ও অভাব-অনটনের মধ্যে আছে। রূপকল্প-২০২১-এর সিঁড়ি বেয়ে আমজনতা ওপরে উঠছেন না ক্রমান্বয়ে নিচে নামছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে আয় কিছুটা বাড়লেও মানুষ যে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে তা বোঝা যায়। গ্রামগঞ্জে গেলে দেখা যায়, হাজার হাজার পরিবারের গৃহস্থালির সম্বল হলো টিন-খড়ের ঘর, মাটি বা বাঁশ ও পাতার আশ্রয় মাত্র। ইতিহাসের আদিপর্বে মানবজাতি, যেমন যূথবদ্ধ মানুষ মাথা গুঁজে থাকত। টিনের ঘর-খরের ঘরে মানুষের যুগের পর যুগ ধরে বসবাস করছেন। পল্লীকবি জসিমউদ্্দীনের আসমানীদের মতো লাখ লাখ পরিবারের ঘর-দুয়ারের শোচনীয় অবস্থা। অর্থাভাবে বাড়ি-ঘর নামের ঠিনানা মেরামত করতে পারেন না। এই আসমানীদের ঘরে বৃষ্টি হলে শুধু পানিই পড়ে না; ঘরে আসবাব নেই, চাদর নেই, বালিশ নেই। এমনকি ভোটার আইডি কার্ড রাখার মতো জায়গা নেই। খাবারের হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাটি ছাড়া মাটির তৈরি সামান্য কিছু বাসনপত্র তাদের সম্বল। অনেক ঘরে সিঁকেয় টানানো হাঁড়ি আছে, কিন্তু তৈজস নেই। একই ঘরে বসবাস করেন বয়োবৃদ্ধ মা, বাবা, যুবতীবধূসহ যুবক পুত্র, তাদের শিশু এবং পরিণত যৌবনা বিধবা কন্যাপুত্র। ভিটা আছে, জোতজমি নেই। উপার্জনের একমাত্র পথ ক্ষেতমজুরি এবং বিভিন্ন ধরনের কায়িক পরিশ্রম, বিমর্ষ শ্রমবাজারে বিক্রি করা। দিন আনা, দিন খাওয়া এবং খরায়, বন্যায়, তুফানে, দুর্ভিক্ষে, হরতালে, রাষ্ট্রীয় আর্থ-সামাজিক বিপর্যয়ে সেই দিনান্তের নিশ্চিয়তাটুকুও হারানোর ভয় থাকে। কয়েক বছরের টানা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হানাহানি তাদের কাবু করে ফেলেছে। এই হলো বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের দিনলিপি। ‘কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ প্রবাদের মতো দেশের জিডিপি, প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ে তাদের কী আসে যায়? শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের অলীক স্বপ্নে বিএনপির ভিশন-২০৩০, আওয়ামী লীগের ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ প্রণয়ন তাদের কাছে নিতান্তই হাস্যকর। দারিদ্র্য, অভাব, অশিক্ষা, অস্বাস্থ্যের নিত্যদিনের কদর্য দৃশ্য রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য শহরের বস্তিগুলোতে আরো করুণ। এই রূঢ় বাস্তবতাকে মাটিচাপা দিতে মাথাপিছু গড় আয়ের সুস্পষ্ট হিসাব, প্রবৃদ্ধির ফিরিস্তি আর দারিদ্র্যরেখার সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন প-িতরা। এই প-িতরা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলেন। এরাই ওপরতলাকে খুশি করতে ইংরেজি অক্ষর ৯-কে উল্টে ৬ আবার ৬-কে উল্টে ৯ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে ২৮ মিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্সের যে রেকর্ড বাজানো হচ্ছে, সেখান থেকে ১০ মিলিয়ন চুরি যাওয়ার পর কি রিজার্ভের পরিমাণে হেরফের হয়েছে? রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রিজার্ভের নামে যে সোনা-রুপা কেনা হয়েছে তা যথাযথভাবে আছে কিনা তা নিয়েও মানুষ সন্দিহান। যে কৃষক, শ্রমিক ও ক্ষেতমজুর জাতীয় উৎপাদনের সিংহভাগ নির্মাণ করে, তারা বেঁচে থেকেও বেঁচে নেই। জিএসপি স্থগিত হওয়ায় থমকে গেছে গার্মেন্টসের প্রসার। বেকারত্ব ধারণ করেছে মারাত্মক আকার। নতুন বিনিয়োগ নেই। ঘরে ঘরে বিবাহযোগ্য মেয়ের যৌতুকের অভাবে বিয়ে হচ্ছে না। একের পর এক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নতুন কর্মক্ষেত্রও সৃষ্টি হচ্ছে না। দেশের প্রায় ৭/৮ কোটি সক্ষম জনশক্তির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই বেকার। সরকারের ভুল নীতি, অদূরদর্শিতা ও গোয়ার্তুমির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অথচ শ্রমই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। যারা বিদেশে গিয়ে কাজ করে দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে চায় তাদের কেউ কেউ সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে পানিতে ডুবে মরেছে। কেউ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার জঙ্গলে নরকঙ্কালে পরিণত হয়েছে। কেউ সাগরে ভাসতে ভাসতে প্রাণ হাারিয়ে হাঙ্গর আর চিল-শকুনের খাদ্য হয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ যেমন সঠিকভাবে আহরণ করা যাচ্ছে না, তেমনি বিদেশি সহায়তা ও প্রকল্প সাহায্যের ক্ষেত্রেও ওয়াদাকৃত ঋণ ও অনুদান অব্যবহৃত হওয়ায় ফিরে যাচ্ছে। গত ৫ বছরে উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও বাস্তবায়নের ধীরগতির কারণে দাতা দেশ ও সংস্থা ৩২ হাজার কোটি টাকা প্রত্যাহার করেছে। রাষ্ট্রীয় ব্যাংক রাষ্ট্রীয় কোষাগার বাংলাদেশ ব্যাংকও নিরাপদ নয়। হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজার, বেসিক ব্যাংকের কেলেঙ্কারিতে লোপাট হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। অথচ দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা কেউ বলেন ৪ হাজার কোটি টাকা টাকাই নয়; কেউ বলছেন ৮শ কোটি টাকা চুরি কার্যত সিঁচকে চুরি। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ এখন নিরাপত্তা ঝুঁকির দেশের তকমা পেয়েছে।
সত্তরের দশকে বিদেশী এনজিওগুলো যখন দেশের আনাচে-কানাচে ছড়াতে শুরু করে, কৃষকদের ধান উৎপাদনের নতুন পদ্ধতি শেখাতে শুরু করে, তখন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বলেছিলেন, ‘যে দেশের কৃষক এক খাবলা মাটি হাতে নিয়ে গন্ধ শুঁকে বলে দিতে পারে বীজ বপনের সময় হয়েছে কিনা সে দেশের কৃষককে চাষাবাদ শেখাতে এসো না।’ দেশের মানুষ রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকা- জানে তাদের অলীক স্বপ্ন ভিশন দেখালেই কি তারা বিশ্বাস করবে? বিএনপি ঘোষণা করেছে ভিশন-২০৩০, যার লক্ষ্য আগামী ১৫ বছরের মধ্যে দেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ে নিয়ে যাওয়া। দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগ ঘোষণা করেছে ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১-এর রূপরেখা। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ২০২১-এর মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। কিন্তু মধ্যম আয়ের দেশ গড়তে মানুষ দেখছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের মহাযজ্ঞ। টাকা পাচার করে কানাডায় বাংলাদেশ পল্লী, থাইল্যান্ডে সেকে- হোম তৈরির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। উন্নয়নের নামে যে প্রকল্প তৈরি ধীরগতিতে কাজ করে, সে প্রকল্পে ব্যয় বাড়ানোর অর্থ পাচার করে বিদেশে হোম হচ্ছে। এখন আওয়ামী লীগ রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটাবে স্বপ্নের দেশে? সিংগাপুর, আমেরিকা, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, কোরিয়া, যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশ হবে বাংলাদেশ? মাইক্রোসফ্ট, ফেসবুক, গুগল, অ্যাপেলের মতো উদ্ভাবনে দেশ ছেয়ে যাবে। ডিজিলাইজেশন হবে সবকিছু। এমনকি চুরি-ডাকাতিও (বাংলাদেশ ব্যাংকে ডিজিটালাইজড চুরি হয়েছে)। গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়ে এদেশের বস্তির ছিন্নমূল, গ্রামের ক্ষেতমজুর, কৃষক, কলের শ্রমিক স্বর্গসুখের সন্ধান পাবেন?
ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, জাপান, গণচীন, কোরিয়া ও রাশিয়া সমৃদ্ধিশালী দেশ। তাদের সমৃদ্ধির মূলে শুধু অর্থসম্পদ নয়, বরং তাদের জ্ঞান, বিজ্ঞান, উদ্ভাবন এবং জ্ঞান ও অভিজ্ঞতালব্ধ সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা। তারা প্রমাণ করতে সক্ষম রাষ্ট্রের ভাবাদর্শ যে ধরনেরই হোক; রাষ্ট্রবদ্ধ মানুষ যাতে এক কল্যাণময়, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে উন্নত ও মহৎ জীবনযাপন করতে পারে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার সেই প্রচেষ্টা চলেছে। ওইসব দেশে রাষ্ট্রের টাকা লুণ্ঠনকারীরা কখনোই বাঁচতে পারেন না। তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ! এদেশে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা পাচারের দায়ে অভিযুক্তরা পুরস্কৃত হন। আমরা সব সময় বিরোধ বাধাতে অভ্যস্ত। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া মানেই হানাহানি, মারামারি। ক্ষমতায় গেলে গোটা দেশকে নিজেদের তালুক মনে করি। তরুণ-যুবকরা দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আমরা কি যুবসমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেছি, নাকি চেতনার নামে প্রতিনিয়ত জাতিকে বিভক্তির চেষ্টায় রত? দেশ গঠন, জাতি গঠনে কি কারো একক অবদান থাকে? আমরা কি সেই সানাই বাজাচ্ছি না? এ কেমন ভেল্কবাজির উন্নয়ন-অগ্রগতি; যা ৪০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে ২ ঘণ্টা লাগিয়ে দেয়?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।