পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালেক মল্লিক : অনলাইনে বেইল কনফারমেশন, দৈনন্দিন কার্যতালিকার (কজলিস্ট) পর এবার চালু হতে যাচ্ছে জুডিশিয়াল পোর্টাল (বিচার বিভাগীয় তথ্য বাতায়ন)। এতে করে এক ক্লিকেই দেখা যাবে পুরো বিচার বিভাগ। দেশের যেকোনো প্রান্তে বসেই জানতে পারবে উচ্চ আদালতসহ ৬৪ জেলার বিচার বিভাগীয় কার্যক্রমসমূহ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম ও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে তথ্য বাতায়ন (জুডিশিয়াল পোর্টাল) পরিচালিত হবে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট এককভাবে পরিচালনা করবে। বাতায়নটি চালু করতে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ ইনকিলাবকে বলেন, জুডিশিয়াল পোর্টাল বর্তমানে একটি জেলায় চালু আছে আগামীতে অন্য আদালতগুলোতে চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। বিচার বিভাগের সকল তথ্য নিয়ে এমন পোর্টাল নেই। এটিই প্রথম হতে যাচ্ছে। এতে করে যেমন বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশনের রূপ পাবে তেমনিভাবে বিচারপ্রার্থীদের সুবিধা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।
সুপ্রিমকোর্ট রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, জেলা তথ্য বাতায়নের মতো জুডিশিয়াল পোর্টাল (তথ্য বাতায়ন) থাকবে বিচার বিভাগ সম্পর্কিত নানা বিষয়। এটা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে সুপ্রিম কোর্ট। প্রথম দিকে যৌথভাবে চালু হলেও পরবর্তীতে এটা এককভাবে পরিচালনা করবে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এছাড়াও ৬৪টি জেলার জজ আদালতসমূহে থাকবে বাতায়নের জেলা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। বর্তমানে সিলেট জেলায় চালু আছে। চলতি বছর আরো ৯টি জেলাসহ চালু হবে। পর্যায়ক্রমে সকল আদালতে চালু হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের যৌথ অংশগ্রহণে বাস্তবায়ন হবে জুডিশিয়াল এ পোর্টাল। বিষয়টি কার্যপরিধি ঠিক করতে আগামী ৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার বাছাই করা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করবেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি থাকছেন হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি। কর্মশালায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মতামতেরও পরামর্শ নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
জানা যায়, তথ্য বাতায়নে থাকবে বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট আইন কমিশন, বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, সার্ভিস কমিশন ও আইন মন্ত্রণায়লসহ সকল প্রতিষ্ঠানের লিংক দেয়ার পাশাপাশি ৬৪ জেলার আলাদা আলাদা তথ্য থাকবে। সংশ্লিষ্ট জেলায় সকল আদালত, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য, সংশ্লিষ্ট অফিসের ফোন নম্বর, জেলার কারাগার সম্পর্কিত তথ্য, জেলার মানবাধিকার সংস্থার তথ্য, জেলার লিগ্যাল এইডের তথ্য, মামলা দায়েরের পদ্ধতি, কোন মামলায় কোর্ট ফি কত, আদালতের দৈনন্দিন কার্যক্রম, মামলার পরিসংখ্যান, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বদলিসহ যাবতীয় তথ্য। যাতে সবাই এখান থেকেই যেকোনো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে পারে। পরীক্ষা চালু করতে একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ঔঁফরপরধষ.ঢ়ড়ঃধষ.মড়া.নফ অনলাইনে লগ ইন করে বিচার বিভাগীয় তথ্য জানতে পারবে। এছাড়াও এতে রাখা হয়েছে, উচ্চ আদালত, আইন ও বিচার বিভাগ, অধঃস্তন আদালত, অভিযোগ ও প্রতিকার ব্যবস্থাপনা। এছাড়াও বিচার বিভাগ, নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনা, আইন ও বিধি, অর্জন, যোগাযোগ, ফটোগ্যালারি ও মতামতের বিষয়। অভ্যন্তরীণ সেবার মধ্যে রয়েছে, কার্যতালিকা (হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ), সুপ্রিম কোর্ট বুলেটিন, নি¤œ আদালত কার্যতালিকাসমূহ। প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিচার বিভাগে ডিজিটালাইজেশনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। উচ্চ আদালতে অনলাইন কার্যতালিকা, অনলাইন বেইল কনফারমেশন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ (সিলেটে পরীক্ষামূলক চালু), অনলাইন বুলেটিন (ল’ রিপোর্ট) উল্লেখযোগ্য। সর্বশেষ চালু হতে যাচ্ছে বিচার বিভাগীয় তথ্য বাতায়ন। সুপ্রিম কোর্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের অন্যান্য বিভাগের মতো বিচার ডিজিটালাইজেশনের অংশ হলো তথ্য বাতায়ন। এটা চালু হলে একদিকে যেমন বিচারকার্য সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের পুরো ধারণা পাবে। একই সঙ্গে বিচারপ্রার্থীদের বিচারিক সুবিধা বাড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।