পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথমপত্রের নমুনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ওলামা লীগসহ অন্যান্য সংগঠন গতকাল পৃথক পৃথকভাবে প্রতিবাদ করেছেন। বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতিবাদ বক্তব্যের মধ্যে রয়েছে প্রশ্নপত্রের ঘটনা কী বাংলাদেশে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার গোপন ক্রুসেডের ইঙ্গিত। তারা বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বোর্ডে অবস্থান করে অন্য ধর্মাবলম্বী কর্মকর্তারা ইসলামের অবমাননা/পীর মাশায়েখগণের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেছে। এ অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। একে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না। ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠিন শাস্তিসহ ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। অন্যথায় মুসলমানরা রাজপথে নামবে।
ওলামা লীগ
বাংলাদেশের মুসলমানরা কী সব হিন্দু হয়ে গেছে না মারা গেছে। তা না হলে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সরাসরি মুসলমানদের সম্মানিত পীর আউলিয়াদের বিরুদ্ধে এত জঘন্য প্রশ্ন কীভাবে, কোন অদৃশ্য হাতের অঙ্গুলি ইশারায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে এই অমূলক প্রশ্ন, যা দেখে শুধু ছাত্র-শিক্ষক নয় গোটা জাতি স্তম্ভিত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দেখানোর দায়ভার কী মুসলমানের একার? অমুসলমানদের কোনো দায়-দ্বায়িত্ব নেই? বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, হক্কানী ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান কাজী আহমদুর রহমান, বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী এক বিবৃতিতে সাম্প্রদায়িক প্রশ্নপত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেছেন।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আগামীতে পরীক্ষার প্রশ্নগুলোতে হিন্দুত্বপনা ও সাম্প্রদায়িকতার কোনো লেশও যদি পাওয়া যায়। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আসবে।
নেতৃবৃন্দ অভিযুক্ত পরীক্ষাটির প্রশ্নটি বাতিল করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র জীবনী মুবারক, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের আদর্শ, কাদেরিয়া, চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া, মুজাদ্দিদিয়াসহ নবীপ্রেমিক হক্কানী পীর-বুজুর্গদের আদর্শ ও শিক্ষা-বিষয়ক নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করে পুনরায় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করার দাবি জানাচ্ছি। তারা একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রামী ইতিহাস, পাক-হানাদার বাহিনীদের দোসর, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের অপরাধমূলক কর্মকা- প্রশ্নপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানান।
পীর সাহেব চরমোনাই
ঢাকা ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে কৌশলে ইসলামের অবমাননা এবং উলামা-মাশায়েখগণের চরিত্র হননের চেষ্টা করেছে। ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে অপ্রাসঙ্গিকভাবে ইসলাম ও আলেম পীর-মাশায়েখদের নিয়ে এমন অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করে বোর্ড কর্তৃপক্ষ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। আজ এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, গল্পের অজুহাতে ইসলাম, মুসলমান, দাড়ি, টুপি, পীর-মাশায়েখ ও ইসলামী রীতিনীতি নিয়ে যে বিষোদগার করেছে অবিলম্বে তাদের খুঁজে বের করতে হবে, অন্যথায় উলামা-মাশায়েখ ও মুসলমানরা নীরবে বসে থাকবে না, থাকতে পারে না। তিনি বলেন, যে সমস্ত নাস্তিক-মুরতাদ গোষ্ঠী শিক্ষা বোর্ডে ঘাপটি মেরে থেকে ইসলামের বিরুদ্ধে কালিমা লেপন করছে, পীর ও আলেমদের হেয় করছে তাদের কোনোভাবে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
এইচএসসি’র প্রশ্নপত্রে ইসলাম, দাড়ি, টুপি ও পীর-মুরিদী নিয়ে যে কাল্পনিক আপত্তিকর বিষয় আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, ৯২% মুসলমানের দেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কাদের খুশি করা হচ্ছে? জাতি জানতে চায়। এ ধরনের কটূক্তি দেশের কোমলমতি ছাত্রসমাজ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মনমানসিকতাকে ইসলামের বিরুদ্ধে পরিচালিত করা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র। দেশের মানুষ মনে করছে সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিকচক্র বার বার ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত হানছে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রণালয় প্রশ্নের বিষয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। কীভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এ ধরনের আপত্তিকর লেখা আসে তা দেশের মানুষের বোধগম্য নয়। যারা এ ধরনের প্রশ্নের সাথে জড়িত তাদের শনাক্ত করে অবিলম্বে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায়, ইসলামপ্রিয় তাওহিদী জনতা ছাত্রদের নিয়েই রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।