Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জেএমবি সদস্য মাসুমের মৃত্যুদন্ড আপিলে বহাল

প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতে এগারো বছর আগে বোমা হামলার ঘটনায় দুই মামলায় জেএমবি সদস্য মাসুমুর রহমান মাসুমের মৃত্যুদ- বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে ওই দুই মামলায় জেএমবির আরেক সদস্য আমজাদ আলীকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় বাতিল করে পুনর্বিচারের আদেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মাসুমের আপিল খারিজ ও আমজাদ আলীকে খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ রায় দেন। আদালতে মাসুমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার। রায়ের পর শশাঙ্ক শেখর বলেন, আমজাদ আলীকে খালাসের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, তার (আমজাদ আলী) বিরুদ্ধে অভিযোগ যথাযথভাবে আমলে নেওয়া হয়নি। এ দিকটি বিবেচনায় নিয়ে আপিল বিভাগ আমজাদের ক্ষেত্রে পুনর্বিচারের নির্দেশ দিয়েছে। দুই আসামিই কারাগারে আছেন জানিয়ে শশাঙ্ক শেখর সরকার বলেন, “আপিল বিভাগ আমজাদ আলীকে কনডেম সেল থেকে কারাগারে স্থানান্তর করতে বলেছে।”
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ মালের ৩ অক্টোবর লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতে বোমা হামলা চালায় জেএমবি সদস্যরা। ওই দিনই জেলা আদালতের নাজির বজলুর রহমান লক্ষ্মীপুর থানায় মামলা করেন।
এজহারে বলা হয়, যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে বিচার চলাকালে বোমা হামলায় ওই আদালতের বিচারক এম এ সুফিয়ান, বেঞ্চ অফিসার মো. শফিকুল্লাহসহ কয়েকজন বিচারপ্রার্থী গুরুতর আহত হন। পরে মজিবুল হক নামে এক বিচারপ্রার্থী মারা যান। তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুই মামলায় ২০০৬ সালের ১৫ অগাস্ট মাসুম, আতাউর রহমান সানি ও আমজাদ আলীকে মৃত্যুদ- দেয় লক্ষ্মীপুরের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। অন্য একটি মামলায় ইতোমধ্যে সানির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। নিম্ন আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে বাকি দুই আসামি হাইকোর্টে আপিল করে। পাশাপাশি তাদের মৃত্যুদ- অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) আবেদনও হাইকোর্টে আসে। এ বিষয়ে শুনানি শেষে ২০১৩ সালে হাই কোর্ট রায় দেয়। রায়ে মাসুমের মৃত্যুদ- বহাল থাকলেও আমজাদকে খালাস দেওয়া হয়। হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিল করেন মাসুম। আর আমজাদ আলীর খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। দুই আপিলের ওপর শুনানি শেষে আদালত গতকাল বুধবার রায় ঘোষণা করলো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জেএমবি সদস্য মাসুমের মৃত্যুদন্ড আপিলে বহাল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ