Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্কে পৌঁছানো বাংলাদেশীদের ফেরত পাঠানো হবে

প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় তুরস্কের সঙ্গে করা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চুক্তি গত মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে। এরইমধ্যে ইউরোপের দেশগুলো থেকে তুরস্কে শরণার্থী বা অভিবাসন প্রত্যাশীদের ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে। গত সোমবার গ্রিস থেকে প্রায় ২০২ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। ইইউ-তুরস্ক চুক্তির আওতায় তাদের সেখানে পাঠানো হলেও সিরীয় নয় এমন শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে নারাজ আঙ্কারা। এর ফলে বাংলাদেশী শরণার্থীদেরও ফেরত পাঠানো হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
গ্রিসের অভিবাসন বিষয়ক মুখপাত্র ইয়োর্গোস কিরিটসিস তুরস্কে পাঠানো শরণার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশীদের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেনেভায় এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর ইউরোপের আঞ্চলিক প্রধান ভিনসেন্ট কোচেটেল। তিনি বলেন, এভাবে সিরিয়ার বাইরে অন্যান্য দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো আইনের লঙ্ঘন। এটা ইইউ এবং আন্তর্জাতিক উভয় আইনেরই পরিপন্থী।
শুরু থেকেই অবশ্য এ চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে জাতিসংঘ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন মানবাধিকারকর্মী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তবে সব সমালোচনা, প্রতিবাদ উপেক্ষা করে তুরস্কের সঙ্গে বিতর্কিত এ চুক্তি স্বাক্ষর করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
তুরস্কের ইইউ বিষয়ক মন্ত্রী ভলকান বোজকির একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, গ্রিস থেকে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে যারা সিরীয় নন, তাদের প্রথমে কিরক্লারেলি এলাকায় কিছু দিনের জন্য রাখা হবে। তারপর তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে তারা যেসব দেশের নাগরিক তাদের সহায়তা চাওয়া হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন বলেছে, আসলে ফেরত পাঠানোর নামে কী হচ্ছে, আমরা জানি না। ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি কাউকে ফেরত পাঠানো হয়, তবে তা অন্যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্কে পৌঁছানো বাংলাদেশীদের ফেরত পাঠানো হবে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ