পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী কেন তনু হত্যার বিচার করছেন না? এ নিয়ে একের পর এক নাটক মঞ্চায়ন হচ্ছে কেন? একবার বলা হচ্ছে আঘাতের চিহ্ন নেই। ১০ দিন পর চিকিৎসকেরা বলছেন ধর্ষণের আলামত নেই। কীভাবে তনুর মৃত্যু হলো, সেটা যদি আপনারা না-ই বলতে পারেন, তাহলে কীসের ডাক্তার আপনারা?
তনু হত্যার বিচারের দাবিতে গতকাল (বুধবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সুশাসনের জন্য নারীর আয়োজনে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
১৯৯৫ সালে ইয়াসমীন ধর্ষণের বিচারের দাবিতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা রাস্তায় নেমেছিলেন উল্লেখ করে মানববন্ধনে সুশাসনের জন্য নারীর সভাপতি দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘এখন তো আপনি আরও ক্ষমতাধর, তাহলে কেন তনু হত্যার বিচার করছেন না? কেন তনু হত্যা নিয়ে একের পর এক নাটক মঞ্চায়ন হচ্ছে?’
তনুর ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসকদের উদ্দেশে দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘একবার বলেন আঘাতের চিহ্ন নেই। ১০ দিন পর বলছেন ধর্ষণের আলামত নেই। কীভাবে তনুর মৃত্যু হলো, সেটা যদি আপনারা না-ই বলতে পারেন, তাহলে কীসের ডাক্তার আপনারা? কে আপনাদের সার্টিফিকেট দিয়েছে ডাক্তারি করার? মৃত্যুর কারণ যদি বের করতে না পারেন, তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন।’
সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক রুবি আমাতুল্লাহ বলেন, ‘একটা জাতির মর্যাদা নির্ভর করে সে জাতি তার নারী সমাজকে কীভাবে মূল্যায়ন করে। তনু হত্যা একটা দৃষ্টান্ত, যা আমাদের সমাজ ও বিশ্বকে জানিয়ে দিচ্ছে যে আমরা ব্যর্থ হয়েছি এবং আমরা লজ্জিত।’
তিনি বলেন, একটা ঘটনার মধ্যে আরেকটা ঘটনা। কোনো ঘটনারই সঠিক বিচার হচ্ছে না। ন্যায়বিচার বানচাল করতেই এসব করা হচ্ছে।
নাজমুন নাহার নামের একজন পেশাজীবী নারী বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে, গৃহে, স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাইরেÍকোথাও আমরা নিরাপদ নই। আমার মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে আমি দুশ্চিন্তায় থাকি। অফিসে কাজে মনোযোগ দিতে পারি না। সারাক্ষণ ছটফট করতে থাকি। মেয়েকে নিয়ে এতটাই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়, কোনো কাজেই মনোনিবেশ করা সম্ভব হয় না। আমরা নিরাপত্তা চাইছি। জীবনের নিরাপত্তা, সম্ভ্রমের নিরাপত্তা, বেঁচে থাকার নিরাপত্তা।’
ফাহিমা সুলতানা নামের আরেকজন পেশাজীবী বলেন, ‘আমরা যখন জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা-দীক্ষা অর্জনের জন্য সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ব, ঠিক তখনই বাইরে বের হলে নারীরা নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারছে না। এমনকি আমরা লোকাল বাসে উঠতে পারছি না। সরকারকেই বলতে হবে, নারীর চলাচল নিরাপদ হবে কি না।’ মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।