পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গুরুতর অসুস্থতার কথা জানিয়ে তা কোর্টকে বলার পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীদের। তিনি আইনজীবীদের বলেছেন, আমি কারাগারে অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ- এটা কোর্টকে জানাবেন। আমি তো কোন অন্যায় করিনি। তাহলে আমাকে কেন এতো দিন জেল খাটতে হচ্ছে সেটাও তিনি জানতে চেয়েছেন। গতকাল (শনিবার) বিকেলে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করে এসে এমন নির্দেশনার কথা জানান তার আইনজীবীরা। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে দেখা করতে কারাগারে যান তার পাঁচ আইনজীবী। এরা হলেন- অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুর রেজ্জাক খান, এজে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা ভেতরে অবস্থানের পর বিকেল সোয়া পাঁচ টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তারা।
কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার রেজ্জাক খান বলেন, ম্যাডাম বলেছেন, আমি অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ- এটা কোর্টকে জানাবেন’। জেলে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে থাকার কারণে দিন দিন তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। মেডিকেল গ্রাউন্ডে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট- এটা সর্বোচ্চ আদালতে উপস্থাপনের জন্য আমাদের তিনি বলেছেন। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, হাইকোর্ট বিস্তারিত শুনানি করে ম্যাডামকে জামিন দিয়েছেন। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এবং আমার ৫০ বছরের ক্রিমিনাল প্র্যাকটিসে পাঁচ বছর সাজার পর হাইকোর্ট বিভাগ যখন জামিন দেয় উচ্চ আদালত সেই জামিন কখনো স্থগিত করেননি। এখানে শুধু স্থগিতই করেননি, এখানে তারা পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য দীর্ঘ সময় দিয়ে তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমরা আশা করি, বিশ্বাস করি, দেশে যদি আইনের শাসন বিন্দুমাত্র থাকে তাহলে অবশ্যই ৮ তারিখে (আগামী ৮ মে) ম্যাডাম জামিন পাবেন।
আরেক আইনজীবী জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা ম্যাডামকে দেখতে এসেছিলাম আইনজীবী হিসেবে যেহেতু আমরা মামলা করি সেই কারণে। ম্যাডাম খুবই অসুস্থ। তার যে বাম হাত তিনি নাড়াতে পারেন না, তা শক্ত হয়ে গেছে এবং ঘাড়েও তার সমস্যা আছে। অর্থাৎ এই রকম একটি স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বন্দি থাকা অবস্থায় যেরকম অবস্থা হয় তাই ম্যাডামের হয়েছে। ম্যাডামের বয়সও চিন্তা করতে হবে, তার বয়স ৭৩ বছরের উপরে। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি ম্যাডামের যে চিকিৎসা দরকার তা জেলখানায় সম্ভব নয়। ম্যাডামের চিকিৎসা ইউনাইটেড হাসপাতালে হওয়া দরকার। তিনি আরো বলেন, আপনারা দেখেছেন জেল কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখেছে তার চিকিৎসার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। দেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধী দলের নেতা, দেশের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দলের প্রধান, তিনি আজকে জেলখানায় আছেন, কী মামলায় আছেন তা আপনারা জানেন। একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলায় তিনি আজকে বিনা চিকিৎসায় জেলখানায় কষ্ট পাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।