পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গঙ্গাচড়া (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ কালের আবর্তনে মরে যাচ্ছে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার ঘাঘট ও মানাস নদী। পানি শুণ্য হয়ে পড়ায় নদী দুটির বুকে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল।
ঘর থেকে বের হয়েই শোনা যেতো নদীর কলকল ধ্বনি। রং-বেরংয়ের পালতোলা নৌকা প্রকৃতিতে যোগ করতো অপরুপ সৌন্দর্য্য। মাঝি-মাল্লার ভাটিয়ালি গানে মুখরিত থাকতো সারাক্ষণ। দিনভর জনসাধারণের পদভারে জমে উঠতো নদীর ঘাটগুলো। এ সবই এখন শুধু স্মৃতি। কালের আবর্তনে মরে গেছে রংপুরের গঙ্গাচড়ার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘাঘট ও মানাস নদী দু’টি। নদীর বুক জুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। লোকজন জবর দখল করে আবাদ করছে। নদী দু’টি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে বেকার হয়ে পড়েছে শত শত মৎস্যজীবী। অভিজ্ঞ লোকজনের ধারণা নদী দু’টি খনন করা হলে মৎস্যচাষসহ আবাদি জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা যাবে। কৃষকরা উপকৃত হবে। সাশ্রয় হবে অনেক টাকা।
জানা যায়, নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার কুজি পাড়া গ্রামে ঘাঘট ও মানাস নদী দু’টি তিস্তার শাখা নদী। উৎপত্তি স্থল থেকে ঘাঘট নদী গঙ্গাচড়া উপজেলার পশ্চিম সীমানা দিয়ে নোহালী, আলমবিদিতর ও বেতগাড়ি ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে রংপুর সদর থানা অতিক্রম করে পীরগাছা উপজেলায় প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে মানাস নদী গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী গজঘণ্টা ও মর্ণেয়া ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ বন্দরের পশ্চিম দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পীরগাছা উপজেলায় প্রবেশ করেছে। এরপর আলাইকুড়ি নদীকে সাথে নিয়ে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর হয়ে ঘাঘট নদী যমুনায় মিলিত হয়েছে। তাছাড়া মানাস নদী আলাইকুড়ি নদীকে সাক্ষাৎ দিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভেতর দিয়ে যমুনায় পড়েছে। নদী দু’টির আঁকাবাঁকা পথে ঘাঘট ১২০ কিঃমিঃ এবং মানাস নদী ৮৮ কিঃমিঃ জুড়ে শুকিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, একসময় এ নদী দু’টির ওপর দিয়ে পালতোলা নৌকা চলতো। দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসতো ব্যবসা করার জন্য। নদী পথে বিভিন্ন প্রকার পণ্য সরবরাহ করতো লোকজন। সেই নদীর শুকনো মৌসুমে পানি প্রবাহ এখন শূন্যের কোঠায়। অথচ বর্ষাকালে নদীর ভাঙনে প্রতিবছর বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি।
এলাকার সচেতন ব্যক্তি মাহাবুবার রহমান তারা, বদিরুদ্দিন ও জয়নাল জানান, নদী দু’টি খনন করা হলে কৃষকরা উপকৃত হবে বেশি। সেই সাথে বাড়বে মৎস্য চাষ।
গঙ্গাচড়া ভূমি অফিস জানান, নদীর শিকস্তি ও পয়ন্তি আইন অনুসারে ঘাঘট ও মানান নদীর বুকে জেগে উঠা জমিগুলো খাস জমির অন্তভুক্ত। স্থানীয় লোকজন জবর দখল করে আবাদ করছে। গজঘণ্টা ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে সরকার নদী দু’টি খনন করলে কৃষকেরা কৃষিকাজে ব্যাপক সুবিধা পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।