পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে দেশের পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২ হাজার ৪৯৫ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। যা গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের এই সময়ে আয় ছিল ২ হাজার ২৯০ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ২৮৩ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের। আলোচিত মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২৮২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় বেশি হয়েছে দশমিক ৩০ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই মাসে রপ্তানি আয় হয় ২৫৯ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ পর্যন্ত সময়ে তৈরি পোশাকের নীট খাতে রপ্তানি হয়েছে ৯৬৭ কোটি ৪৩ লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ের এই আয় ছিল ৯০৬ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ওভেন খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৭৬ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের তুলনায় যা ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে শিল্প পণ্যে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, পেট্রোলিয়াম বায়ো-প্রোডাক্টে ৩৭৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, কেমিক্যাল পণ্যে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ, রাবারে ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, লেদার ও লেদার জাতীয় পণ্যে ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, হ্যান্ডিক্রাফ্ট ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ, বিশেষায়িত বস্ত্রে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যে ২২ দশমিক ৬১ শতাংশ ও কম্পিউটার সার্ভিসেস পণ্যে ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ রপ্তানি আয় বেড়েছে। তবে আলোচিত সময়ে হিমায়িত খাদ্যে ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ, কৃষি পণ্যে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, পাট পণ্যে ১ দশমিক ৭২ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।