পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বন্ধুর সাথে সৈকতে বেড়াতে গিয়ে লাশ হলেন নগরীর অভিজাত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রী তাসফিয়া আমিন (১৬)। পুলিশের ধারণা, ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ সৈকতে ফেলে দেয়া হয়। গতকাল (বুধবার) নগরীর পতেঙ্গা থানার নেভাল বিচ এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে চোখ, নাক-মুখ থেঁতলে যাওয়া ওই স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বেলা ১১টায় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে নেভাল একাডেমির ১৮ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তাসফিয়া আমিন নগরীর নাসিরাবাদ ইংলিশ মিডিয়াম সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার পিতার নাম মোঃ আমিন। তাদের বাসা নগরীর ও আর নিজাম রোড আবাসিক এলাকায়। তাদের বাড়ি কক্সবাজার শহরের ডেইলপাড়া এলাকায়। লাশটি অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধারের পর দুপুরে তার বাবা আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরিবারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পতেঙ্গা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে আদনান মির্জা নামে এক বন্ধুর সঙ্গে তাসফিয়া বেড়াতে বের হন। এরপর রাতে আর বাসায় ফেরেনি। আদনান মির্জার সন্ধানে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। পুলিশ জানায়, ফেইসবুকের মাধ্যমে ওই যুবকের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে দুইজন।
পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক ফৌজুল বলেন, পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ফেইসবুকে পরিচয়ের পর আদনান মির্জা নামে এক যুবকের সঙ্গে এক বছর আগে থেকে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাসফিয়া। আদনানের সঙ্গেই তাসফিয়া পতেঙ্গা সৈকতে এসেছিল বলে পরিবারের ধারণা। আদনানকে আমরা আটকের চেষ্টা করছি। তার ধারণা, তাসফিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ নদীর তীরে ফেলা হয়েছে। ফৌজুল আজিম চৌধুরী জানান, তার দুই চোখ, নাক ও মুখ থ্যাঁতলানো ও রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মুখে ফেনা ও রক্ত আছে। তার পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ। স্থানীয়রা দেখে তাকে প্রথমে বিদেশি বলে ধারণা করে। নদীর তীরের উঁচু স্থান থেকে আনুমানিক ৮-১০ ফুট নিচে পাথরের ওপর লাশটি পড়ে ছিল। তার ধারণা আগের রাতের যেকোন সময় তাকে খুন করে লাশ সেখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।