Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতের বিকল্প নেই -তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৮, ৫:২৭ পিএম | আপডেট : ৬:৪১ পিএম, ১ মে, ২০১৮

তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কল-কারখানা ও কৃষিসহ জাতীয় উৎপাদন বাড়াতে হলে শ্রমিকদের হাসি-খুশি ও প্রাণবন্ত রাখতে হবে। সেজন্য তাদের ন্যূনতম মজুরি ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

মহান মে দিবসে মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জাসদ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা র‌্যালি উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

‘জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, ফতোয়াবাজ তেতুঁলহুজুরেরা শ্রমিকদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে, নারী শ্রমিকদের ঘরে বন্দি করে রাখতে চায়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সে কারণে ন্যূনতম জাতীয় মজুরির দাবি আদায়ের সংগ্রামের পাশাপাশি ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধেও শ্রমিকদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি বলেন, ‘শ্রমিক, মজুর, কর্মজীবী-মেহনতি মানুষেরাই উৎপাদন ও উন্নয়ন সভ্যতার মূল চালিকাশক্তি। বাজার ও মালিকের হাতে শ্রমিক ও দেশের ভাগ্য ছেড়ে না দিয়ে অর্থনীতিকে রাষ্ট্রীয় অন্যতম মূলনীতি হিসেবে সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত সমাজতন্ত্রের পথে পরিচালিত করতে হবে।’

জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক নেত্রী শিরীন আক্তার বলেন, শ্রম কখনও সস্তা নয়, শ্রমিক দয়ার পাত্রও নয়। তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরিসহ অবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানান।

জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশার সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নারী জোটের আহ্বায়ক আফরোজা হক রীনা, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর সাংগঠনিক সম্পাদক কনক বর্মন, গার্মেন্টস শ্রমিক জোটের সভাপতি রোকেয়া সুলতানা আঞ্জু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে লাল পতাকাসজ্জিত একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে নগরীর রাজপথ প্রদক্ষিণ করে।



 

Show all comments
  • গনতন্ত্র ২ মে, ২০১৮, ৭:১৭ এএম says : 0
    জনগন বলছেন, “ মে দিবস – ২০১৮ “ আমি একজন নীরহ গরীব রিক্সাওয়ালা দুই পায়ের ঠেলায় রিক্সা চলে, বাজার চড়ায় ভাড়া একটু বেশী চাইলে পড়ে, পাছায় লাথি, থাপ্পর গালে ৷ কোনদিন কি দেখেচ্ছেন ভেবে কত ঘামের বিনিময়ে রিক্সা চলে, উঠেই বলুন জোরে চালাও ট্রেন না পাইলে পয়সা যাবে জলে ৷ আমরা মানুষ মেশিন নহি চলবো উড়ে উড়ে, একটুখানি জোরে ধরলে ব্রেক গালি শুনি মা-বাবাকে জোরে ৷ আমরা কেন এত অবহেলিত মানুষকে জরুরী সেবা করে, আমাদের ছাড়া কি চলতে পারবেন মানবতা কি গিয়েছে মরে ?
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ২ মে, ২০১৮, ১০:১১ এএম says : 0
    Yes,only may day we can here about labour welfare but after that we don’t here or see any government doing better something for our hard working people who is providing almost each drop of sweat for the country.But government employees MP,Minister they are the one enjoying all the benefits & increased monthly salaries.Even minimum paid labor some time some owners the don’t pay them salaries on time some times without paid they were removed from their job but no action has been taken against those violating the labour law.We want actions not only may day addresses,thanks
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ