Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এলপিজির আওতায় ৭৫ শতাংশ আবাসিক এলাকা

নতুন কোম্পানি পেট্রোম্যাক্সের উদ্বোধনকালে নসরুল হামিদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ আবাসিক এলাকা এখন এলপিজি সুবিধা পাচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ যেন এই সুযোগ-সুবিধা পায় এ নিয়ে কাজ করছে সরকার। এ কাজকে আরও সহজ করতে এলপিজি খাতে নতুন করে যুক্ত হলো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন কোম্পানি পেট্রোম্যাক্স এলপিজি। দেশের শিল্প, গৃহস্থালি ও পরিবহন খাতকে সমৃদ্ধ করবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কোম্পানিটির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান, সিরাজগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত, পেট্রোম্যাক্স এলপিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ আলম এবং পেট্রোম্যাক্স এলপিজির চেয়ারম্যান রেজাকুল হায়দার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে আমাদের এখন মূল টার্গেট। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ দিতে সকল ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। পেট্রোম্যাক্স বাংলাদেশের শিল্প গৃহস্থালি পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেট্রোম্যাক্স সহযোগী ভূমিকা পালন করবে। ইতোমধ্যেই তাদের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে আমি তাদের প্রতি অনুরোধ জানাই, চূড়ান্ত অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত যেন কার্যক্রম শুরু করা না হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, এক মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাইয়ের পর পেট্রোম্যাক্সের অনুমোদন নিশ্চিত করা হবে।
পেট্রোম্যাক্স এলপিজির চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল হায়দার বলেন, দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। মূল্যবান এই প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ সঠিকভাবে ব্যবহার করার লক্ষ্যে গৃহস্থালি, পরিবহন, যোগাযোগ ও শিল্প-কারখানায় ব্যবহারের জন্য একটি সুন্দর সমাধান দরকার। সেই কাজে অংশ নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে পেট্রোম্যাক্স এলপিজি।
ফিরোজ আলম বলেন, পেট্রোম্যাক্স এলপিজি লিমিটেডের বিনিয়োগে মংলা বন্দর এলাকায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টনের বেশি মজুদ ক্ষমতাসম্পন্ন ও বছরে প্রায় ৯০ লাখ সিলিন্ডার বোতলজাতকরণ ক্ষমতাসম্পন্ন এলপিজি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা ও আশেপাশের বাজারের চাহিদা পূরণ করতে ঢাকার অদূরে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে একটি স্যাটেলাইট প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। যার মজুদ ক্ষমতা প্রায় এক হাজার টন। সিলিন্ডারের আমদানি নির্ভরতা কমানো ও এলপিজি গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেট্রোম্যাক্স সিলিন্ডার লিমিটেডের বিনিয়োগে টাঙ্গাইলে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন সিলিন্ডার উৎপাদনের অবকাঠামো। যা প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখের বেশি সিলিন্ডার তৈরি করতে সক্ষম। দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে প্রায় ২৫০ জন পরিবেশক নিয়োগ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ পরিবহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি এলপিজি ও ৬ ছয়টি রোড ট্যাংকার সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১২ ও ৩৫ কেজি ওজনের সিলিন্ডারে এলপিজি গ্যাস বাজারজাত করবে পেট্রোম্যাক্স এলপিজি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এলপিজি

২ নভেম্বর, ২০২২
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ