পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারীর ক্ষমতা কাজে লাগাতে এবং তাদের সহযোগিতা ও অধিকার তুলে ধরতে একটি নতুন বৈশ্বিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নারীদের সহযোগিতা ও তাদের অধিকার তুলে ধরতে আমাদের একটি নতুন জোট গঠন করতে হবে। লাখ লাখ নারীর স্বার্থে অবশ্যই আমাদের অভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধ নিয়ে একত্রে কাজ করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় নারীর ক্ষমতায়নে অবদানের জন্য গ্লোবাল সামিট অব ওমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণকালে তিনি এ আহ্বান জানান। ‘গ্লোবাল ওমেন সামিটে’র প্রেসিডেন্ট আইরিন নাতিভিদাদের কাছ থেকে এক নৈশভোজে মর্যাদাপূর্ণ এ সম্মাননা গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসি) অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্লোবাল সামিট অব ওমেনের প্রেসিডেন্ট আইরিন নাতিভিদাদ। সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় দেড় হাজার নারী নেতৃত্ব যোগ দেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার গ্রহণকালে নারী নেতৃবৃন্দ মুহুর্মুহু করতালির মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল সামিট অব ওমেন বাংলাদেশে নারী শিক্ষা ও উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ায় শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করে।
এর আগে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও নারীর ক্ষমতায়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গ্লোবাল সামিট অব ওমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ গ্রহণ করে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গভীর সম্মানিত বোধ করছি এবং এই ওমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড বিশ্বের নারীদের উৎসর্গ করছি- যারা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারী চেঞ্জ মেকারদের দেখতে পাওয়া আমার জন্য বিশাল আনন্দের বিষয়। মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করায় তিনি গ্লোবাল সামিট ওমেন কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি সবাইকে প্রান্তিক, দুস্থ, যারা অনাহারী এবং স্কুলে যেতে অনাগ্রহী ও নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়াতে গতানুগতিক লিঙ্গ বৈষম্য থেকে ফিরে এসে নারীর সক্ষমতা বাড়াতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিশেষ করে জীবনের সর্বক্ষেত্রে নারীদের সমান সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন মেয়ে ও নারী পিছিয়ে পড়ে থাকবে না। তিনি বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্য সমস্যা দূরীকরণসহ উৎপাদনশীলতা জোরদার করার আহ্বান জানান।
মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানকালে রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য প্রদানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী জুলি বিশপ তার হোটেল কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
‘গ্লোবাল সামিট অব ওমেন’ সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল শুক্রবার সকালে তিন দিনের সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকের পরে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে অস্ট্রেলীয় সরকারের কি ভূমিকা হতে পারে সে সম্পর্কে জানতে জুলি বিশপ বৈঠকে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, উত্তরে প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার সরকারের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখার এবং বিপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সহযোগিতার হাত বাড়াতে আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তারা (মিয়ানমার) এটাকে অস্বীকার করছে না কিন্তু তারা চুক্তির বাস্তবায়নও করছে না।
অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন। অস্ট্রেলিয়া এ বিষয়টিতে বাংলাদেশের পাশে থাকছে, বলেন তিনি।
বৈঠকে জুলি বিশপ শেখ হাসিনাকে নারী মুক্তি এবং নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্ব নারীদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক এবং সাহসী নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
দেশের রাজনীতিতে এবং জাতীয় সংসদে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং সেই সঙ্গে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে নারীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. সুফিউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায় ভিয়েতনাম
ভিয়েতনাম ২০২০-২০২১ মেয়াদে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) সদস্য পদে প্রার্থীতার পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থন প্রত্যাশা করেছে। গতকাল শুক্রবার ভিয়েতনামের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যাং থাই নাগক থিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার হোটেল কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এই সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
বৈঠকের পরে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যান থাই নগক থিন-দু’জনেই ‘গেøাবাল সামিট অব ওমেন’ সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন।
ভিয়েতনামের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্লোবাল ওমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮তে ভূষিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান এবং তার নেতৃত্বে নারী মুক্তি এবং নারীর ক্ষমতায়ন এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
ড্যান থাই নগক থিন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের কর্মকান্ড এবং ব্যবসা-বাণিজ্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।
এ সময় তিনি ঢাকা এবং নমপেনের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনেও আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং অষ্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. সুফিউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।