পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্বল্প মূলধনী কোম্পানি রুলসের কিছু বিধির সংশোধনী অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৬৪২তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপ কোম্পানিজ) রুলস ২০১৬ এর কতিপয় বিধি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। শিগগিরই তা জনমত যাচাইয়ের জন্য দৈনিক পত্রিকা এবং ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে। সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং অব স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ) রেগুলেশন ২০১৮ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং অব স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ) রেগুলেশন ২০১৮ কতিপয় বিধিমালা সংশোধনী কমিশন অনুমোদন করেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উলেখ করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় এমন স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ‘স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম’ নামে আলাদা বাজার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। যা নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ৫৬৫তম সভায় অনুমোদন করা হয়।
সে সময় বিএসইসি থেকে জানানা হয়, ‘স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম’ নামের আলাদা বাজারে তালিকাভুক্তির জন্য কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকা এবং তালিকাভুক্তির পর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা থাকতে হবে। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে থাকতে হবে।
স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে শেয়ার উত্তোলন করতে হবে। আর স্বল্প মূলধনী কোম্পানির এই বাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে। এই বাজারে শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারবেন।
কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর বলতে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তিকে বোঝায়। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর চিহ্নিত করতে সিডিবিএল ভিন্ন ধরনের বিও হিসাব প্রণয়ন করবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বাজার উন্মুক্ত থাকবে না। বিদ্যমান স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে বাজারে লেনদেন পরিচালিত হবে।
এই বাজারে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না এবং শেয়ারধারীদের শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লক-ইন থাকবে। বাজারে লেনদেনের তারল্য বজায় রাখার জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানিকে কমপক্ষে ৩ বছরের জন্য মার্কেট মেকার নিয়োগ করতে হবে।
এদিকে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির কিছু বিধি মালা সংশোধনী অনুমোদনের পাশাপাশি বৃহস্পতিবারের সভায় কমিশন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার অর্জন, অধিগ্রহণ এবং কর্তৃত্ব) বিধিমালা ২০১৮ এর কিছু সংশোধনী অনুমোদন করেছে। শিগগিরই তা জনমত যাচাইয়ের জন্য দৈনিক পত্রিকা এবং ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।