পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আবারো ব্রিটিশ প্রতিনিধিদল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসছে। আগামী ৯ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদলটি আসার কথা রয়েছে। তারা শাহজালালের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করবেন। পর্যবেক্ষণের নিরিখে ঠিক করা হবে বাংলাদেশের কার্গো বিমানের অবতরণে যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে কি করবে না। এ প্রতিনিধিদলের রিপোর্টের ওপরই নির্ভর করছে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো বিমান যাবে কি না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে তারা সন্তুষ্ট হলেই সমস্যা সমাধান হতে পারে। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য যা যা করা দরকার সব করা হচ্ছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের নিরাপত্তা সংস্থাকে শাহজালালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যৌথ বাহিনী ও রেডলাইন কাজে যোগ দেয়ায় শাহজালালের পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আশা করা যায়, দ্রুত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে যুক্তরাজ্য সরকার। তিনি বলেন, এবার ব্রিটিশ প্রতিনিধিদল বিমানবন্দর পরিদর্শন করে তাদের দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে বলে আশা করছি।
সূত্র জানায়, দেশী-বিদেশী ৩০টি বিমান সংস্থা বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ৪৭টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। ১০-১২টি সংস্থা কার্গো বিমান ও হেলিকপ্টার সার্ভিস দিচ্ছে। প্রতিদিন বাংলাদেশ বিমান ও অন্যান্য এয়ারলাইন্সের ৩০-৪০টি বিমান ওঠানামা করে শাহজালালে; ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন।
কিন্তু শাহজালাল বিমানবন্দরে জোরালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীবেশী অপরাধীরা সহজেই পারাপার হতে পারে বলে অভিযোগ করেছে কয়েকটি দেশ। যুক্তরাজ্য সরকার কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ নিয়ে বেকায়দায় পড়ে সিভিল এভিয়েশন ও বাংলাদেশ বিমান। এ সমস্যা নিরসনের জন্য যুক্তরাজ্য থেকেও একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছিল কিছুদিন আগে। গত ৩১ জানুয়ারি শাহজালালে ১০০ সদস্যের যৌথ বাহিনী নামানো হয়। আগামী দুই মাসের মধ্যে সদস্য বাড়ানোর কথা রয়েছে। গত ২১ মার্চ শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নয়নের দায়িত্ব নেয় ব্রিটিশ কোম্পানি রেড লাইন এভিয়েশন সিকিউরিটি লিমিটেড। ২৯ জন কর্মী নিয়ে সংস্থাটি কাজ করছে। নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দক্ষতার সঙ্গে চালানোর জন্য সিভিল এভিয়েশন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা।
সূত্র জানায়, সিভিল এভিয়েশনের যে নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে তা দিয়ে সবকিছু সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে এয়ার-ট্রাফিক ১৬৮ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু বিমান চলাচল বাড়লেও নিরাপত্তা ও আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা কাক্সিক্ষত মাত্রায় বাড়েনি। বর্তমানে সিভিল এভিয়েশনে তিন হাজার ৭১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। জনবল বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।